একটি ঘটনা যা বদলে দেয় জীবন
মৃণাল ঘোষ
... তার আগে তাঁর (গণেশ পাইন) চাকরি না পেয়ে সম্পূর্ণভাবে শিল্পের কাছে সমর্পিত হওয়ার কাহিনীটি এখানে শেষ করে নি। শেষ ইন্টারভিউ তিনি দিয়েছিলেন কেশরাম কটন মিলসে -- শাড়ির নকশা প্রস্তুতকারক শিল্পীপদের জন্য। কয়েকদিন ধরে তাঁর যোগ্যতার পরীক্ষা হয়েছিল। নিজস্ব অনেক কাজ সেখানে দেখাতে হয়েছিল। সে-সব কাজ দেখে সেখানকার পরিচালকমন্ডলী তাঁর যোগ্যতা সম্পর্কে নিশ্চিতও হয়েছিলেন। তাঁদেরই একজন, মিঃ ব্যাস, তাঁর মধ্যে একজন বড় শিল্পীর সম্ভবনা দেখতে পেয়েছিলেন। তিনি বুঝেছিলেন এই চাকরিতে ঢুকলে সেই সম্ভবনা ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাবে। তিনি বলেছিলেন এরকম পদের জন্য "উই ডোন্ট ওয়ান্ট যামিনী রায়জ"। জানিয়েছিলেন যোগ্যতা সম্পর্কে তাঁর কোনো সংশয় নেই। নিয়োগপত্র তিনি তখনই দিয়ে দিতে পারেন। কিন্তু আর এক দিন সময় নিয়ে ভেবে দেখতে বলেছিলেন তিনি, গণেশ পাইন সত্যিই এই চাকরি করতে চায় কিনা।
তারাতলা অঞ্চলের সেই ফ্যাক্টরি থেকে সেদিন বিকেলের দিকে ফিরছিলেন গণেশ পাইন। বাসে প্রচন্ড ভিড়। সেই ভিড়ের মধ্যে একটি ছোট ছেলে তাঁর দিদির হাত ধরে কোনোরকমে চলছে। এত ভিড়ের মধ্যেও সেই শিশুটি তাঁর পকেটে একটা কিছু রক্ষা করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। নামার সময় উঁকি মেরে দেখলেন ছেলেটির পকেটে একটি সিঙাড়া। তাকেই সে অক্ষত রাখতে চাইছে। দৃশ্যটি সেই মুহূর্তে তাঁর সামনে থেকে একটা আবরণ সরিয়ে নিয়েছিল। এই শিশুটি যদি সমস্ত শক্তি দিয়ে তাঁর কাঙ্খিত জিনিশটিকে রক্ষা করতে পারে, তাহলে তিনি নিজে কেন পারবেন না, তাঁর নিজস্ব ঐশ্বর্যটিকে বাঁচিয়ে রাখতে। তাঁর শিল্পীসত্তাকে কেন নষ্ট হয়ে যেতে দেবেন তিনি চাকরির গতানুগতিকতায় জড়িয়ে?
পরদিন ওই অফিসে গিয়ে তিনি জানিয়ে এসেছিলেন তিনি করবেন না ওই চাকরি। আর বাড়ি ফিরে সমস্ত সার্টিফিকেট, ডিপ্লোমা যা কিছু ছিল নষ্ট করে ফেলেন। ছবিকে তাঁর জীবনের একমাত্র কাজ বা ব্রত হিশেবে বেছে নিতে হয়তো একটু বেশি সময়ই অপেক্ষা করতে হয়েছিল তাঁকে। সেটা ছিল ১৯৭৫ সাল। ততদিনে শিল্পী হিশেবে তাঁর খ্যাতি বিস্তৃত হয়েছে।
... তার আগে তাঁর (গণেশ পাইন) চাকরি না পেয়ে সম্পূর্ণভাবে শিল্পের কাছে সমর্পিত হওয়ার কাহিনীটি এখানে শেষ করে নি। শেষ ইন্টারভিউ তিনি দিয়েছিলেন কেশরাম কটন মিলসে -- শাড়ির নকশা প্রস্তুতকারক শিল্পীপদের জন্য। কয়েকদিন ধরে তাঁর যোগ্যতার পরীক্ষা হয়েছিল। নিজস্ব অনেক কাজ সেখানে দেখাতে হয়েছিল। সে-সব কাজ দেখে সেখানকার পরিচালকমন্ডলী তাঁর যোগ্যতা সম্পর্কে নিশ্চিতও হয়েছিলেন। তাঁদেরই একজন, মিঃ ব্যাস, তাঁর মধ্যে একজন বড় শিল্পীর সম্ভবনা দেখতে পেয়েছিলেন। তিনি বুঝেছিলেন এই চাকরিতে ঢুকলে সেই সম্ভবনা ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাবে। তিনি বলেছিলেন এরকম পদের জন্য "উই ডোন্ট ওয়ান্ট যামিনী রায়জ"। জানিয়েছিলেন যোগ্যতা সম্পর্কে তাঁর কোনো সংশয় নেই। নিয়োগপত্র তিনি তখনই দিয়ে দিতে পারেন। কিন্তু আর এক দিন সময় নিয়ে ভেবে দেখতে বলেছিলেন তিনি, গণেশ পাইন সত্যিই এই চাকরি করতে চায় কিনা।
তারাতলা অঞ্চলের সেই ফ্যাক্টরি থেকে সেদিন বিকেলের দিকে ফিরছিলেন গণেশ পাইন। বাসে প্রচন্ড ভিড়। সেই ভিড়ের মধ্যে একটি ছোট ছেলে তাঁর দিদির হাত ধরে কোনোরকমে চলছে। এত ভিড়ের মধ্যেও সেই শিশুটি তাঁর পকেটে একটা কিছু রক্ষা করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। নামার সময় উঁকি মেরে দেখলেন ছেলেটির পকেটে একটি সিঙাড়া। তাকেই সে অক্ষত রাখতে চাইছে। দৃশ্যটি সেই মুহূর্তে তাঁর সামনে থেকে একটা আবরণ সরিয়ে নিয়েছিল। এই শিশুটি যদি সমস্ত শক্তি দিয়ে তাঁর কাঙ্খিত জিনিশটিকে রক্ষা করতে পারে, তাহলে তিনি নিজে কেন পারবেন না, তাঁর নিজস্ব ঐশ্বর্যটিকে বাঁচিয়ে রাখতে। তাঁর শিল্পীসত্তাকে কেন নষ্ট হয়ে যেতে দেবেন তিনি চাকরির গতানুগতিকতায় জড়িয়ে?
পরদিন ওই অফিসে গিয়ে তিনি জানিয়ে এসেছিলেন তিনি করবেন না ওই চাকরি। আর বাড়ি ফিরে সমস্ত সার্টিফিকেট, ডিপ্লোমা যা কিছু ছিল নষ্ট করে ফেলেন। ছবিকে তাঁর জীবনের একমাত্র কাজ বা ব্রত হিশেবে বেছে নিতে হয়তো একটু বেশি সময়ই অপেক্ষা করতে হয়েছিল তাঁকে। সেটা ছিল ১৯৭৫ সাল। ততদিনে শিল্পী হিশেবে তাঁর খ্যাতি বিস্তৃত হয়েছে।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন