সোমবার, ১ অক্টোবর, ২০১২

চৈতালী গোস্বামী

জানলায় আগুন দেখেছি...


কিছুদিন হ’ল একটাঅশান্তি তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে আমায়
অতি স্বাভাবিকতার এই হাওয়ায় ক্রমেই হাঁপিয়েউঠছি জেনো
মাছের আঁশটে গন্ধ আমার চারপাশে
পাংশুটে আকাশটাতে আক্রোশের লাল মেঘের গমগমেকুন্ডুলি।

বৃষ্টি নেই।
নেই কোন সুন্দরের আদিম বনঘ্রান।

আবেগের মজা নদীতে চর পড়েছে ছানি চোখের চশমারমত।
তাইতো মালসিরা ধানের মাঠ পুড়িয়ে দিলে কষ্টপাইনা আর।
নদী টপকে ক্ষেত, ক্ষেতপেরিয়ে মাঠ, মাঠের পাশে গ্রাম,
গ্রামের পর গ্রাম...
ভাঙ্গছে-জ্বলছে-পুড়ছে-মরছে...
গ্রামের পর গ্রাম... মাঠের পর গ্রাম...

ভোরের আগের সেহেরী সারা হয় নি এখনো।
পিছমোড়া করে বেঁধে কারা টেনে নিয়ে চলেছে আমায়!
ধুরামারি নদীটার ঘাটে!
নদী বড্ড বেশী ফ্যাকাশে আজকাল।
শুনলাম, আকাশ নাকিভাসতো না ওর বুকে,
জল আর টলটলে নেই বলে।

তাই রক্ত ভাসাতে হবে।

নদী, তোমার ধারেবসে গা ধুয়েছি বলে
তোমার ঢেউয়ের শব্দে ভাটিয়ালি শুনেছি বলে
দু-ঘটি জল ঘর বয়ে নিয়ে এসেছি বলে
তোমার হয়ে প্রতিশোধ নিচ্ছে কারা!!

আজন্ম উদ্বাস্তু আমি পদ্মা-মেঘনার বুকে
আজন্ম বাস্তুহারা ধুরামারি, কোকরাঝাড়ে আমি...
তাই ছুরি মেরেছে আমার বাম স্তনে ওরা।
গলার নলীতে তীক্ষ্ণ তরবারি।

শান্তির কবুতর কারা মেরেছে জানি না...
আমার চারপাশে শুধু রাক্ষুসে চোখ...মৃত মুখ...পোড়া ঘরবাড়ি...