মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

কবিতা - দেবাশিস মজুমদার

ঘুড়িসূত্র এবং পৌরাণিক শঙ্খ
দেবাশিস মজুমদার


এভাবে প্রতিটা খোলসের আড়ালে লিপিত থাকে এক একটা দগদগে ক্ষতের ব্যাঞ্জো উৎসব,
পুনর্বার সীমাবদ্ধতার বেড়াজালেও ঠোঁটের কাঠামো থেকে বাক্সবন্দি শূন্যগুলো উপমাশ্রিত
সীমানা পেরোয়; হারানো সূর্যের কথা প্রোথিত আছে হিজলের অপেক্ষায়, নিমগ্ন অযুথ যন্ত্রণার
স্যাঁত স্যাঁতে উঠোন পেরিয়ে হিমেল জিজ্ঞাসারা উৎসুক জলধারায় বুঁদ হয় মাঝে সাঁঝে,
শর্ত থাকে, ধোঁয়াশাও থাকে, তাই ধীরে ধীরে এই ইচ্ছেগুলো আবছা হয়ে আসে, নির্জনতারা
ক্রমে গলে যায় কয়েক দানা ঘামের মত, তবুও ঝাপসা রঙে আসে প্রশ্ন প্রচুর। সেই সমস্ত শূন্যের
গুরুত্বগুলোর অন্তর্দোলায় যুক্তিবাদের আশ্রয়ে ভেসে বেমালুম নিজস্ব পরিতাপ গুমরে ওঠে-
সব ছুঁচে কি হয় নকশী সেলাই!

কাশফুলগুলো এখনো শরতের অপেক্ষায়, বিপরীত শব্দগুলোর মাঝে বিপরীত অস্তিত্ব খোঁজার
বাহানায় তীব্র পিপাসা নিয়ে রোজ রোজ দুঃখের নদী সাতরাই, বুকের চাতালে জমে থাকা
আবেগী ছত্রাক সরালেই বুঝি পৃথিবী উল্টে গ্যাছে, জলের বেদনা ছেড়ে উড়ে গ্যাছে গাংচিল।
তখনো জানা ছিল না চিরায়ত ঘুড়িসুত্র, ভোকাট্টা হলে প্রান্তিক যোগানবিধি মেনে দুঃখ বেড়ে
যাবে, আর হৃৎপিণ্ডের নষ্ট গুদামে অস্তিত্বগুলো অবিরাম মিউট হবে। হঠাৎ তোমার তামসিক
পৃথিবীতে এই আমার কোন অস্তিত্ব নেই জানা হয়ে গেল বলে আমার আবাসনের মুগ্ধতারা
ফুরিয়ে আসে, জিপসি অধ্যায়ে তাই দিনের পর দিন বালিয়াড়ি হাতড়ে খুঁজি পৌরাণিক শঙ্খ,
এখনো জানতে বাকি কতোখানি পথ পেড়িয়ে অবশেষে পলাতক হয় মানুষ।

পুরোদস্তর ভোকাট্টা ঘুড়ির আড়ং-এ সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ-
তুমি ও আমরা আমাদের ছায়ার জন্য কাঁদি, তাই
এখানে সূর্যাস্ত আঁকা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।