মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০১৩

কবিতা - শুভ আঢ্য

আমি
শুভ আঢ্য



কোনো হলুদ রঙের ঘর আমার ছিল না,
আমার বাবা গু পোষার বদলে আমায় পুষেছিল অনেকদিন,
তারপর আমিই গান্ডু হয়ে উঠলাম। কোকাকোলা কিংবা পেপসির বোতল হাতে
আমার ইংল্যান্ডে কোনো ছবি নেই,
গড়পারে আমাদের কোনো বাড়ি বা ফ্ল্যাট ছিল না কোনোকালেই,
তাই দেওয়ালে ঝোলানো বলতে আমি বুঝি হ্যাঙ্গার,
আর বিড়ি ধরিয়ে আমি কাটিয়ে দিতে পারি একটা গোটা সন্ধ্যে,
সাথে চাট, ঠাট, বাঁট বা মিস্‌ড কল বা রিসিভ্‌ড কল লাগে না, এস-এম-এসও না।

জানলা ভেঙ্গে গিয়ে বিস্কুটের গুঁড়ো এসে পড়েছে,
পাশের ঘরে কোনও বাচ্চা বা কোনো কিশোরী না থাকার কারণে
‘কেন’ সেটা ভাবার মতো অপ্রকৃতিস্থ কাজ আমি করি না;
আমি বুঝি, পেট্রল শেষ হলে সেল্‌স ট্যাক্সের গাড়ি
প্লাস্টিকের বোতলের জলে চলত আর তাও শেষ হয়ে গেলে ড্রাইভারের থুতু,
আর বিনা নোটিশের হিসি-তে।
হতভাগা আমার পেছনে এসে দাঁড়িয়েছে সেই লাল গাড়ির সওয়ার,
আমি বলেছিলাম আগুন লেগেছে
আর তখন বলেছিল ‘কোথায়, প্যান্টের চেনের ভেতরে?হেহেহেহেহে...’ – ‘হ্যাঁ বে, তোর বাবার’।
শব্দ বলে আর কিছু শোনা যায় না,
সিনেমা বেরিয়ে গেছে, আর পুস্কার না পেলে ঝলমলায় না কিছুই,
বাদামের বরফির তবকও না। সুতরাং হন্যে হয়ে কোনো বাসার
হলুদ ঘর খোঁজার তাগিদ কি আমার থাকা উচিৎ?
নাহ, বিসর্গের পেটের ভেতর যে ফুটো আছে
সেখানে বিন্দু খুঁজলেই যদি ব্যোমকেশ হওয়া যেত তাহলে
কিছু না করেও আমাদের কালভারটে গোটা পঁচিশেক কাকের বদলে
ছেলে ছোকরা পটি ঘাঁটত। মুখের বদলে বাদুড় বলে আমার নামডাক বেশ হয়েছে,
আমি এখন গু-মুত ঘাঁটা ছেড়ে প্যাথলজি খুলবো।

খোলা তো অনেক বাকি...খেলাও...এখন সবে বুমেরাং ছুঁড়ে ফিচকি হাসা শুরু।