ঝরে পড়ার তাড়নায় শেফালিকা ঝরে না
ভাবনারা আসে-নি ও’মন করে! মাঝেমধ্যে
কলতলার রাঁধাচূড়াগুলো ফ্ল্যাশব্যাক
করে নিয়ে আসে
ধুসর হয়ে যাওয়া অনিন্দ্য ভোরের
স্বপ্ন!
ভবুঘুরে দুপুরে বাষ্পায়নে নি:শেষ হয় লুকোচুরি করা
স্বপ্নিল ঢেউয়ের সকল উচ্ছলতা!
উচ্ছলতা!
শিহরণ-জাগানিয়া বৈকি,
চৈতালী দাবদাহে খোলনলচেতে ঢুকে
পড়েছিল
সাব-কনশাস মন,
ডুব দিয়েছিল টলটলে,স্বচ্ছ-সলিলায়;
মাঠের ওপর ক্রমাগত দৌড়-ঝাপ দিয়ে
সোজা বৃন্দাবন!
গ্রীষ্মের দুপুরের সবাক জল-তৃষ্ণায় কৃষ্ণ-দাঁড়কাক
সহাস্যে কুঞ্জবন তোলপাড় করেছিল;
থৈ-আঁধারের প্লাবন ভেদ করে হাতড়েছিল শ্যাওলালতা,
করেছিল শীতলপাটির সন্ধান;
উত্তপ্ত মন নিংড়ে নিতে চেয়েছিল
হিমপরশ শীতলতা।
তীর্থে পৌছুনো-না-পৌছুনোর প্রশ্নটি
পলেস্তারাবিহীন,প্রোৎসারিত!
বিভীষিকার জাদুতে বিকারগ্রস্থ হয়
তটিনীর প্রাসাদ
মিইয়ে যাওয়া ফ্যাকাশে-চাঁদ কখনো, কখনো
অবসাদে চমকে ওঠে।
ঘুরেফিরে হাওয়া-তাড়িত ভাবনাগুলো
ইমেইল হয়ে আসে-
চৈতালীর বিপরীতে কালবোশেখীর রূদ্ররুপ
দেখাতে
কিছুমাত্র কুন্ঠাবোধ করেনা;
একতরফা লেকাডেইজিক্যাল মুডে শুধোয়:
শুধুমাত্র ঝরে পড়ার তাড়নায় শেফালিকা
ঝরে না।
2 comments:
Nice
কবিতা পড়ার জন্য এবং মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ নামহীন
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন