পার্থপ্রতিম রায়, ফোন- ৯৬৮১২৮৫৯২৫, মূলত প্রথম দশকের কবি। প্রথম লেখা পত্রিকার নাম - বোহেমিয়ান / কবিতা পাক্ষিক। ক্ষেপচুরিয়াস (প্রিন্ট) ম্যাগাজিন এবং ক্ষেপচুরিয়ানস ই-পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত। লেখা ভাললাগে - তুষার চৌধুরী, শক্তি চট্টোপাধ্যায়, সুকুমার রায়, বিনয় মজুমদার, জীবনানন্দ, ভাস্কর চক্রবর্তী। প্রিয় বই - বিনয় মজুমদারের শ্রেষ্ঠ কবিতা, অন্তহীন জেব্রাঋতু(তুষার চৌধুরী), নির্মল হালদারের শ্রেষ্ঠ কবিতা ও ভাস্কর চক্রবর্তী, পার্থ মনেপ্রাণে একজন প্রকৃত ক্ষেপচুরিয়ান নামেই পরিচিত ।
রংবোতলের হামাগুড়ি
১
নদীটাকে পাশ বালিশ করে
কাশফুলগুলো নিভিয়ে দিলাম,
দোপাটি তারা হেলান দিয়ে বসে
হাসির চিহ্ন ফেলে যায়
চাঁদের আলো ক্রমশ ইকো হয়ে
পেগ গ্লাসে ঝাঁপ...
২
বাইন্ডিং প্রেম!
- ওকে জোছনা করে দাও
ফোন পাশে থাকলেও উষ্ণতা
আজব যজন দূরে...
নিরাবতার পেরিমিতার...
৩
অনবরত উড়ে যাবার তাগিদ
অনবরত ভাষা বদলের দেরাজ
আনাচে কানাচে কথা নিভে আসে
মদ খেলে মাঝে মধ্যে নিজেদের
মদের মতো বিনিময় যোগ্য বলে মনে হয়...
৪
"ঘাস আমার প্রিয় উদ্ভিদ"
-আনোখা রিলিফ রাত
রঙিন বোতলে বিন্যাসটাই ডুবছে
এই দৃশ্যের কোন পুনরক্তি নেই !
৫
আপাতত যেভাবে তুমি ছায়া
হলে সেই ভাবেই সমস্তকিছু...
নেশায় আরোপিত হলে, দিলদার
হয়ে উঠার সামিয়ানা-
৬
নেশা পেরিয়ে সাবালক হচ্ছি কেউ কেউ
আমরাও প্রবাদের অনুবাদ
সামান্য ঝাঁকুনিতে হয়তো রাত ডুবে যায়
কংক্রিট কু- য়াশা...
৭
শব্দ বদলের গা থেকে আমিও
ককটেল রেসিপি,
চোখ পোহানো ছায়াফলের তুষ
এখন কেবল রিংটোনেই স্বয়ং ঈশ্বর
প্রতিপাদ্য দৃশ্যের বোতাম লাগু হচ্ছে না।
৮
স্তব্ধতার টুইস্ট নিয়ে
কথার মধ্যে মুহূর্তযাপন, শুধু
তোমার এক্স-ফ্যাক্টরে উপভোগ
করছি নিজেকে...
৯
দুপেগ মিশে যাওয়ায়
দৃশ্যগুলো হেলে পড়েছে,
শিস হয়ে হেলে যাওয়া বুঁদজলে
বিলিয়ে শুয়ে আছি রাতের শরীরে।
সাইলেন্ট মোডে একটা বাঁক...
১০
নিমেশে চাঁদের আলো গুছিয়ে
ভোর ৪টে, নেশালু ক্রিয়াপদ ভাঙছে
পাখির শব্দে। তবু রাত অভিমান !
কারন, আমাদের রাত জাগা হলো না
রাতকে জাগানো হলো ...
রাতের অনুলেখায়...
যাবতীয় ফেলে আসাগুলোয় ভাঙতে ভাঙতে আদ্ভুত ঈশ্বর এঁকে ফেলেছি,
তারপর আগের পরিচিত 'থ' গুলো ভারি হয়ে সেকেন্ডে টুকে নিলাম। কিছু
ফর্মুলা নির্মিত রোদের নিচে হাওয়া কেটে যায়। ফোঁটা ফোঁটা আলোর পালিশে
আমার ভেজা হল না !
এই মাত্র নির্জনতার পালক কুড়িয়ে পেলাম! আচমকা তুমি ছায়া হয়ে গেলে
আমি আশ্চর্য তোতলামিতে মেতে যায়। আর সম্পর্কের রতিরা জোনাকি হয়ে যায়...
আসলে ভালোবাসা হল নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার কনসেপ্ট। কঠিন ভাবুকে
গান উঠে এলে অবাকের ফুটো দিয়ে নিজেকে দেখে সটকে পড়ি।
পায়ে পায়ে দুপুরকনা...
চোখের ফেনায় দাগগুলো পেরিয়ে রুলটানা বারান্দা, সমকোণ মাখানো
রোদের আদোল। কথায় কথায় শব্দ উঠে না এলে, আঁতকে উঠার আগে
সিগারেটের ধোঁয়া ছোলকে নি ।
মালুম হলো আমার অপেক্ষাগুলো বিন্দাস হয়ে গেছে । আর গালে মেশানো
রূপকথা খুলন্ত ছাতার ঠিক নিচে, এরপর বাঁ পকেটে তুমি চলে এলে
টুকরো গল্পের ভাঁজগুলো ছড়ায়নি...
কেত্তোন...
দুইহাতে পতন সরাচ্ছি
সংশয়ের সঙ্কীর্তনে আমি চৈতন্যদেব
বাদবাকি সব খড়কুটোর সহজপাঠ ||
2 comments:
partho re............chumu o chumuk.........
aaro onek potha jomuk.........
আগামীদিনের কবিকে পেলাম আজ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন