যুবায়ের বিন আজিম-এর কবিতা
১.
জীবনের কড়িকাঠে-
জীর্ণতা সব থমকে দাঁড়ায় সন্ধারবির সাজে।
চৌরাস্তার ধুলো ঠিকি ওড়ে নিজস্ব গতিবেগে।
কেবল আমিই থেকে যাই একা বড্ড গভীর খাদে,
দুর্বোধ্য বিলাপ, মাতাল প্রলাপ কুরে খায় স্বপ্নকে।
তোমার দেহের ভাঁজে-
বদমাশটা মেতে থাকে পবিত্র উল্লাসে।
সকাল বিকাল সাঁঝে-
উইপোকারা বসত করে আমার খুলির মাঝে।
তবুও আমি ধন্য!
আমার বিদেহী আত্মাটাও শুধুই তোমার জন্য।
২.
যারপরনাই অবাক আমি এইকি ছিলো কপালে!
বাদুর যেনো উল্টো আমি ঝুলছি গাছের মগডালে।
হাঁটতে গেলে আছড়ে পড়ি, দাঁত ভেঙে যায় তাতে,
ঘরের ভেতর শত্রু আমার, মরছি তাদের ঘা-তে।
তুমিও এখন চালাক ভীষণ, অস্ত্র রাখো হাতে,
বুকের মাঝে ঠিক গেঁথে দাও, মরছি প্রতি রাতে।
আয়নাটাতে যাকে দেখি সেও এখন শত্রু আমার,
আমি এখন বন্ধু শুধু তালি মারা জামার।
৩.
মৃত্যুর টিকেটে খোদাই করা শর্তাবলী,
পলেস্তারা খসে পড়া জীর্ণ দেয়ালে
জীবনের আবির্ভাব ঘটে প্রতিনিয়ত।
সতীত্ব হারানোর উৎসবের বিবর্ণ উল্লাস,
গত শতাব্দীর বিলীন হওয়া প্রেমের
অবশিষ্ট উত্তাপটুকু তবু থেকে যায়।
মানবতার ট্রাক তাল হারিয়ে
দুমড়ে মুচড়ে পড়ে থাকে গভীর খাদে,
পাপের উত্থান ঘটে শূন্য সুড়ঙ্গে
বোধের বিপর্যয় নিয়েও টিকে থাকে সভ্যতা।
ফলাফল বিহীন অজস্র প্রশ্ন আর আশঙ্কা,
কিছু অভিলাষ নিঃশেষ হয়
রাতের আকাশের তারাদের মতো।
নিঃসঙ্গ ছায়ারা আত্মহননের সহস্র যুক্তি
নিয়েও বহুকাল থেকে যায়,
বেঁচে থাকার তীব্র ব্যাকুলতা নিয়েও
কারো জোটে চিরকালীন প্রস্থান।
জনমানবহীন রাস্তারা টিকে থাকে
কংক্রিটের মাঝে দীর্ঘশ্বাস গোপন করে।
১.
জীবনের কড়িকাঠে-
জীর্ণতা সব থমকে দাঁড়ায় সন্ধারবির সাজে।
চৌরাস্তার ধুলো ঠিকি ওড়ে নিজস্ব গতিবেগে।
কেবল আমিই থেকে যাই একা বড্ড গভীর খাদে,
দুর্বোধ্য বিলাপ, মাতাল প্রলাপ কুরে খায় স্বপ্নকে।
তোমার দেহের ভাঁজে-
বদমাশটা মেতে থাকে পবিত্র উল্লাসে।
সকাল বিকাল সাঁঝে-
উইপোকারা বসত করে আমার খুলির মাঝে।
তবুও আমি ধন্য!
আমার বিদেহী আত্মাটাও শুধুই তোমার জন্য।
২.
যারপরনাই অবাক আমি এইকি ছিলো কপালে!
বাদুর যেনো উল্টো আমি ঝুলছি গাছের মগডালে।
হাঁটতে গেলে আছড়ে পড়ি, দাঁত ভেঙে যায় তাতে,
ঘরের ভেতর শত্রু আমার, মরছি তাদের ঘা-তে।
তুমিও এখন চালাক ভীষণ, অস্ত্র রাখো হাতে,
বুকের মাঝে ঠিক গেঁথে দাও, মরছি প্রতি রাতে।
আয়নাটাতে যাকে দেখি সেও এখন শত্রু আমার,
আমি এখন বন্ধু শুধু তালি মারা জামার।
৩.
মৃত্যুর টিকেটে খোদাই করা শর্তাবলী,
পলেস্তারা খসে পড়া জীর্ণ দেয়ালে
জীবনের আবির্ভাব ঘটে প্রতিনিয়ত।
সতীত্ব হারানোর উৎসবের বিবর্ণ উল্লাস,
গত শতাব্দীর বিলীন হওয়া প্রেমের
অবশিষ্ট উত্তাপটুকু তবু থেকে যায়।
মানবতার ট্রাক তাল হারিয়ে
দুমড়ে মুচড়ে পড়ে থাকে গভীর খাদে,
পাপের উত্থান ঘটে শূন্য সুড়ঙ্গে
বোধের বিপর্যয় নিয়েও টিকে থাকে সভ্যতা।
ফলাফল বিহীন অজস্র প্রশ্ন আর আশঙ্কা,
কিছু অভিলাষ নিঃশেষ হয়
রাতের আকাশের তারাদের মতো।
নিঃসঙ্গ ছায়ারা আত্মহননের সহস্র যুক্তি
নিয়েও বহুকাল থেকে যায়,
বেঁচে থাকার তীব্র ব্যাকুলতা নিয়েও
কারো জোটে চিরকালীন প্রস্থান।
জনমানবহীন রাস্তারা টিকে থাকে
কংক্রিটের মাঝে দীর্ঘশ্বাস গোপন করে।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন