অনুরাগ
জিনাত জাহান খান
খুব চাই, প্রতিদিন ভুলে যাও আমাকে। প্রথম থেকে, প্রতিদিন আমার সাথে পরিচয় হোক। নতুন ভাবে, আলাপে, গল্পে, কৌশলে। যতবার মুগ্ধ-চোখ আমাকে দেখে নেবে ততবার আমি জন্ম নেব। অথচ রাতের ঘুমগুলি ঝরে পড়ছে ঘড়ির ডায়াল থেকে। রেডিয়ামের উজ্জ্বল চোখ বেয়ে নেমে আসছে কিছু দূঃস্বপ্ন। আর ভোর-মেঘেদের সার্কাস খেলায় রূপালী ফিতায় ভর করে নামছে জলরাশি। গন্তব্যে ছুটতে চেপে বসা গাড়ির কাঁচে বিন্দু বিন্দু যে জলমুক্তা, তাকে সফল-ঘাম ভাবতেই আলোর শব্দে ফুটে উঠছে সহস্র ফুল।
ঝর্ণায় গলছে বরফ; পথে পথে...
অতঃপর সন্ধ্যা
উড়ে চলা পাখিদের ছায়ার নিচে গুনে গুনে পথ চলি। আর ভাবি, কাঠঠোকরা কেন গাছের শরীর গুনে গুনে কাটে না! দূর থেকে ভেসে আসা, বাষ্পের দলে যোগ দেয় শহরের যত দীর্ঘশ্বাস। মায়ার-ছায়া বনসাই হয়ে দুপুরের কাছে বসে। অতিথি কক্ষের সামনে অপেক্ষাবন্ধু আর আমি, একসাথে, লুকানোমুদ্রা গুনবো। আর, দীর্ঘদেহী বিকেল এলেই বেদনাসংগ্রহের ঝোলা খুলে, বিছিয়ে, অংক কষে কষে শালিকনৃত্য বেছে নেবো। খড়কুটো ভর্তি ঠোঁটের শিল্পে বন্দী, যে গাছের মগডাল, তার ছায়াও ম্লান হয়ে আসে...
ঝরাপাতা
ভূঁইচাঁপা নয়, পায়ে মাড়িয়ে যাকে চলে গেলে, সে আসলে তৃনলতা, গন্ধ নাও, দেখবে, তার শরীরে লেগে আছে মাটির গন্ধ, নাভিমূলে জেগে ওঠে শব্দের নিঃশ্বাস, খসে পড়ে সন্ধ্যাতারা, তাকে রেখে, পা বাড়িয়েছ অন্ধকার পথে, গ্রীবায় সেতার বাজাও, তৃষ্ণার্ত আঙুলে খোঁজো লাভাস্রোত, স্তব্ধ চোখে খুঁজে নাও উৎসমুখ, এ কেমন শিল্পবোধ!
জলের অতল থেকে তুলে আনো আলো, আমি স্পর্শপ্রিয়, তোমার আঙুল থেকে তুলে আনি ঝরাপাতা, শুকোই রোদ্দুরে!
খুব চাই, প্রতিদিন ভুলে যাও আমাকে। প্রথম থেকে, প্রতিদিন আমার সাথে পরিচয় হোক। নতুন ভাবে, আলাপে, গল্পে, কৌশলে। যতবার মুগ্ধ-চোখ আমাকে দেখে নেবে ততবার আমি জন্ম নেব। অথচ রাতের ঘুমগুলি ঝরে পড়ছে ঘড়ির ডায়াল থেকে। রেডিয়ামের উজ্জ্বল চোখ বেয়ে নেমে আসছে কিছু দূঃস্বপ্ন। আর ভোর-মেঘেদের সার্কাস খেলায় রূপালী ফিতায় ভর করে নামছে জলরাশি। গন্তব্যে ছুটতে চেপে বসা গাড়ির কাঁচে বিন্দু বিন্দু যে জলমুক্তা, তাকে সফল-ঘাম ভাবতেই আলোর শব্দে ফুটে উঠছে সহস্র ফুল।
ঝর্ণায় গলছে বরফ; পথে পথে...
অতঃপর সন্ধ্যা
উড়ে চলা পাখিদের ছায়ার নিচে গুনে গুনে পথ চলি। আর ভাবি, কাঠঠোকরা কেন গাছের শরীর গুনে গুনে কাটে না! দূর থেকে ভেসে আসা, বাষ্পের দলে যোগ দেয় শহরের যত দীর্ঘশ্বাস। মায়ার-ছায়া বনসাই হয়ে দুপুরের কাছে বসে। অতিথি কক্ষের সামনে অপেক্ষাবন্ধু আর আমি, একসাথে, লুকানোমুদ্রা গুনবো। আর, দীর্ঘদেহী বিকেল এলেই বেদনাসংগ্রহের ঝোলা খুলে, বিছিয়ে, অংক কষে কষে শালিকনৃত্য বেছে নেবো। খড়কুটো ভর্তি ঠোঁটের শিল্পে বন্দী, যে গাছের মগডাল, তার ছায়াও ম্লান হয়ে আসে...
ঝরাপাতা
ভূঁইচাঁপা নয়, পায়ে মাড়িয়ে যাকে চলে গেলে, সে আসলে তৃনলতা, গন্ধ নাও, দেখবে, তার শরীরে লেগে আছে মাটির গন্ধ, নাভিমূলে জেগে ওঠে শব্দের নিঃশ্বাস, খসে পড়ে সন্ধ্যাতারা, তাকে রেখে, পা বাড়িয়েছ অন্ধকার পথে, গ্রীবায় সেতার বাজাও, তৃষ্ণার্ত আঙুলে খোঁজো লাভাস্রোত, স্তব্ধ চোখে খুঁজে নাও উৎসমুখ, এ কেমন শিল্পবোধ!
জলের অতল থেকে তুলে আনো আলো, আমি স্পর্শপ্রিয়, তোমার আঙুল থেকে তুলে আনি ঝরাপাতা, শুকোই রোদ্দুরে!
1 comments:
ভাল লাগল।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন