শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৪

গুচ্ছ কবিতা - স্রোতস্বিনী চট্টপাধ্যায়





প্রহর জোড়া সংস্থিতা

স্রোতস্বিনী চট্টপাধ্যায়


বৃষ্টির বুকে ভোর নামছে
আর রাতের সাথে তুমিও অন্যের হয়ে যাচ্ছো ...

গত সাতদিন ধরে একটা লেখাও
না শেষ করতে পারার ব্যর্থতা
আমায় ধীরে ধীরে বোঝাচ্ছে
সব শব্দ কবিতা হয়ে উঠতে পারে না
কবিতার মত দেখতে লাগে শুধু !

আমি তো চলেই এসেছি
বালিশ , বিছানা , মিক্সার গ্রাইন্ডার, তেল, হলুদ
সবই তো রেখে এসেছি

তোমার নতুন স্ত্রী এখনও রান্নাঘরে কি হাতড়ায় ?

শুধুমাত্র তোমাকে ভালো লাগার পর
ভালোবাসার কাছে আমি দীর্ঘ এক বছর ধরে
দেশলাই জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ফেলার ঘ্রান কিভাবে নিতে হয়
তা অভ্যেস করেছিলাম -

এখন কারুর পায়ের আওয়াজ শুনলে
আমার মাথা নিচু হয়ে,ঘাড় ঝুলে যায় ,

আমি বোধহয় নিজেই ক্রমশ
পোড়া গন্ধ হয়ে উঠছি !

তুমি আরেকবার ফিরে এসে ,
আবার চলে যাও

দ্বিতীয় বারের ধাক্কা অতটা তীব্র নাও হতে পারে !

যেসব চিঠির উত্তর আসে না
তারা আসলে নতুন সূর্যাস্ত দেখে ফেরা
অন্যের ঠোঁটে আটকে থাকা চুমু ...

প্রচন্ড শারীরিকের পর কিছু যান্ত্রিক গোলযোগ –

বাইশ বছরের মেয়েটি ফোন করল ওকে
বেজে গেল
খানিকক্ষণ পর জোড় ঝংকার দিয়ে আওয়াজ থেমেও গেল ,

আবার ওকে একটা ফোন মিনিট খানেক বাদেই ,
এইভাবে পর পর ছয় বার

তারপর অন্য প্রান্ত থেকে ঘুম জড়ানো গলা
দু চারটে কথার পর ,
শেষ পাঁচটা শব্দ –
“আমায় আর ফোন করোনা কোনোদিন ...”

বাইশ বছরের মেয়েটি প্রেমের ইস্তেহার লিখে
অ্যাবরসানটা করেই ফেলল –

ভালোবাসার পর কিছু যান্ত্রিক গোলযোগ আর...

অনি,

আরেক বার “আমি” থেকে “আমরা” হয়ে যাই ?


আসলে প্রতিটা প্রতিজ্ঞার মধ্যেই
একটা করে নতুন তাচ্ছিল্য জন্ম নেয় ...

১০

অভিমানের সাথে স্লিপিং পিলসের সহবাস দেখার পরও
আমি রাতের পর রাত জেগে কাটিয়েছি
আর আমার শরীর কখন যেন জ্যোৎস্না হয়ে গেছে ...