বৃহস্পতিবার, ২ মে, ২০১৩

গুচ্ছ কবিতা - তানভীর হোসেন

তানভীর হোসেন


অর্বাচীনের উপেক্ষাকথন-১


বৃষ্টিস্নাত প্রাগৈতিহাসিক ধবংসাবশেষ-
আর তোমার বয়সী চামড়ার বলিরেখা,
বেমালুম মিলে যায়।

চিঁড়েচ্যাপটা শহুরে ইঁদুরে-
ভরে গ্যাছে রাজপথ,
দুর্গন্ধ ছড়ায় ওদের উদজান আর
সালফারের রসায়ন।

আর আমি তাই
নিকোটিনে কটু গন্ধ ঢাকি আপ্রাণ।

জীবিত মানুষ কমে আসে-
শেয়ার বাজারের সূচকের মতো,
বেড়ে চলে লাশের নম্বর-এক,দুই,.. হাজার, অযুত।

এ শহর এখন মৃতের শহর,
জোম্বি'রা বিড়ি টানে-
ফুটপাত কিংবা টিএসসিতে।

চলে স্বপ্নের হরতাল লাগাতার,
আর জীবন সেতো এক সুদূর উপকূল।



অর্বাচীনের উপেক্ষাকথন-২

স্থানঃ মরিচীকার উৎস ,
সূ্র্যের দর্পণ-
কাক কালো রাজপথ।

কালঃ ইঁদুরে কাটা,
মলিন পান্ডুলিপির,
প্রতিবিম্ব কোন দুঃসময়।

পাত্রঃ প্রত্নতাত্তিক কাটাছেঁড়ায়,
আবিষ্কৃত প্রাগৈতিহাসিক রাজ্যের,
মৃত্তিকা মূর্তি যেমন,
পুরনো সভ্যতার সমৃদ্ধি,
গোচরে আনে;

সময় সাপেক্ষ ঘষামাজায়,
হৃদয় খুড়ে তুলে আনা প্রতিভার-
মহাজন কিছু মানুষও তেমন,
আগন্তুক আগামীর কথা বলে।

তাদের বসন্তে শীত মৃত্যু আনে,
অন্য পৃথিবীর অন্য বসন্ত।

উদ্দেশ্যঃধ্রুপদ মানসে ফুটোর সন্ধানে...



অর্বাচীনের উপেক্ষাকথন-৩


তারপর...

সে চলে গ্যালে,
আমি আমারি প্রতিপদার্থ
হয়ে,রাত্রিবিলাসের প্রাসাদ হলাম-
লোকান্তরে।

তার আরো পরে...

সে প্রাসাদ আমার,
মাকড়সার খামার,
একাকিত্বের আড়ম্বরে,
জীবন বাকী পড়ে অনন্ত অম্বরে।

এখন...

অগণিত হাতে আমার,
নিখোঁজ সংবাদ(জরুরি খবর),
পৃথিবী গর্ভের অন্য পৃথিবীতে,
আমি যে এখনো বিনিদ্র,
অন্য আমি হয়ে।

অবশেষে...

সম্ভাব্য সমাপ্তিতে,
আমি ঈশ্বরকে বলবো,
তোমার চৌকাঠ আর কতো,
নিদ্রার ভেট চায়!!!
চায় আর কতো নাস্তিক!