মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০১৩

কবিতা – জুঁই সরকার



কেন এত আলো এল
জুঁই সরকার



আহারে সোনার রোদ হিসেবের ভিড়ে
আমার আর তোমার দেখা হবে ভেবেছিলে কোনও দিন?
আমিও ভাবিনি।
তখনও বিকেল হয়নি নতুন করে
নতুন শব্দ তৈরী হচ্ছিল
নতুন মেঘের ভাষ্কর্য
অনেক খুঁজেছি আমি
তারপর
সবুজের সন্ধানে কেটে গেছে দিন
হারিয়েছি কত কিছু তার হিসেব রাখিনি
কবিতাকে তোমার মতন করে কখনও চাইনি তাই
কবিদের ভীড়ে তোমাকে কতদিন মনেই পড়েনি আমার
যে সব কুকুরগুলো গলির ভেতর ডাক পেড়ে চলে গেছে
ওদের বিস্কুট খাওয়ানো হয়নি
অথচ ভয় পেয়েছি আমি
কুমোড়টুলির মাটিতে কিছু বুদ্ধিদীপ্ত প্রাণী
দুরবীণ তাক করে
আমি তো ভাবিনি তখনও,
দেবী হতে পারি
নারী হতে পারি একমাত্র ধর্ষকের সম্মুখে
না জানি কতটুকু আলো ছুঁতে পেরেছে আমায়
ঠিক ততটুকু নিঃশব্দে অন্ধকারে চলে গেছে
পিছন ফিরে আবার শুনেছি বাস্তুহারার গল্প
ওরাই শেষ প্রজন্ম আমাদের নতুন দেশে
ওদের কান্না শত্রুর বুকে তোলপাড় করেছে যখন
তখন ফিরে পাওয়ার কিছুই ছিল না তাই
এহেন নতুন দেশে আমাকেই
আসন দেওয়া হল
হতভাগা তোর মুখ কখনও পোড়ানো যাবে না
নাম করে করে পার হতে হবে তুর্কীদের ধর্ষণপুরী
আমাকে তো কষ্ট দেয় প্রতিটা সকাল
প্রার্থনা করি গুন গুন স্বরে
জিভ জড়িয়ে আসে আমার
#
বিশ্বাস করবে?
মধুসন্ধ্যাকে হারালাম
কষ্টও পেলাম গলার ভেতরে
জমা কান্না তবু ভরা কলসি উলটে গেল
তবু কেন? কেন এত আলো এল
কেন এল রজঃচক্র অজ্ঞাত বণবাসে
কৌতুহল এত কোলাহল করে
বাসনার মত সে পায়ে পায়ে পিছু নেয়
পাকস্থলির ভেতরের কবিসম্মেলন
কিবতা হারিয়ে গেলেই বোঝা যায়
তবু ধীর অতি ধীর সে প্রলয়
ঘোরানো সিঁড়ির মত নেহতই সে স্বপ্নময়।