গুচ্ছ কবিতা
গোপাল লাহিড়ি
অন্তরীণ
একে অপরের কাছে ছুটে যাওয়া
অনুসন্ধানী শব্দরা খুঁজেছে হিংস্র বিষাক্ত তীর
সংলাপের সংঘর্ষে দুঃসময়ের আবহ.
আসক্তি নিরাসক্তি, গল্পের জঠরে গল্প
হাতের মুঠোয়ে পেয়ে ছেড়ে দেওয়া,
নারকোল পাতা জলে ধুয়েছে রক্তদাগ।
আক্রমনের ইঙ্গিত ছিল সেই কবে থেকেই
আরও বেশি ধারালো ছিল কযেকটি উদ্যত হাত,
ঝাপসা দূরত্ব মুছে দিয়েছিল সংশোধনের প্রয়াস।
হারের মধ্যে লুকোনো প্রকান্ড এক জিত
সমস্ত কিছু বাইরে ছড়ানো, না কি কিছু নয়?
এই বিশ্বাসে ছিঁড়েছি সমস্ত পান্ডুলিপি।
অকৃপণ দাক্ষিন্য না গোপন অহংকার,
নিবিড় উষ্ণতায় পড়ে রইলো দু একটা পাপড়ি।
আজও থেকে যাই একা অন্তরীণ।
ভোরবেলা
এক অদ্ভূত কোলাহলে ভেঙ্গে পড়ছে রাত্রি
কোনো এক শুদ্ধতায় দুলে উঠছে কলমীলতা
আমাদের ছুঁয়ে যাও মধ্যরাতের হাওয়া।
গাছের উঁচু ডালে চিরচেনা দুই অন্ধ পাখি
অন্ধকার হয়ে গেলে আলো- আগুন পোহাবে সারারাত
বটের ঝুরি জড়িয়ে আছে মন্দিরের চুড়ো।
বিদ্যুতের টান, আকাশের বুক চিরে, বাজ পড়ার শব্দ
জ্বলে পুরে যাওয়া গাছে নীল্ নীল আলো এখনো
মুঠোর ভাঁজে সেই বিশ্বাস কেন জানি স্পষ্ট আজও.
ঘাসের বিরুদ্ধতা, বৃষ্টির ফোঁটা মুছে দেয় ধুলোখেলা
আমলকী গাছের ছায়া মানুষ খুঁজে রাতভর
বীজধান গোপনে পেতে চায় জাদুকাঠির স্পর্শ।
স্বপ্নে পাওয়া সমিধ সংগ্রহে নজরদারি ভয়ানক
পুড়ে পুড়ে যাওয়া শরীর জলে গুলে নিল রক্ত
ধোঁয়ার মধ্যে ফুটে ওঠে ফুরফুরে এক ভোরবেলা।
অন্যজন্ম
চলে যাওয়া নির্দিষ্ট, হয়ত যে কোনো দিকেই
সূর্যাস্তের ঠিক আগে সব কিছু শূণ্য করে
সাদা ডানার পাখিদের সঙ্গে উড়ে যাওয়া।
ঝুরো ঝুরো লাল হলুদ রং গায়ে মেখে
প্রতিটি মুখের থেকে বিদায় নিয়ে
শুরু আর শেষের বাধা অতিক্রম।
ঝরা পাতা কুড়িয়ে কুড়িয়ে ক্লান্ত শরীর
সরু নদীর চোরা স্রোতে ডুবতে ডুবতে ভাসা
এখনো মুঠোর মধ্যে জ্বলজ্বলে তিনটি দশক.
কেউ কি ছুঁড়েছিল সর্ষেদানা চোখের কোণে?
কালো সাদা মেঘের বুকের ওপরে পা ফেলে হাঁটা
জানি অন্ধকারেই আছে প্রতিটি রোমাঞ্চের বীজ.
মিলিয়ে যাওয়ার আগে পৃথিবী ছোট হতে থাকে
ঘুমিয়ে পড়ি,বিদ্যুতের টানে জেগে উঠে ভাবি
আবার কি ফিরে যেতে হবে আরেক জন্মে?
গোপাল লাহিড়ি
অন্তরীণ
একে অপরের কাছে ছুটে যাওয়া
অনুসন্ধানী শব্দরা খুঁজেছে হিংস্র বিষাক্ত তীর
সংলাপের সংঘর্ষে দুঃসময়ের আবহ.
আসক্তি নিরাসক্তি, গল্পের জঠরে গল্প
হাতের মুঠোয়ে পেয়ে ছেড়ে দেওয়া,
নারকোল পাতা জলে ধুয়েছে রক্তদাগ।
আক্রমনের ইঙ্গিত ছিল সেই কবে থেকেই
আরও বেশি ধারালো ছিল কযেকটি উদ্যত হাত,
ঝাপসা দূরত্ব মুছে দিয়েছিল সংশোধনের প্রয়াস।
হারের মধ্যে লুকোনো প্রকান্ড এক জিত
সমস্ত কিছু বাইরে ছড়ানো, না কি কিছু নয়?
এই বিশ্বাসে ছিঁড়েছি সমস্ত পান্ডুলিপি।
অকৃপণ দাক্ষিন্য না গোপন অহংকার,
নিবিড় উষ্ণতায় পড়ে রইলো দু একটা পাপড়ি।
আজও থেকে যাই একা অন্তরীণ।
ভোরবেলা
এক অদ্ভূত কোলাহলে ভেঙ্গে পড়ছে রাত্রি
কোনো এক শুদ্ধতায় দুলে উঠছে কলমীলতা
আমাদের ছুঁয়ে যাও মধ্যরাতের হাওয়া।
গাছের উঁচু ডালে চিরচেনা দুই অন্ধ পাখি
অন্ধকার হয়ে গেলে আলো- আগুন পোহাবে সারারাত
বটের ঝুরি জড়িয়ে আছে মন্দিরের চুড়ো।
বিদ্যুতের টান, আকাশের বুক চিরে, বাজ পড়ার শব্দ
জ্বলে পুরে যাওয়া গাছে নীল্ নীল আলো এখনো
মুঠোর ভাঁজে সেই বিশ্বাস কেন জানি স্পষ্ট আজও.
ঘাসের বিরুদ্ধতা, বৃষ্টির ফোঁটা মুছে দেয় ধুলোখেলা
আমলকী গাছের ছায়া মানুষ খুঁজে রাতভর
বীজধান গোপনে পেতে চায় জাদুকাঠির স্পর্শ।
স্বপ্নে পাওয়া সমিধ সংগ্রহে নজরদারি ভয়ানক
পুড়ে পুড়ে যাওয়া শরীর জলে গুলে নিল রক্ত
ধোঁয়ার মধ্যে ফুটে ওঠে ফুরফুরে এক ভোরবেলা।
অন্যজন্ম
চলে যাওয়া নির্দিষ্ট, হয়ত যে কোনো দিকেই
সূর্যাস্তের ঠিক আগে সব কিছু শূণ্য করে
সাদা ডানার পাখিদের সঙ্গে উড়ে যাওয়া।
ঝুরো ঝুরো লাল হলুদ রং গায়ে মেখে
প্রতিটি মুখের থেকে বিদায় নিয়ে
শুরু আর শেষের বাধা অতিক্রম।
ঝরা পাতা কুড়িয়ে কুড়িয়ে ক্লান্ত শরীর
সরু নদীর চোরা স্রোতে ডুবতে ডুবতে ভাসা
এখনো মুঠোর মধ্যে জ্বলজ্বলে তিনটি দশক.
কেউ কি ছুঁড়েছিল সর্ষেদানা চোখের কোণে?
কালো সাদা মেঘের বুকের ওপরে পা ফেলে হাঁটা
জানি অন্ধকারেই আছে প্রতিটি রোমাঞ্চের বীজ.
মিলিয়ে যাওয়ার আগে পৃথিবী ছোট হতে থাকে
ঘুমিয়ে পড়ি,বিদ্যুতের টানে জেগে উঠে ভাবি
আবার কি ফিরে যেতে হবে আরেক জন্মে?
1 comments:
kobitagulo besh bhalo swader..................
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন