বিশ শতকের নব্বই-এর দশকের উল্লেখযোগ্য কবি কচি রেজা (পিতৃদত্ত নাম নীরজা কামাল) গোপালগঞ্জ জেলায় ৮ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। তার শিক্ষা জীবন বাংলা দেশ এবং নিউ ইয়র্কে। অধুনা নিউ ইয়র্ক অধিবাসী।
উল্লেখযোগ্য কাব্য গ্রন্থ:
১। অবিশ্বাস বেড়ালের নূপুর (শ্রাবণ প্রকাশনী-২০০৯)
২। ভুলের এমন দেবতা স্বভাব (ধ্রূবপদ প্রকাশনী-২০১০)
৩। অন্ধআয়নাযাত্রা (কবিতা সংক্রান্তি-প্রকাশনী-২০১২)
উল্লেখযোগ্য কাব্য গ্রন্থ:
১। অবিশ্বাস বেড়ালের নূপুর (শ্রাবণ প্রকাশনী-২০০৯)
২। ভুলের এমন দেবতা স্বভাব (ধ্রূবপদ প্রকাশনী-২০১০)
৩। অন্ধআয়নাযাত্রা (কবিতা সংক্রান্তি-প্রকাশনী-২০১২)
রডোডেনড্রনগুচ্ছ
১।
এক একটি মহাদেশ জলে পড়ে যাচ্ছে
জল উড়ে যাচ্ছে ডলারের মত
তাকে আমি জলের দামে কিনে
ইঁদুর হয়ে কাটব চশমা
নির্জনে কোমরে হাত দিয়ে
নাচঘর থেকে টেনে নিয়ে গেছ তারা
তালুতে চেটেছ একা থাকা নাভী
জানিয়ে দিই আগামীকাল তার বিবাহ
এইসব বীজানু চোখ থেকে খুলে
ভরদুপুরের সাথে ঘুমাবে সে এখন
ঘুমগুলো চোখ ছাড়া ছিল
চোখগুলো দুপুর ছাড়া ছিল
সব তুষার সাফ হলে
ঝরাপাতা নিয়ে চলে যাবে ট্রেনগুলো
২।
ড্রয়ার খুলে কয়েকটি ছোট-বড় কাজ করা পোশাক
কোন আমলের তা মোম জ্বেলে পড়া গেল বেশ;
জিউশদের টুপির ভেতরে ও অস্পৃশ্য রসিদপত্রে দাওয়াইয়ের লিস্ট;
পুরুষ তার শরীরী শক্তি নিয়ে তখনও সন্দেহপ্রবণ।
যে তিনটা মমি উল্টে পড়ে আছে
কূটতর্কে ভাল করে চিনতেও পারি না।
অথচ দেহ আরকে ডুবিয়েছিল তারা!
বলেছিলাম, দাদা মশাইয়ের পদবীটাও যেন ওরা মমি করে দেয়;
সম্রাজ্ঞীর পোশাকে নিজেকে আনস্মার্ট লাগে; তাই, গাফিলতি করে করে
ফিরিয়ে দিয়েছি রোমান রাজপুত্র।এখন কে যেন
আমার পাথর-মূর্তির চুল আঁকছে
কস্মিনকালেও আমি গ্রিক ছিলাম না, তাই, ইচ্ছে
হালকাভাবে আগুন জ্বালিয়ে পোড়াতে পারতাম যদি
অশ্বের খুরে-খুরে গুঁড়ো হয়ে গেছি, তবু
নিজের চুল কোঁকড়া করি নি কখনও।
৩।
শাড়িতে জড়িয়ে গেছে ভোরবেলা
তরুনী ব্লাউসের কাঁধে হাত,
আমি কি ভোরের চিঠিতে কুয়াশা,
কিছুদিনের ভেতর শিখে গেল দুপুরও
বিচলিত ছোটাছুটিতে বোঝা যায়
এই হাওয়া খুঁটছে ঠোঁট,
গ্রহলোক ঘুরে আগে নেমে যাক যাত্রীরা
শীতল নাভী কামড়ে ছুঁড়িটা বলবে,
টলে উঠেছে কি জল, আত্মহত্যা করে দেখ।
৪।
ঘৃণা করো, করলে মনে হবে, তুমি ভিন্ন,
আমি পুড়ে পুড়ে-- পুড়ে পুড়ে বিভিন্ন আগুনে
হয়েছি অংগার,
গুঞ্জন শুনে তুমি ভালো করে দেখছ আমাকে,
এই শীতে অবজ্ঞা জ্বালিয়ে বলছো, তুলে দাও জানলার কাচ'
দু'একটি শীত যাক, গেলে কুয়াশা শিখব আমিও,
ভুল হয়ে গেছে, অবজ্ঞা করি নি তাই আগে,
আচ্ছন্ন হয়ে আছি এখন ক্ষুধায়, অপেক্ষায়,
সিঁড়ির অর্ধেক এসে কে যেন দিব্যি চলে গেল চুম্বন না দিয়ে।
৫।
প্রজাতন্ত্রের আদমশুমারী মেয়ে কাঁচা রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলে গেছে,
গ্রীষ্মে আবহাওয়া শুকনো থাকলেও, ফ্লাই করলো না প্যারাসুট,
মিউজিয়ামের ইজিপশিয়ান ফ্লোরে আমি, দেখছিলাম মমির
সম্রাজ্ঞীর হাত উড়ে উড়ে ছাদ থেকে, কালো চোখ যাচ্ছে
খেজুরগাছের নীচে--
এবারও কি বাকি রয়ে যাবে আমার প্রিয় ক্ষুদ্র নাম,
কাচের জাল এড়িয়ে কতবার তো হাতচিঠিতে ভ্রু শুদ্ধ
স্পেলিংএ লিখি,
জেনে রেখো, আগামী নাড়িতে রক্ত চুষবে আমার মুখ---
আদমশুমারী মেয়েটি লিখবে কুমারী অশ্রু,লিখবে,কন্যা।
৬।
শব্দেরা ঝুঁকে পড়ে ঢেকে রেখেছে
কোমরের ভাষা,
পাশাপাশি মোম, চুমুর ধ্বনি
গ্রীষ্মকাল আর তার পশ্চাদবর্তীদের হাত ধরে
নিয়ে যাচ্ছে অন্ধ প্রেমিক,
দূরের দিগন্ত থেকে ফিরবার পথে
গা খুঁটছিল পাখিদুটি
দু’ফোঁটা মুছছিল
আকাশে মেঘের ছায়া রেখে
গুলির শব্দের কথা বলে
উড়ে গেল পাখি দুটি
৭।
নোনতা নেমেছে দুপুর বেলার জোড়া পায়ে,
কাঠের মাচায়, রক্তের কাঠবাদাম দেখেও দেখে না,
একটি নিষিদ্ধ ওষ্ঠ ছুঁয়ে গেল, আসলে উত্তাপ
ধুলো আর চুনসুরকির স্তূপ জ্বললো ভোর অব্দি,
মায়ের কানপাশা
কারা নিয়ে গেল ষ্ট্রেচারে করে,মৃত নিজেই বলল, ওইযে মাঠ--
কান্না ভাংছিল চোখ
বেস বল খেলছিল
এইসব বাঁকা ছবি তুলে রাখে, পিষ্ট চশমার কাচ।
৮।
আলিঙ্গনের সময় বোঝা গেল, ঈশ্বর শ্বেতাঙ্গ,
কেবলই শেতাঙ্গ,
আমিতো চেটে খাচ্ছি ঠান্ডা হাত, চোরাবালিতে গ্লাস
নামছে ভায়োলিন যে বাজাচ্ছে তার,
প্রজাপতির ভেতর ফুল
ফুলের ভেতর প্রজাপতি
ডানা ছুঁয়ে এসেছে অনুতাপ, নিজস্ব কুরে খাচ্ছে,
শেকড়মাঠ,শৈশবপুকুর,চুমুবিকেল---
আলমারিসুদ্ধ বাঁকা চোখ দেখছে খুট খাট জুতোর,
ব্যাগের বাড়ি ফেরা----
আগামীতে আমাদের মেয়ে হলে দু’পায়ে
যমুনা পরাবো
৯।
বেজে উঠলেই ছোবল দিচ্ছে হেলে সাপ
স্নো বল এগোতে এগোতে লাল হচ্ছে আদরে,
এইমাত্র স্নান ঘরের কথা ভাবছিলাম,আর
পাতা আমাকে আধঢাকা করে এক চামচ
ক্ষুধা রাখলো হাতে,
এবার তুমি বেজে উঠলেই আমি হেলে সাপ,
চারপাশের মোহ্যমান শরৎ লুট কোরে
সমূহ চিৎকার রেখেছি নিজের হাতে,
ছাড়পত্র লেখার সময়ে আখরোটের গায়ে
আবিষ্কৃত হয় বোমার সপ্লিন্টার,
ঠিক জানি,এবার যুদ্ধে যাবার ইশারায়
ভেঙ্গে যাবে স্তম্ভিত সেতুটি,
দুজনে কুড়োতে শুরু করে দুজনের হাত ।
১০।
ততটা সমুদ্র দেখে নয়
যতটা অঞ্জলি ভরে তুমি
স্পর্শ দাও;---চুম্বনের ধ্বক!
দাও,দগ্ধ-পোড়া ছিন্ন আর চূর্ণ চোখ,
আমার এ-মুখে মেখে নিই
--দিগন্তের শূন্য ধু-ধু চিকচিক বালি!
১১।
আমিতো হাত দিয়ে ঢেকে রেখেছিলাম, কেবলই হাত দিয়ে
গতবছরের আগুন কে যেন জ্বালিয়ে নিল এবছরেও
নেগেটিভ রক্ত শুকিয়ে নিলাম একটু, টায়ারের গ্রুপ জানি না,
রক্তশূন্যতার গায়ে সময়মতো লাগে যদি,
টপলেস হবার আগে শেয়ার মার্কেটের দর জানা দরকার,
একটা খেলনা আইনষ্টাইনের দামে এক ক্যারাভান ঊট,
দাম বেড়ে গেছে সোনালি বালির
যীশুজন্মের আগের ফারাও সম্রাজ্ঞীর চিকন কোমোর----
সাম্প্রতিক কাচ সভ্যতা ধরে রাখলেও নিষ্ফল হল
তিরিশ সদস্যের মিটিং,
তারা ফিতার বদলে হাত দিয়ে মেপেছিল স্তন।
১২।
তিলের গল্পকে ঢেকে রেখেছে সমরখন্দ, তোমার ঠোঁটের
মুক্তোবসানো ছুরির হাতল বদলে দিয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট,
সামান্য বিচ্যুতি,এর ঠিক পরেই জানার বেশি
শিস দিতে দিতে উড়ে যাবে পুরনো পাখিরা
শৃঙ্খল ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে পা পরে নেবে আনুগত্য,
সর্বনাশের কাঁধে তোমার মায়া সত্যি কিছু জারি রেখ,
জেন, আমি ওই উন্মাদের সব টুকু,
আগামী জন্মে ওর হৃদপিন্ড হবো, খুন করে পালাবার সময়
হেসে হেসে মরে যাব ভেতরেই, ওর বুকে,
মুখের পেশীতে বোঝা যাবে কী অবিশ্বাস্য স্তব্ধতা,
অন্যরকম, একেবারে অন্যরকম এই খুনীর হাতের ধাতব ক্যামেরা,
ভিসুয়ালাইজ করে রেখেছে,
আমার ঝরনা, আমার তোলপাড়।
১৩।
একটি বেঁচে থাকা সুগোল, যেন বেরিয়ে বাঁচে,
নার্সারি থেকে সবুজ আয়নায় তাকালে মোমদানিও
একমিনিটে ছাই,আমি তো পুড়িই,
কাঠের সিঁড়িতে কতবার উঠি,বুঝি ওঠা হল না
বুঝি জ্বালান হল না,পোড়া ঠোঁট,
প্রতিবিম্ব ঘুরে ঘুরে চিঠির কাছে, পড়েছ বুক,চিঠি পড়েছ?
অভ্যর্থনা ঝুঁকে থাকে হিজলে, জলের অজস্রতা্য়,
প্রতিমূর্তির হাতে,
একটি বেঁচে থাকা আহ্লাদ, যেন অপচয়ে বাঁচে,
দেখা বাঁচিয়ে, চোখ বাঁচিয়ে বাঁচে,
মহাপ্রবণতার নাম ভুল, নেভাতে নেভাতে ভাঙা হাড়ে,
মহাপ্রানের ভাঙায়---
১৪।
নখের অবিশ্বাস্যযোগ্যতায় গল্প শুনে নিয়েছে,
রেখা এঁকে দিয়েছে,
আমিও কাচ পাড়িয়ে বনে বনে---মনের
জানলার পাট খুলে ভাঙাচোরা গোপনে দেখি,
আগামী সংকটের গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি চারপাশে, জল জড়িয়ে
ভাসে কালো রাজহাঁস,
বোতামের সাথে ভালবাসা, শুরু করেছি বাসতে,
চৈতন্যে ঘাই—আমারও অবিশ্বাস্য পতন?
পারি যদি শষ্য হব,তুমি হবে উদাস কৃষক,অথবা ভাবুক,
টলষ্টয়ের কোটের ধরনে পরিগম্ভীরও হতে পার,
হতে পার প্রভাতফেরি, বদলে যাওয়া বৃক্ষ চরাচর
তখন জোড়া বাসনা, কাঙাল বাসনা তখন।
১৫।
মুখোশ খুলি নি সারাদিন তাই এই মিথ্যেকারের মুখ
ছায়া ধার করে করে অফিস-আদালতে যায়, তোমার কাছে যায়,
গেলে তাকে প্রশ্ন করো না, বরং আদরে মুখর করো - বজ্রপাতে বাঁচিও
উঁচু করে ধরো গৃহস্বামীর চোখ থেকে,
তার ফুলে ওঠা ঠোঁটে এক লক্ষ চুম্বন দিয়ে উর্বর করো, আর অঙ্কুরউদ্ভব
হলে নাম রেখো, উন্মাদ!
জীবনতো নিরুত্তর উত্তরের নাম - পাটিগনিত না জানা কাঁচা বালিকা,
পাঁচিল টপকে যে কোনো অজুহাতে দেখো, একদিন পৌঁছে যাব
ক্যাম্পের পালটা গানে।
১৬।
রোদ লাগে যদি, গ্রীষ্মমন্ডলীয় রোদ, তাহলে চিঠির পিঠ ঘুরিয়ে বসো
আর ব্যবচ্ছেদ করে দেখো, আমার কাঁধের হাড়ে কিভাবে অস্ত গিয়েছে সূর্য,
সাঁতরে চলো রাত, দেখো, এই ঝড়-বাদলে কিভাবে মাছের অপেক্ষায়
নৌকার জেলেরা, আর নীচু আমার দিকে—চেয়ে থেকো,
চোখের যন্ত্রনায় বেরিয়ে গেছে চোখ, এই খোলা বৃষ্টি তাকে পৌঁছে দিক
দুধের প্রস্রবনে ফেটে যাওয়া বুকে - পাখির মানসিক অবস্থা ভালো না,
তার জন্যও কিছু চিত্রকল্প, একটু জলের দিকে ঝুঁকে থাকা জরুরী
পথকে বলো, তথ্যটি জানিয়ে তাকে যেন নিয়ে যায় পার্টিজান অফিসে
১৭।
পায়ে কামড় দিয়ে মোজা ছিঁড়ে নিয়েছো, কুকুর
ব্রেকিং নিউজ-----
রোমেনি এন ওবামা স্পার ওভার এম্বেসি এটাকস
শীত এলে নাচ আর শ্যাম্পেন ওড়ে
শীত এলে আমেরিকার পতাকা পোড়ে
টেবিলে চার জন---টেবিলে পাঁচ জন ফ্রেসখাবার
ঢেলে দিচ্ছে পায়রার পাতে
পায়রা সোনার পেটটি ভরে খেয়ে ঢেকুরের সাথে দোয়া পড়ে
গভীর রাতে ইঁদুরের ছুরি দাঁত চুরি করে কাটে এঞ্জোলিনা জোলির
আরেকটি ভিয়েতনামি দত্তক
হা হা হো হো হেসে ওঠে গলার হার
কৃত্তিম নখের রঙ বোতাম ছিঁড়ে নিচ্ছে শার্টের
চোখের খাতিরে চুলের বেনি ও খেয়ে নেয় কয়েক পেগ
শীত এলে সব গাড়ির রঙ হলুদ,
কেবল থ্রি পিস সূটে চমকায় একটি ব্লন্ড মাথার গোলাপ,
ঘাঁটি সরিয়ে সরিয়ে চলো দক্ষিনে ----
১৮।
এই লালচে সকাল ভেঙ্গে,বাকিটা তুলোর টুপি,
বাকিটা হাত-মোজা ঢাকা পাতা পাতা বুক,
কুসুম গরম একান্ত ডিমের মতো খোসা ভেঙে, ঠোঁট চেটে নিয়েছিল সকাল
এক মাথা শ্রেষ্ঠ চুল হাওয়ায়, কুয়াশায় ভেজা গ্রাম,
ঠেলাগাড়িতে কার্ডিগ্যানের যাতায়াত শীত থেকে শরতের
ব্রিজ অবধি,
বো-টাই বাঁধা সরল গাছের নীচে ঘাস-কাটার মেশিন,
আমিও আগামীর ঘাস হব? পুশ চেয়ারে টেনে নেয়া অন্ধ?
আমার চোখে ভানহীন মাশকারার কীর্তন বেজে ওঠা মুগ্ধতা,
বলো কিন্তু, প্রকান্ড জুতোর ভেতর যাবার আগে, ঠিক ঠাক নুন হয়েছে কি না?
তুমি তো আগভাত, গরীবের মাপা চা'ল একমুঠো।
১৯।
তাতারীয় ধরনের চুম্বন খুঁচিয়ে দিলো ঠোঁটের তিল,
তুমি বললে, ওভাবে নয়, এভাবে--
আমিতো ঠিক জানি, গ্রামান্তের মাঠে মাঠে সব চড়ুই
আজ ভিজে যাবে চোখের জলে,
সংসদে ফাটে দাম্ভিক হাসি, ব্যাকডো্র দিয়ে ঢুকে পড়ে
ব্যাকডেটেড পাখি, এক কবির স্মরন সভায় শুধু চিকন ফুলের মালা,
হাতবাক্সে সেধোবার আগেই শর্ট স্কার্ট দুলিয়ে হেঁটে চলে যায় তিল
কোথাও শানিয়ে ওঠা জলে,
এগিয়ে আসে লেফটেন্যান্ট
এগিয়ে আসে রেডক্রশ
পার্টিজান অফিসের এক লিষ্টিতে কিছু পাকা জাদুকরের নাম
আমি খুঁজতে বেরিয়েছি গনকবর
২০।
ঘুন্টিঘরের সামনে এলো মেলো কিছু মেঘের ভঙিমায় মনে হলো, আমি একা,মেঘেরও কিছু নেই, একটি ভাঙা-মায়া-বুকও, বৃষ্টি এলে তাই কুকুরটা বেঁধে রাখি গলায় বকলস দিয়ে,
বেড়ালাক্ষী বলে আমার চশমা গোল আর তুমি অম্লানবদনে মিথ্যে গড়িয়ে দিয়ে বললে,
এ-শরীর আমার,এর বিহ্বভলতা
কিছুদিন ঠোক্কর, তারপর অন্য গোলার্ধের শান্ত হয়ে আসা বরফ কুচি সরিয়ে দেখে নেয়া গেল, নেকস্ট টপ মডেল ক্যাটওয়াক, বৃষ্টি উধাও হবার পর,
কাচ ভেঙ্গে গেলে অক্সিক্লিন দিয়ে মুছে রাখি ফ্যামিলি এলবাম
1 comments:
কবি এবং কবিতাকে পাওয়া গেলো । এক জায়গায় , এক সাথে। ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন