সোমবার, ১ অক্টোবর, ২০১২

অমলেন্দু চন্দ

তোতাকাহিনী

মুনেস্বর ঝা তো আমায় ভর্তি করে দিলেন। মনে আছে তার দাপট, প্রিন্সিপ্যাল নিজেই আমার ফর্ম ভর্তি করতে আরম্ভ করলেন, আমি তখন অদুরে দাঁড়িয়ে নাম কা ওয়াস্তে একটা পরীক্ষা দিচ্ছি, মানে লিখতে পড়তে পারি তার প্রমাণ দিচ্ছি আর কি। কেলাস সিক্স। পাঁচ কেলাস আমার আর দেখা হয় নি কখনো। ওহ হ্যাঁ আরও মনে আছে এর মধ্যেই আমার জন্য দুটো সন্দেশ এসে গেছে, আর ঝা’জী আর মায়ের জন্য চা। বয়েস কম ছিল তাই জামাই আদর বলা যাবে না, তবে হ্যাঁ বকলমায় ইম্পরট্যান্স টা পেয়েছিলাম আর সে বয়েসে সেসব ভাবার তো কোন জায়েগা ছিল না ফলে নির্দ্বিধায় সন্দেশে কামড় দিতে দিতে লিখছিলাম। তো সেটা নাকি আমার স্মার্টনেসের নমুনা ছিল, স্বয়ং প্রিন্সিপ্যাল বলেছিলেন।

১৮৩৫ সালে ইংরেজ বাহাদুর – বিহার বাংলা উড়িষ্যা তখন এক প্রদেশ, সেই তখন ইংরেজ বাহাদুর ইংরেজির প্রচার আর প্রসারের জন্য – কেরানিকুল এর সাপ্লাই যাতে বজায় থাকে, তার জন্য যেটুকু ইংরেজি শেখা দরকার তার প্রসারে স্কুল চালাল। সময়ের নিরিখে আজকের বিহার প্রদেশের সবচাইতে পুরানো ইস্কুল, ১৮৬২ সালে আজকে যে বাড়িটায় স্কুল চলে সেখানে উঠে এল। বাড়িটায় সর্বাঙ্গে সেই ইউরোপীয় স্থাপত্যের ছাপ, অনেক এক্সটেন্সান হয়েছে সময়ের প্রয়োজনের নিরিখে, কিন্তু মুল বাড়িটার উঁচু উঁচু খিলান আর বিশাল থামগুলো গোটা বাড়িটার আর্কেড সামনের টানা ঝুল বারান্দা কে তুলে ধরে রেখেছে, দারুন মেজাজি।

১৯৪২ এর কুইট ইন্ডিয়া মুভমেন্ট এ তৎকালীন ইংরেজ বাহাদুরের আফিসের - যেখানে আজকের সেক্রেটারিয়েট বিল্ডিং – ওপরে পতাকা তুলতে গিয়ে এই স্কুলের ক্লাস টেনের ছাত্র ঁসতীশ প্রসাদ ঝা গুলি খায়। আজকের সেক্রেটারিয়াট বিল্ডিং এর সামনে মার্টারস মেমরিয়াল সে স্মৃতি ধরে রাখবার একটা চেষ্টা, ১৯৫৬ সালে দেবীপ্রসাদ রায় চৌধুরীর তৈরি ব্রোঞ্জ এর স্কাল্পচার – সাত টা তরতাজা কিশোর গুলি খেয়ে পড়ে যেতে যেতে একে অপরকে সাপটে ধরে দাঁড়িয়ে থাকবার প্রানপন চেষ্টায় একটা ঝাণ্ডা তুলে ধরে রাখতে চাইছে। ওই নামগুলোর বাইরে ওই ছেলেগুলোর ব্যাপারে আজ – নিঃস্পৃহ ইতিহাস।

জয় প্রকাশ নারায়ন এই স্কুলের ছাত্র ছিলেন – সেটা বোধহয় ১৯১৭ – ১৮ এরকম সময়ের মধ্যে। সেই সব সময়ে হনার মানে Honour শব্দটার একটা ভিন্ন ঋদ্ধ অর্থ ছিল। জেপি পরে পাটনা কলেজ’এর ছাত্র থাকাকালীন গান্ধী’র নন কো অপারেসান মুভমেন্টে যোগ দ্যান – কিন্তু তখন তার মনে হয় – তার বায়ো গ্রাফির লেখকের ভাষায় যিনি তার অভিন্ন হৃদয় বন্ধুও ছিলেন – যে পাটনা কলেজ ইংরেজের পয়সায় চলে, সুতরাং স্কলারশিপ পাওয়া ছাত্র কলেজ ছেড়ে দ্যান আর একটি বিহার কংগ্রেস পরিচালিত বিহার ভিদ্যায়তন নামের ইন্সতিতিউসানএ গিয়ে ভর্তি হন। সেটি সদাকত আশ্রমের সৌজন্যে পরিচালিত একটি কলেজ ছিল। হনার এর এই সংজ্ঞা অনেকটাই হারিয়ে গেছে আজকের দিনে। পরে অবশ্য চৌরি চৌরার ঘটনার পর গান্ধী মুভমেন্ট প্রত্যাহার করে নেওয়ায় জেপি নাকি ডিসিলিউসন্ড হয়ে যান আর তারপর ইউ এস এ তে চলে যান ডিগ্রি আহরন করতে। তার সেই যাওয়াতে তার শ্বশুরের যথেষ্ট ভুমিকা ছিল।

সেই পাটনা –মনে আছে জেপি আন্দোলনের জেরে আমাদের সমস্ত পরীক্ষা টরীক্ষা প্রায় পনেরো মাসের মত পিছিয়ে যায়, সেসন গোলমাল, ঠিক হতে অনেক সময় লেগেছিল আমার ১৯৭৫ এর সেসন বা ব্যাচ ১৯৭৭ এ ইউনিভারসিটি তে পৌঁছেছিল। আমরা থাকতাম নওল কিশোর রোডে, মনে আছে এমারজেন্সি’র সময়ে – যেহেতু জে পি’র বাড়ি কাছাকাছি ছিল, গোটা এলাকাতে যখন বিশেষ পুলিস প্রহরা থাকত আর প্রচুর জিপ টিপ সারাদিন টহল দিত বুঝতাম জে পি পাটনাতে বাড়িতে রয়েছে জেলে নয়। তখন তো জিপ বলতে একমাত্র ক্যানভাস ঢাকা উইলিস জিপ, আর গাড়ি বলতে অ্যাম্ব্যাসাডর আর ফিয়েট। আর চোখে পড়ত প্রায় ছোটখাটো স্টিমার সাইজের ডজ গাড়ি, সে কি তার চাল।

গান্ধীর পরে জে পি’ই একমাত্র মাস লিডার যার ডাকে এক জায়গায় মিটিঙে মিছিলে যোগ দিতে দু লাখ লোক জড় হয়েছে। সে সময়ে তখন এমারজেন্সি’র পর ইলেক্সান ঘোষণা হয়েছে। তবে গান্ধীর কপালেও যা হয়েছিল, জে পি’র ক্ষেত্রেও তার ব্যাতিক্রম হয় নি, পাওয়ার স্ট্রাগল’এর সুত্রে যাদের এক করেছিল তাদের নিজেদের মধ্যের পাওয়ার স্ট্রাগল এর সমাধান সেও করতে পারে নি, এও না।

আমাদের সেই পাড়ায় ছিল আর এক নামধন্য পরিবারের বাড়ি, বাচ্চা বাবু বলে আমরা জানতাম, জমিদার পরিবার, জাহাজের মালিক, এছাড়া আরও সব অনেক কিছুর ব্যাবসা, আর জমিদারি তো ছিলই। গঙ্গার একপাড়ে পাটনা কে ওপাড়ের সঙ্গে যোগ করার নিয়ারেস্ট ব্রিজ ছিল মোকামা, সে প্রায় পাটনা থেকে নব্বই কিলোমিটার কাছে, আর গঙ্গার ওপারে মুজফ্ফরপুর এর দুরত্ত্ব সত্তর কিলোমিটার, কিন্তু সেই সত্তর কিলোমিটার হয়ে যেত দেড়শ কিলোমিটারের বেশী, আর তাই গঙ্গা এপাড় ওপাড় করার বড় বড় লঞ্চ চলত, সে পারাপারের পাটনার দিকের ঘাটের নাম হয়ে গেছিল বাচ্চা বাবু কা ঘাট, কারন বাচ্চা বাবুদের স্টিমার চলত সারাদিন, এ পাড়ে গিলে ওপাড়ে ওগরাত সারাদিন, তারপর ওপাড়ে ট্রেন থাকত, বার কয়েক গেছিও। তারমধ্যে একটা তো ভীষণ মেমরেব্ল, কারন সেটাই ছিল আমার জীবনের প্রথম খেলতে বাইরে যাওয়া, আমি নাইন টাইন এ পড়ি তখন।

বাচ্চাবাবুদের অবস্থা কিন্তু সেই জলসাঘরের বিস্বম্ভর রায়ের মত হয়নি, প্রজন্ম সময়ের সাথে বদলেছে, স্টিমার আজও চলে, তবে সারাদিনে বার কয়েক। বাচ্চাবাবুদের সেই দু আড়াই বিঘা জমির প্রাসাদ এখন মালটিস্টোরিড, কিন্তু সেই আমার দেখা ছেলেবেলার জাফরান গন্ধী একটু সময় একঝলক সেখানে আজও আটকে আছে – দুটো গাছ আর একটা মন্দির। একটা বট আর একটা অশ্বত্থ জড়াজড়ি করে এমন ভাবে বড় হয়েছিল, যে কান্ডে আলাদা করে চেনা যায় না কিন্তু পাতা একে অপরের মধ্যে মিশে আছে আর তার তলায় একটা শিব মন্দির। আমি সেই ছেলেবেলাতেও বড় গাছ দেখেছি, তার মানে গাছ পাথর নেই একরকম সে গাছের বয়েসের।

ছেলেবেলা – সবার ছেলেবেলাই তার কাছে এক অভ্রভেদী মালভূমি, শুধু তার বুনটের উপাদান একের থেকে অপরের আলাদা আলাদা। কারুর মালভূমি তার কাছে সেই তিব্বতের মালভুমির মত দুনিয়ার সবচাইতে উঁচু এক বিস্ময় যার সবটুকু সে নিজেও এক্সপ্লোর করে ফেলতে পারে নি, আবার কারুরটা যেন ভেনেজুএলা’র কুকেনান তেপুই – বৈচিত্র কম সৌন্দর্য অসাধারন। সেই নিয়মে আমার ছেলেবেলাও একটা বেশ মালভুমি টুমি তো বটেই, কিছু না হলে সেই ঘরের কাছের মাথেরান বা নিদেন পুরুলিয়ার লাল লাল টাঁড়। স্মৃতিচারণের সততা বজায় রাখলেও ছেলেবেলাকে অপছন্দ করা খুবই কঠিন, যদিও অনেকেই চেষ্টা করে অদ্ভুতভাবে তাতে কৃতকার্য হয়ে যান। আমি সেই সব ক্ষমতাধরদের মধ্যে পড়ি না। তবে এটাও সত্যি যে সবার ছেলেবেলা দীঘিদাঁড়ির পাড়ের বা গৌরনদীর ধারের পাতিঘাসের মতো নরম নধর চেহারার হয় না।

আসলে তখন দিনগুলো অন্য রকম ছিল মানুষগুলোও। এ দেশের ইতিহাসে করাপ্শন তো সত্তর’এর পরের দিকের থেকে শুরু হওয়া এক এপিডেমিক, তার আগে তো করাপশন নিয়ে কথা হলে উঠে আসত হরিদাস মুন্দ্রা’র নাম আর তার বেশি বলতে হলে খুঁজতে হত নামধাম আর করাপশন এর ইতিবৃত্য । আসলে পাব্লিক লাইফ’এ করাপশন ইন্সটিটুসনালাইস’ড হয়েছে গেল চার দশকে বেশিটাই আশি বা তার পরে। আজ তার ডালপালা বা মাটির নিচে শেকড়ের কোন সীমা পরিসীমা নেই। তাছাড়া বুকে হাত রেখে কি বলা যাবে আমরা কতটা আনকরাপ্ট রয়েছি?

হারিদাস মুন্ধ্রা’র স্ক্যাম ছিল মাত্র সোয়া কোটি টাকার । হাসি পেতে পারে আজ কারন টাকার পরিমাণ মাত্র যা বললাম তাই। অবশ্য ঊণীশশো সাতাণ্ণ’র নিরিখে সোয়া কোটি টাকার মূল্য খূব কম বলা যাবেনা তাহলেও কিন্তু সেই স্ক্যাম এর দিমেন্সিওন টা ছিল অনেক বড়। স্ক্যাম এর পেছনে মুল পেট্রন ছিলেন তৎকালীন ফাইন্যান্স মিনিস্টার টি টি কৃস্নমাচারি । তার অঙ্গুলিহেলনে সেই সময়ের Nationalized Public Sector Company - সদ্য সদ্য ন্যাস্নলাইজড হওয়া গভর্নমেন্ট প্রপারটি লাইফ ইন্স্যুরেন্স করপোরেশন হরিদাস মুন্ধ্রা’র কম্পানি’র শেয়ার কিনতে বাধ্য হয়েছিল – কম্পানি ডুবে যায় আর তাই পারলামেন্টে ফিরোজ গান্ধী’ রা প্রশ্ন তুললে তুমুল গোলমাল হয় কারণ ফিরোজ ততদিনে নেহেরু পরিবারের কাছে পাড়ীয়া’ড় মত হয়ে গেছেন। ফলশ্রুতিতে এম সী চাগলা কমিশন এর নিযুক্তি যার রিপোর্ট এর ভিত্তিতে হরিদাশে’র যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় কারণ রিপোর্ট প্রমাণ করে হরিদাশ এল আই সি কে ভুও শেয়ার বিক্রি করেছেন। টি টি কে পরে আবার ফাইন্যান্স মিনিস্টার হন উনিশশো চৌষট্টি সালে। সে সময় আই ডি বি আই, আই সি আই সি আই, শুরু হয় ।

তবে একেবারে যে আর কোন স্ক্যাম হয়নি এটা বলা ঠিক নয় । ঊণীশশো ষাঠে’র বিরাট বা তদনান্তিন সবচাইতে বড় ফাইন্যান্সিয়াল স্ক্যাম – তেজা লোন স্ক্যাম – বাইশ কোটি টাকার – জয়ন্তী ধরম দাস তেজা – জয়ন্তী শিপিং কম্পানির মালিক – ওই নামে কম্পানি শুরু করে আর বিভিন্ন ফাইন্যান্সিয়াল কম্পানির থেকে নেওয়া লোন এর থেকে বাইশ কোটি টাকার তছরুপ করে – তারপর ফাঁস হয়ে গেলে দেশ ছেড়ে পালায় । বলা হয়ে থাকে যে ধরম জয়ন্তী তেজা’র পেছনে নেহরু ‘র পেত্রনেজ ছিল । একটা ক্যাম্পের বক্তব্য নেহেরু তখন দেশ গড়ছেন আর তেজা’র স্বপ্ন স্কিম তার ভালো লেগেছিল, তার থেকে পেট্রনেজ। হতেই পারে । ঈটস নট এ ক্রাইম তো মেক মিস্টেক্স, বাট ইটস এ ক্রাইম টু ডিসিভ। তেজা’কে উনিশশো বাহাত্তরে মরিশাস থেকে ধরা হয় । ততদিনে নেহরু নেই ইন্দিরা’র ছবি মধ্যগগনে সবে ইস্ট পাকিস্তান যুদ্ধ শেষ হয়েছে । সুতরাং তেজা মরিল আর কেহ নহে।

করাপশন যেন এখন শামুকের পিঠের ঘরবাড়ির মতন – সারাক্ষণ চেপে আছে আমাদের ওপর কোন না কোন ভাবে, ভাবের কথা বলতে গেলেও অজান্তেই তাই সে খোলের নাকি শ্রীখোলের মধুর আওয়াজ বেরিয়েই আসে। তবে যৌবনের স্পর্ধা নেই আর, না আছে রাস্তায় নামার আগ্রহ, না রয়েছে পথ খোঁজার উন্মুখ ইচ্ছা। বরং চাঁদের আলোয় ত্রিজগৎ ঘুরে এসে ম্যাজিকওয়ালা সাজবার ইচ্ছেটাই বেশী, ম্যাজিক থাক আর নাই থাক। হ্যাঁ আর একটা বিচিত্র হাওয়া বুকের মধ্যে ঘোরাফেরা করে – সেই এক অনন্ত রাখালের মত যেন এক শেয়ালকাঁটার ঝোপে আটকে আছি, বায়ুভুক নিরালম্ব আত্মার মত লটকে আছি বঁইচি ঝোপে । বেশ এক মেরে আনা নিরুপদ্রব জীবনের আজ কাল পরশুর গল্পের মধ্যে হঠাৎ এক নিবু নিবু উনুন থেকে নামান কালি পড়ে পুড়ে যাওয়া ভুট্টায় লঙ্কা নুন মাখানর মতন স্বাদ নেওয়া। হ্যাঁ রোমন্থন। সে রোমন্থনের পরিধি তে আমি আছি আর আমাকে ঘিরে হয়ে ওঠা সেই সব সময় আর তাদের জাঙ্গাল।

বেশ কিছুদিন আগে এই সব অবস্থার জেরে একটা কবিতা লিখেছিলাম – দু চারজনকে শুনিয়েছিলাম, এক আধজন তো ভীষণ দারুন দারুন বলেছিল, তাতে একটা ব্যাপার খুব আশ্বস্ত করেছিল, আমরা সবাই এখনো বাঙ্গালিই আছি। কবিতাটা এইরকম ছিল -

উলুধ্বনি খই আর খঞ্জনি

খাটখানা কাঁধে নিয়ে দ্রুতবেগে ছুটে গেল চারজন লোক

সঙ্গে গেল এক পাল কচি কাঁচা জোয়ান মানুষ

শ্মশানের দিকে,

বলো হরি হরি বোল –

লাশটাও কালা হয়ে যেতে পারে

এমন চীৎকার শুনে ঘাড় ফেরাতেই

বাতাসে ছিটকে এল একমুঠো খই আর

খুচরো পয়সা,

ইজের নেংটি আর ন্যাংটোর হুটোপুটি;

আস্টে পৃষ্টে দড়ি বাঁধা লাশটার নিশ্চিন্ত বিশ্বাস

এমন হরির নাম এমন হরির লুঠ,

স্বর্গ তো আনবেই - নাগালে!

আজকের সময় যেন সেই হেক্টরের মতই – অনেক সম্ভাবনা ছিল, গ্লোরি ছিল, উত্তরাধিকার বহন করে উত্তরাধিকার দিয়ে যাওয়ার প্রস্তাবনা ছিল। কিন্তু নিয়তির পরিহাস – আকিলিস নাকি বলেছিল তোমার মাংস হাড় আমি চিল শকুন দিয়ে খাওয়াব। আর হেক্টরের শেষ আকুতি ছিল নাকি তাকে যেন একটু সম্মান আর মাটিটুকু দেওয়া হয়। সম্ভাবনা কে নিয়তি দিয়ে ভাগ দিলে সেই শূন্য শুধু শূন্য থেকে যায়, চেষ্টা বদলে গুণ করলেও তাই। ওইটাই নিয়তি।