সোমবার, ১ অক্টোবর, ২০১২

শুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়

ব্লেডলিহিত সত্তাচিহ্ন


১৩


অথচ বরাবর আমি পেরিয়ে যাবার কথা লিখেছি

ইনডেন্ট ছাড়িয়ে গেলে পরের লাইনে ভেঙে দিয়েছি দীর্ঘ
কাচ ও স্টিলের গ্রন্থিবদ্ধ ব্যাংক
জাতি-বহুজাতি- দুনিয়ার সত্য স্থির
জলে ভেসে থাকা ফাতনা
এত লঘু নাকি পৃথিবীর ভর
দুপায়ে ছড়াতে না পেরে যে মেয়েটি
দ্রুত চলাচল ছড়িয়ে রাখছে
কোলে শিশু ময়লা পোশাক ও ভিক্ষা
চায়না এদেশ আর
বিবর্তন ও শ্রমবিভাজনের অংকে
ধাতব শব্দটা রোদ্দুর

১৪


অথচ ওরা হয়ত না বুঝেই গায়ের ওপর রোদটা ফেলে দিয়েছিল

কথা আমাদের মাঝখানে আর নেই
বিক্ষত ও যোগাযোগ একটু দূরের হীনতা
বৈধ বা চাহিদাকে চ্যালেনজ জানাতে
ভাষা তৈরি করে রাখি শিরায় ধাপেধাপে বুদবুদ
কিন্তু মরছিনা ধাক্কা খেয়ে নামছে পতঙ্গের ডানা
এইসব কথাবার্তা শীত
ঝাড়ানোর গায়ে, নিসর্গের বুকে পেটে
ঠিক যেখানে ক্ষুধার আগে সেলাম
সেইখানে স্প্রে পেইন্ট লিখছে স্বাধীনতা