সোমবার, ১ অক্টোবর, ২০১২

কল্লোল কুমার



কল্লোল কুমার

কল্লোল কুমার । জন্মঃ- ১৯৮০ । লেখালিখির শুরুঃ- চতুর্থ শ্রেণী থেকে ছোট খাট ছড়া, কবিতা দিয়ে লেখা শুরু । প্রথম লেখা ছাপা হয়ঃ- কলেজ ম্যাগাজিনে ১৯৯৯ । বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বারাসাতের বাসীন্দা । ফোন – ৯৮৩০৫০০৭৬৭



বদলে যাবার উপাখ্যান


বদলে গেছে জীবনের অর্থটাই

বদলাতে পারিনি আমি নিজেই…

গভীর সমুদ্র থেকে যে ডুবন্ত জাহাজ টা মাথায় করে

ঠেলে তুলেছিল, সেই যানে জাহাজটির কোথায় আঘাত আছে।
আজ যারা জাহাজের যাত্রী তারা কোনদিন ও বুঝবে না।

অহংকার গুলো পুড়ে ছাই হয়

তবুও মানুষ মিথ্যেটাকে জীবিত করার চেষ্টায় সারা জীবন
ক্লান্ত পথিক বার বার ভুল পথে হাঁটে ।

মৃত মানুষ যদি কথা বলতে পারত

আমি ও তবে কিছু বলতে পারতাম।

কবি হওয়ার সাধ হয়নি এমন কিছু মানুষকে

আমি খুঁজে বেড়িয়েছি। কিন্তু, সবাই কিছু না কিছু
লাইন জীবনের পাতায় লিখে রেখে গেছে।

প্রাণ আছে বলে প্রাণীরা এত ভুল করে।

আর জেনেশুনে মানুষ বেশি ভুল পথে হাঁটে।
প্রশ্ন উঠতে পারে –বিবেকানন্দ কি তাহলে
কোন মিথ্যা বলেনি? সৃষ্টিকর্তা নিজে...?

মত যতই এক হতে চায়... পথ গুলো আলাদা হয়ে গেছে।

ভালবাসার কথা সেখানে বোঝানোর জন্য।

ভ্রূণ হত্যার ফলে বেড়ে যাচ্ছে অসংখ্য কুন্তি।

সে যুগে পঞ্চ পাণ্ডব জন্মালেও...এই যুগে রবীন্দ্রনাথ বলছেন
নর্দমার মধ্যে দশ মাস কাটিয়ে পৃথিবী টা তার
আর দেখার ইচ্ছে নেই। তাহলে কি পদ্ম পাঁকে
জন্মানোর প্রবাদ টা কেউ উদাহরণে ব্যবহার করবে না!

সব কিছুর মধ্য দিয়ে ও কিন্তু সূর্য, চন্দ্র, নক্ষত্র

                                                যে যার গতিতে আছে।
আমরা শুধু বেশি ভেবে

নিউটনের সূত্র গুলোকে পাল্টানোর চেষ্টা করছি।

যে কেলেঙ্কারিই হোক না কেন কয়লা হোক বা তেল

জল সব সময় নিচের দিকেই যাচ্ছে ; তবুও

রাজার রাজত্বে শুধু রাজা বদলায়।
প্রজা চিরকালই প্রজা।

এত কথার পরে

সকলে পাগল বলবে।
তা ঠিক –
দগদগে ঘা যার গায়ে আছে, মলম টা তারই লাগাতে হবে।
তাতে অন্যেরা পাগল বললে তার কিসে এসে যায় !

যে জানে-

“ পাগল বলেই বেঁচে আছি।”
                                       সুস্থ থাকলে এত কথা
শোনার লোক কোথায় ?