শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৪

দীর্ঘ কবিতা - ঈশান বন্দ্যোপাধ্যায়




 

ঈশান বন্দ্যোপাধ্যায়

প্রেম আসে, তাহলে 


রাত ফুরিয়ে এল,
শেষ স্টপেতে সবাই
রাস্তা এখন শববাহী,
নিরবতার।
এমনকি লোক নেই
কেবল কাঁধ দেওয়ার
না আওয়াজ ভেদে
পায়ের শব্দ
হাঁটাপথ।

.

মনে আছে,
সেই নবমীর কথা,বসন্তে
ঠিক এমনই সে আগুন,জ্বলন্তে
রাংতা মোড়া চিঠি চকলেট গবাহী,
বাঁদিক জোড়া অনেক রক্ত,চাপা প্যাডেল
মাইল দুয়েক।
মনে,মনে

.

কিন্তু শরীরে তো সে নেই,
খানিক ক্ষরণ খালি
অক্ষর বৃত্তে যেমন থাকে,অপরিশোধিত।
 খালি বয়ে যায়, বয়ে যাবে,
হাঃ ক্ষরণ
সে দেখা পবিত্র বড়
দেখে ,
কেবল দেখায় বওয়া।

.

এখনও খানিক স্পন্দন প্রতীক্ষায়,
জীবন
কেবল ওরা ক’জন
আর শব্দ আছে,জঞ্জাল যুগে
নরম বাঁচার, স্মিতা
খালি সেটুকুর মান রেখ
নইলে

.

শেষ লোকাল ওই স্টেশন ছাড়ল
অখণ্ড খুলনার রাজধানী ছাড়িয়ে
চেনা নাগরিক দঙ্গলে,
এখানে ধম্ম ঠাকুরের মুখে,
সূর্য পোড়া ছাই
রাতের তারা নেভা প্রাতে, হলাহলে
দিনান্তিক অচেনা পর্যটন
প্রেম
প্রেম আসে,তাহলে।

.

চল দেলগাদিনার কাছে, চল
খোলা শরীর,নষ্ট হওয়া তট
অপেক্ষা খালি...
গামছা দিয়ে গা ভেজানোর

.

খানিক বর্ষা আগে,
চারমাথার মুখে দাঁড়িয়ে ছেলেটি
ঘোষণা করল
বিদ্রোহে প্রেম,প্রেমে বিদ্রোহ
সেদিন তখন শ্রাবণ অকাল,
খানিক খণ্ড চাঁদঘেরা ছেলে
গিলতে আসার আগে
Cnn সম্প্রচার,
দামাস্কাসের অস্ত্রাগারে
ঘুমোয় যে ছেলে
চোখপাতা দিয়ে
ছবি আঁকা যায় তার
এবং,
আমার আরব গোরিলা সমর্থিত,
ভালবাসার।।