রাজর্ষি মজুমদার
ভূতজন্ম ও নিরোধ
আমাদের ভূতজন্ম জমা আছে আস্তাকুড়েয়। আগামীর মসৃণতায় কেউ মোবিল দেবেনা, প্রেততত্বেও বিশ্বাস করবে আমার পিশাচসত্ত্বা।
টুংটাং ধরনের আওয়াজ, গলিগুলোর একান্ত নিজস্ব। অথবা যানজট, বড় রাস্তা। সেদিকের ফুটপাতে ভৌতিক আবাসিক'রা ভাত খায় - মুরগীর ছাটের দমদমা দিয়ে।
চুল্লু'র ঠেকে চলে উন্নাসিকতার মৃত্যু নাচ।
চিলে,কাকে ঠোকরায় তাদের গর্ভস্থ সন্তান। আসলে ভূতেরা নিরোধের ব্যবহার জানে না।
কলকাতা সম্ভব
ভেবে দেখিনি কখনও পাড়িয়ে চলা ধুলোগুলো-
ইতরবিশেষ পিচমাখানো গ্রানাইট ঢ্যালা গঙ্গার স্রোতে না ভেসে গিয়ে আমার কলম হয়ে উঠছে।
সাড়ে চারখানা চাঁদ ঝলমল লালদীঘির গায় – আসলে রুটি সেঁকা হচ্ছে চিরাচরিত পিপাসাবৃদ্ধির ট্র্যাজিক তাতে।
আর বালিমাখা সিঁড়ি টপকে কাঠের স্যাঁতস্যাঁতে রেলিং চেখে দেখছে দুপুরের বৃষ্টি।
শ্রেয়সী, এ ধরনের প্রেম ছুঁয়ে দেখ আজও সহস্রটা পাথর বেঁচে আছে- কোনও রোডরোলার চালিয়ে কলকাতার রাস্তা হবে বলে।
পুকুর টুকুর ভাসিয়ে ফেল জল কলকল – কলেজস্কোয়ারে হাওয়া দিক; পুরবৈয়া হয়ে উঠুক আনন্দ।
ট্যাক্সির আশেপাশে কংক্রিটের ফুলশয্যা নির্মান করা আছে অনন্তকাল। তারই কোনও এক সূচমাখা বিন্দু ধরে আকণ্ঠ চুমু খাব তোমায়। বুক ছুঁয়ে দেখো তুমি – বুক বেয়ে ফ্লাইওভার চলে গেছে পার্কস্ট্রিটমুখী।
দুখানা বিপ্লবী জেহাদ পাঞ্জাবীতে মুছে ফেলে এসেছি কফি হাউসের গুলজারে- এখন আমি শপিং করতে ব্যাস্ত হয়ে পড়ব বাতানুকূল চারিদিকে চোখ সেঁকে নিয়ে।
লোকে বলতে পারে চশমার কাচে বাষ্প জমে আছে, বকফুল ছিঁড়ে দেখো হাল্কা সুবাসও দেবেনা তোমায়।
এসব কনট্রাস্ট মার্কা কথাবার্তায় মাথা ঢাকা দিয়ে ছাতিমতলায় বাস করব দুজন। গঙ্গাপাড়ের আলোবাতাস তোমার সংযমী ওষ্ঠকে কায়স্থ করে তুলবে ক্রমাগত; এ প্রেম আমার নয়।
শ্রেয়সী, চেয়ে দেখ আজও সহস্রটা পাথর বেঁচে আছে - কলকাতার রাস্তা হবে বলে।
আমাদের ভূতজন্ম জমা আছে আস্তাকুড়েয়। আগামীর মসৃণতায় কেউ মোবিল দেবেনা, প্রেততত্বেও বিশ্বাস করবে আমার পিশাচসত্ত্বা।
টুংটাং ধরনের আওয়াজ, গলিগুলোর একান্ত নিজস্ব। অথবা যানজট, বড় রাস্তা। সেদিকের ফুটপাতে ভৌতিক আবাসিক'রা ভাত খায় - মুরগীর ছাটের দমদমা দিয়ে।
চুল্লু'র ঠেকে চলে উন্নাসিকতার মৃত্যু নাচ।
চিলে,কাকে ঠোকরায় তাদের গর্ভস্থ সন্তান। আসলে ভূতেরা নিরোধের ব্যবহার জানে না।
কলকাতা সম্ভব
ভেবে দেখিনি কখনও পাড়িয়ে চলা ধুলোগুলো-
ইতরবিশেষ পিচমাখানো গ্রানাইট ঢ্যালা গঙ্গার স্রোতে না ভেসে গিয়ে আমার কলম হয়ে উঠছে।
সাড়ে চারখানা চাঁদ ঝলমল লালদীঘির গায় – আসলে রুটি সেঁকা হচ্ছে চিরাচরিত পিপাসাবৃদ্ধির ট্র্যাজিক তাতে।
আর বালিমাখা সিঁড়ি টপকে কাঠের স্যাঁতস্যাঁতে রেলিং চেখে দেখছে দুপুরের বৃষ্টি।
শ্রেয়সী, এ ধরনের প্রেম ছুঁয়ে দেখ আজও সহস্রটা পাথর বেঁচে আছে- কোনও রোডরোলার চালিয়ে কলকাতার রাস্তা হবে বলে।
পুকুর টুকুর ভাসিয়ে ফেল জল কলকল – কলেজস্কোয়ারে হাওয়া দিক; পুরবৈয়া হয়ে উঠুক আনন্দ।
ট্যাক্সির আশেপাশে কংক্রিটের ফুলশয্যা নির্মান করা আছে অনন্তকাল। তারই কোনও এক সূচমাখা বিন্দু ধরে আকণ্ঠ চুমু খাব তোমায়। বুক ছুঁয়ে দেখো তুমি – বুক বেয়ে ফ্লাইওভার চলে গেছে পার্কস্ট্রিটমুখী।
দুখানা বিপ্লবী জেহাদ পাঞ্জাবীতে মুছে ফেলে এসেছি কফি হাউসের গুলজারে- এখন আমি শপিং করতে ব্যাস্ত হয়ে পড়ব বাতানুকূল চারিদিকে চোখ সেঁকে নিয়ে।
লোকে বলতে পারে চশমার কাচে বাষ্প জমে আছে, বকফুল ছিঁড়ে দেখো হাল্কা সুবাসও দেবেনা তোমায়।
এসব কনট্রাস্ট মার্কা কথাবার্তায় মাথা ঢাকা দিয়ে ছাতিমতলায় বাস করব দুজন। গঙ্গাপাড়ের আলোবাতাস তোমার সংযমী ওষ্ঠকে কায়স্থ করে তুলবে ক্রমাগত; এ প্রেম আমার নয়।
শ্রেয়সী, চেয়ে দেখ আজও সহস্রটা পাথর বেঁচে আছে - কলকাতার রাস্তা হবে বলে।
1 comments:
শ্রেয়সী, চেয়ে দেখ আজও সহস্রটা পাথর বেঁচে আছে - কলকাতার রাস্তা হবে বলে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন