না
ইন্দ্রনীল তেওয়ারী
কিছুতেই লিখব না ডুবে যাওয়া সুরজের ছবি রক্তের রঙ আর চেনাব না কিছুতেই। হুশ করে উড়ে যেতে পারে পাখি যেকোনো দিকেই। আকাশের দিকে রেখে যাওয়া উড়ানের ছাই নিয়ে আসব না কিছুতেই। কিছুতেই তোমাদের চোখের দিকে তাকাব না।
ও দুনিয়ার হেঁটে যাওয়া মানুষেরা,আমার চোখে গেঁথে দেখে নিতে পারো তলোয়ার। কিছুতেই ফেটে বেরোবে না সমুন্দর।
আমার কোন ইতিহাস নেই, বর্তমানের বুকে ছোরা চালিয়ে ভবিষ্যতের পাঁজর থেঁতলে চলে যাবো। জেনো কখনোই আর কেও কোনোদিন পাথরের বুকে মাথা রেখে ঘুমিয়ে যাবে না , আর জেগে উঠবে না তাজমহল।
কিছুতেই ঝগড়ার সীতা কাহিনী লিখব না। গাইব না রক্তাত সম্পর্কের রামগান। দরজার গায়ে খিল তুলে দিয়ে হিংস্রতার প্রয়োজন নেই,চিৎকার ক্রন্দনের দিকে চলে গেলেও আর কখনোই টোকা দেবো না ।
ও মেয়ে ,ও ছেলে তোমাদের চোখের জলে কোনোদিন লহু হয়ে গড়াব না কিছুতেই। অপেক্ষার ট্রাম আর কোনোদিন ধরো না। আমি আসব না আর কোন প্রতীক্ষালয়ে।
চুমুর ধরন নিয়ে এরপর কোনোদিন লিখব না ,লিখব না কখনোই দু হাতের জোর, কিছুতেইধুলোয় ধুলোয় বিছিয়ে দেবো না ঘাম আদরের গোলাপ গন্ধ।
হলুদ ছোপান আঁচল ধুয়ে ফেলো তামাম দুনিয়ার মা। মুছে ফেলো বাবা, ছেঁড়া ও ক্লান্ত গন্ধে ঢাকা গেঞ্জিতে গর্বের হাসি। তোমাদের সন্তানের চোখে আর কখনোই আলো লিখে যাবো না। কিছুতেই ছুঁয়ে যাবো না খেলনা ঘর, খেলার মাঠ।
আমার হোলির দিন, দেওয়ালির রাত, পবিত্র গ্রন্থসাহিব, কারবালার মাঠ, শুক্কুর বারের ক্রুশকাঠ সব মুছে দিয়ে চলে যাবো । ফিরব না কিছুতেই।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন