মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০১৩

কবিতা – রাজীব ঘোষ

স্মৃতি ও শূন্যতা
রাজীব ঘোষ



যার স্পর্শে শুধু ভাঙন, সিম্পাজী দলে সেই—
একমাত্র নদী হবার যোগ্যতা অর্জন করে ।
তাঁর নামে আসে গ্রিটিংস্‌ কার্ড
তাতে লেখা কিছু সংকেত ...

কোত্থেকে একটি বালক সামনে এসে দাঁড়ালে
ঘুনসি থেকে প্যান্টটা খসিয়ে, দু-পা ফাঁক করে
আমি তোমার ভিতর ডুববো ! তুমি মুখ গেলো ।
চমকে তাকায় নদী । না বলতে পারলো না
রাত-ভোর দিলো ডুব, তুফান উঠল জলে
এতগুলি ডুব দেবে, ভাবতে পারেনি
দুঃখ পায়, সারা শরীর ব্যথা হয়ে ওঠে ।

আজ থেকে তের বছর আগে এভাবেই একদিন
আকাশ থেকে সোজা নেমে চাঁদ ডুব দিয়ে ছিল ।
তার কয়েক মাস পরে একটা পাথরের টুকরো
ছুটে এলে আমার শরীর লক্ষ্য করে
রক্তের চেয়েও গাঢ় , তাকে সেদিন দিতে পারিনি
মেঘের ঠিকানা ।
তারপর থেকে আমায় দেখলে মুখ ফিরিয়ে নিত
সকালের রোদ এবং সন্ধ্যার প্রদীপ ।

ছেলেটি প্যান্ট পড়তে পড়তে আর একবার চুম্বন করে
ভাঙা কপালে । তেষ্টা পায় , জল খায়
জল খাবার শব্দ এমন ছিল যেন স্তন পান করছে ।
একবার পাছায় লাথি মেরে জিজ্ঞাসা করতে ইচ্ছে করে,
শালা, তোর মা দুধ খাওয়ায়নি?

সকালের সূর্য এসে বাম কানে ফিসফিস করে বললে
তোমার শরীরে বান ডেকেছিল এই বালকের জন্মে,
সেই দিন থেকে সৃষ্টি হল ঊষ্ণ প্রস্রবণ এবং স্মৃতি ও শূন্যতা ।