শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৪

দুটি কবিতা - সোনালী মিত্র





বোহেমিয়ান
সোনালী মিত্র

শব্দের দিক থেকে হাত তুলে নিতে নিতে দেখেছি
নিষ্প্রভ তারার বুকে বোহেমিয়ান অলকানন্দা 
বয়ে চলার  গল্প থামতে জানে না , মরতে জানে না
শুধু সময়ান্তর লিপিতে এক একটা বাঁক ছেড়ে যায়.
*
উঠে আসুক এমন একটা শক্তিশালী লাইন
উপোষী মাটির ঘামে , যেভাবে আমূল বদলে দিতে পারে
ইতিহাসের বুকে জমে থাকা সব পাথরের শোক  !
লাল থেকে বা হলুদ থেকে কোন সবুজের দিকে
বিস্তৃত হোক কোন আক্ষরিক আলোর গোলার্ধ ,
কোন কৃষাণীরৌদ্র শরীরের পিপাসা মেটাক 
কোন মরু চোখের  .ভূমিষ্ঠ চারাতে  ছড়িয়ে পরুক
আসন্ন আগামীর ছায়া -শীতলতা
*
পারে না কোন শিশু দুধের গল্প থেকে মুখ তুলে নিতে 
জন্ম ভ্রমে পুনর্জন্ম চায় , প্রিয় একটা লাইন উঠে আসুক
আমি তুমি আমরা একাত্ম ,  তরঙ্গে
সফল মস্তিষ্কে ধরতে যদি পারি , অনুভব থাক  শব্দের হাত ছুঁয়ে .




অনিবার্য
সোনালী মিত্র

(আসা টা অনিবার্য ছিল না  , আসার সাথে যাওয়াটা অনিবার্য ই ছিল)

মূহুর্ত গুলো কে সাজিয়ে নিয়েছিলাম চোখে
তোমাকে পাওয়ার পরিপূর্ণতার  কোন ফাঁক নেই
ফাঁক নেই আমার বিশ্বাস বিরাম চিহ্নে

অথচ এমন ভাবেও ঘটে!
পাখি তার ভাঙা ডানায় লিখে রাখে  "সমুদ্র সফর"
মেলে ধরলে বুঝলাম -
বাঁশিওয়ালার ওই বাঁশি তে বেঁকে যাওয়া পথ ভুল

যেমন ভাবে ভোরের শিশির সশব্দে
জানান দেয়  তার হতবাক উপস্থিতি
কেননা ঝরে পড়ার মুহূর্তরা তেমন একটা দামী নয়
কেননা শতাব্দী সাক্ষী , ঝরে  যাবার গল্প
আজন্ম লেখা থাকে ঘাস অনুভবে

আপ্রাণ মাটি হতে চাইলাম
দু'হাত বাড়িয়ে শিশিরে মিশে যাওয়া কবিতা চাইলাম
সমুদ্রে ভেসে নতুন উপসংহার চাইলাম -
হল না ,হল না , তেমন আর কিছু হল না

সহস্র হলুদ স্বেদাক্ত ঘাস মাড়িয়ে যাচ্ছে গোধূলি গরু
দৃশ্যত জীর্ণ ঘাস'টা আমাকে দিয়ে  ধরা গেল না ...