সোমবার, ১ অক্টোবর, ২০১২

সম্পাদকীয় - ৬ষ্ঠ সংখ্যা


থিম আল্ট্রামর্টাল


বিগত তিন-চার দশকের কবিতা ছেঁড়াকাটা পেরিয়ে সমসাময়িক বাংলা ডায়াস এক মুক্তহরিৎফিল্ড। বৈচিত্রের কমা-পূর্ণচ্ছেদ-সেমিকোলনহীন একটা দুরন্ত সিস্টেম পাগল গায়কের মতো আঁচড়ে চলেছে অন্ধত্বকে - ম্যান্ডোলিনের সোহাগ টপকে গেছে লুনাটিক মতিভ্রম। এই অন্ধত্বের নাম প্যাশন -জুনুন -পাগল্‌পন্‌-ম্যাডনেস -ব্লাইন্ড দৌঁড় দৌঁড় দৌঁড়বাজ। প্রসার এর দিক দিয়ে মাধ্যমগুলি সান্দার অলিভ গালিচা পায়নি, দীর্ঘকালীন একরোখা মেলোডি এনেছে সফরে।

অনলাইন ক্ষেপচুরিয়াসের সাথে পরিচয় এর জন্মলগ্ন (২০১১ র সেপ্টেম্বর) থেকে। একের পর এক এর ক্রাস্ট-ট্রাফ গুলোয় ভেসেল-এ থেকেছি আমিও। ঝড়-ঝাপটা র প্রকারভেদ দেখেছি। ক্ষেপচুরিয়াসের সার্কুলেশন এই মুহূর্তে বিস্তর - এর অ্যাক্টিভ বডি গড়ে উঠেছে এবং উঠছে পিঠোপিঠি। পাগলদের এই অভয়ারণ্য এই পাগলাগারদে পাগলামোর মানে কিন্তু অসুস্থ আলাপচারিতা নয়,পাগলামো মানে এখানে 'ফ্রিডম অফ ক্রিয়েশন',একটি সৃষ্টি আসলে একটি চেন রিয়্যাকসান -সেই নির্ভীক ফ্লেক্সিবেল সৃষ্টির লাইসেন্স ক্ষেপচুরিয়াস। আমরা গড়ব-আমরা ভাবব-আমরা বলব এবং এগোব,এই এগোনোর অর্থ নতুনেরও আগে এগোনো -একটা অজানা ভবিষ্যতের স্পন্দন বুকে চেপে যাবতীয় হুলাল্লা। ভালো-খারাপ দিক সবকিছুরই থাকে, খারাপ দিক দেখবার অধিকার সকলের আছে ,তাই ক্ষেপচুরিয়াস ভালো র সাথে সাথে খারাপ কবিতার ও সাম্যাবস্থায় গতিশীল। এই গতিশীলতার একটা এক্সট্রিম পয়েন্ট থাকে,যেখানে পৌঁছে শূন্যের আনন্দ এবং ক্রমশ ত্যাগের মাধ্যমে স্টেবিলিটি অর্জন বোধগ্রস্ত হয়- হ্যাঁ আমরা কথা বলছি মৃত্যুর, ভালো-খারাপ নির্বিশেষে সকলের মৃত্যুর বা অস্থায়ীত্বের। দৌঁড়নোর এই এফেক্টিভ পর্যায় টুকুই অবদান রেখে যায়,অমর কেউ না,প্লাস্টিকের ফুল হয়তো চিরকালীন কিন্তু আমরা ভালোবাসি পাঁপড়ির মিষ্টত্ব –তার শুকিয়ে যাওয়া ও একটা বোধ – ফ্রয়েডীয় মায়ার সান্দ্র স্যাণ্ডউইচ কেটে এভাবেই আমাদের গতিশীল গতিশীলতা য় চড়াই-উতরাই। আমরা কেউ বিখ্যাত হতে আসি না –প্রকৃতির নিয়মে বা অনিয়মে হয়ে যাই ,একটা স্রোত তাই খুব মূল্যবান। ঘুরে-ফিরে একই কথার ভিড়ে আজকাল বেঁচে থাকা এক চ্যালেঞ্জ –অহরহ পালটে যাওয়া ফ্রেমকে আটকে রাখার গ্র্যাভিটিলেস প্রচেষ্টা এক উন্মাদনা – এই উন্মাদ ঝুঁকি প্রবণতাই অমল সঞ্জিবনী আবিষ্কার।
যেখানে চাঞ্চল্য নেই-খিদে নেই – চাহিদা নেই সেখানে জল জমে অ-বায়োবিক ক্রমান্বয়ে যা দূষিত এবং মহাদূষিত করে তোলে আবহ।

ক্ষেপচুরিয়াস এর পরিসর অহরহ সেই টার্বুলেন্সে বয়ে যাক এই আশাই রাখি।

মূলধনের ব্যাপারে আমার হয়তো বলা সাজে না ,তবুও একজন মেম্বার হিসেবে একটা দাবি রাখি, ক্ষেপচুরিয়াসকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমাদের পরবর্তী ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সাহায্য দরকার হবে – তাই আমরা প্রতি মাসে যদি নির্দিষ্ট পরিমাণ রুপি (যতসামান্য ২০-২৫ রুপি) করে জমা করি নির্দিষ্ট নির্দিষ্ট ফাণ্ডে তাহলে রেগুলার এগজিস্‌টেন্সে কোনো সমস্যা হবে না। কিভাবে কোথায় সেই ফান্ড হবে তা পরের ব্যাপার আগে আমাদের দেখতে হবে আমরা রাজি আছি কিনা,যে গ্রুপের সদস্য এতোজন তাদের যতসামান্য এই সাহায্যও ক্ষেপচুরিয়াস কে তুমুল গতিশীল রাখবে এবং ইউনিটির এ এক অনন্যোপায়। তাছাড়াও বহু সদস্যের পার্সোনাল কন্টাক্ট এবং স্পনশরশিপ বা পার্টনারশিপ কেও এখানে কাজে লাগানো যায়। নিজের কথা বললাম-এভাবেই একটি অ-বাজারী প্রাইভেট পত্রিকার উত্থান আমি কল্পনা করি! এটা শুধুই প্রস্তাব। ভিত্তিপ্রস্থর আপনাদের হাতে। আগামী পুজোর মধ্যেই আশা করি আমাদের প্রিন্টেড সংখ্যা আসছে। প্রুফ দেখা শেষ, টাইমের মধ্যে করে তলার চেষ্টা করা হচ্ছে।


ক্ষেপচুরিয়ানস্‌ সম্পাদকমণ্ডলীর পক্ষে - ঋষি সৌরক