গুচ্ছ কবিতা
আব্দুল্লাহ্ জামিল
তুমি আমি কেউ জানি না
কোনটা সঠিক, কোনটা বেঠিক
কোনটা যে সত্য, কোনটা অসত্য
কি বা বাস্তব, কোনটা নাটক
তুমিও জানো না, আমিও জানি না।
এই ফুল, ফল, প্রকৃতি,আনন্দ, হাসি, গান
এর মাঝে কেনো বা রক্ত হাঁটে রাজপথে
কেনো পাখি মরে শিকারির গুলি খেয়ে
তুমিও জানো না, আমিও জানিও না।
আকাশে মেঘের ঘুরাঘুরি চলে
ডানা মেলে পাখিদের সভা হয়
কোথাও হয়তো মরে গেছে সাথী
আমিও জানি না, তুমিও জানো না।
বাঙালী স্বদেশে কেনো পটু নীতি ভঙ্গে
নতুন আইন প্রণয়নে কেনো দুর্নীতি বাড়ে
তুমি আমি কেউ জানি না।
নীতিকথার শ্রাদ্ধ
শ্রেষ্ঠত্বের দাবী করলেই হয়না
বিউগল বাজলে নিয়ম মাফিক সবাই সেল্যুট করে
নিয়ম ভঙ্গ করে খুব কমই শ্রেষ্ঠ হতে পারে।
রাজনৈতিক কিংবা সাম্প্রদায়িক কলহের কোনো
স্থায়ী সমাধান নেই
তাই ওদের ভালো কবিতা পড়ে মন্তব্য করা হয় না।
আইন-কানুনকে কে যেনো ধর্ষণ করেছে
খুন হয়ে গেছে নীতিকথা
মন্ত্রীপাড়ায় নিষিদ্ধ হয়েছে ইনকামট্যাক্স ইনসপেক্টর।
আগামীর পথে
ডিসেম্বরের রাতে কুয়াশা ঢাকা সিঁড়ি
সিগেরেট ধ্বংস আর সহ্যহীন বার্তার অপেক্ষা
বেদনাদায়ক ছাইভস্মের সমাপ্তি।
আগুনে কখনো অঙ্গ পোড়েনি জ্বালা বুঝার
তবু কাঙ্ক্ষিত বার্তার অনুভুতি
জ্বালা না ব্যথা আমি বুঝি না।
একাকী সিঁড়িতে কারো প্রস্থানের বেলা
গভীর রাতের এক নিভন্ত প্রদীপ ঠায় বসে
সিগেরেট ফুরিয়েছে, আগুন নিভেছে,জ্বালা নেই।
নেই তো কেউ, নেই কিছুই
অজানা অনুভব, কাঠঠোকরা ঠুকে বুকের ভেতর
একাকী নির্জন কুয়াশা রাতের সিঁড়ি।
জন্ম নিলো নতুন অস্তিত্ব
উঠে দাঁড়িয়ে ঘুম ভাঙ্গা গা-মাথা ঝাড়া
অবশেষে আগামীর পথ ধরে চলা।
ক্ষণস্থায়ী বসন্ত
অতঃপর কিছু সময় বসন্তকালে পার করে
বসন্তের পায়ে পায়ে হেঁটে গ্রীষ্মকালে উপনীত
বসন্তের চটি পা থকে খুলে অরণ্যের ঝর্ণাজলে
অবগাহন করে গ্রীষ্মের জ্বালা ধুয়ে ফেলে
তারপর বর্ষার বর্ষণে ভিজে ভিজে যায়
সকল দুঃখ-কষ্ট ধুয়ে নেবার অপচেষ্টা চলে
আর তা দেখে শরতের সাদা মেঘেদের সহাস্য উপহাস
অপেক্ষায় বিরক্ত হেমন্তের বাদামী পাতাগুলো ঝরে যায়
অবশেষে কুণ্ডলী পাকানো শীতের হাইবারনেশন থেকে
জেগে ভয়ে ভয়ে চোখ খুলে তাকাতেই দেখা যায়
ক্ষণস্থায়ী এক বসন্তকাল ধূমকেতু হয়ে জ্বলে আকাশে
আর তখন হঠাৎ করে বর্ষাকাল এসে বসন্তকে ঢেকে দেয়
স্বপ্নের ফানুশ পুড়ে
পশ্চিম দিকে ঢলে পড়া সূর্যকে দেখি
একবার দক্ষিণ থেকে, একবার উত্তর থেকে
পূর্ব থেকে দেখা সূর্যটার সাথে যে কোনো ব্যতিক্রম দেখি না।
মেঘের ভেতর দিয়ে উড়ে যাবার সময় দেখি
সূর্য মেঘে আগুন লাগিয়েছে।
সেই আগুনের হল্কা লেগে আছে বুকে।
স্বপ্নের ফানুশে বাস্তবতার প্রদীপ জ্বেলে দিয়েছি উড়িয়ে
বাস্তবতার আগুনে তাই স্বপ্নের ফানুশ পুড়ে যায়।
তুমি আমি কেউ জানি না
কোনটা সঠিক, কোনটা বেঠিক
কোনটা যে সত্য, কোনটা অসত্য
কি বা বাস্তব, কোনটা নাটক
তুমিও জানো না, আমিও জানি না।
এই ফুল, ফল, প্রকৃতি,আনন্দ, হাসি, গান
এর মাঝে কেনো বা রক্ত হাঁটে রাজপথে
কেনো পাখি মরে শিকারির গুলি খেয়ে
তুমিও জানো না, আমিও জানিও না।
আকাশে মেঘের ঘুরাঘুরি চলে
ডানা মেলে পাখিদের সভা হয়
কোথাও হয়তো মরে গেছে সাথী
আমিও জানি না, তুমিও জানো না।
বাঙালী স্বদেশে কেনো পটু নীতি ভঙ্গে
নতুন আইন প্রণয়নে কেনো দুর্নীতি বাড়ে
তুমি আমি কেউ জানি না।
নীতিকথার শ্রাদ্ধ
শ্রেষ্ঠত্বের দাবী করলেই হয়না
বিউগল বাজলে নিয়ম মাফিক সবাই সেল্যুট করে
নিয়ম ভঙ্গ করে খুব কমই শ্রেষ্ঠ হতে পারে।
রাজনৈতিক কিংবা সাম্প্রদায়িক কলহের কোনো
স্থায়ী সমাধান নেই
তাই ওদের ভালো কবিতা পড়ে মন্তব্য করা হয় না।
আইন-কানুনকে কে যেনো ধর্ষণ করেছে
খুন হয়ে গেছে নীতিকথা
মন্ত্রীপাড়ায় নিষিদ্ধ হয়েছে ইনকামট্যাক্স ইনসপেক্টর।
আগামীর পথে
ডিসেম্বরের রাতে কুয়াশা ঢাকা সিঁড়ি
সিগেরেট ধ্বংস আর সহ্যহীন বার্তার অপেক্ষা
বেদনাদায়ক ছাইভস্মের সমাপ্তি।
আগুনে কখনো অঙ্গ পোড়েনি জ্বালা বুঝার
তবু কাঙ্ক্ষিত বার্তার অনুভুতি
জ্বালা না ব্যথা আমি বুঝি না।
একাকী সিঁড়িতে কারো প্রস্থানের বেলা
গভীর রাতের এক নিভন্ত প্রদীপ ঠায় বসে
সিগেরেট ফুরিয়েছে, আগুন নিভেছে,জ্বালা নেই।
নেই তো কেউ, নেই কিছুই
অজানা অনুভব, কাঠঠোকরা ঠুকে বুকের ভেতর
একাকী নির্জন কুয়াশা রাতের সিঁড়ি।
জন্ম নিলো নতুন অস্তিত্ব
উঠে দাঁড়িয়ে ঘুম ভাঙ্গা গা-মাথা ঝাড়া
অবশেষে আগামীর পথ ধরে চলা।
ক্ষণস্থায়ী বসন্ত
অতঃপর কিছু সময় বসন্তকালে পার করে
বসন্তের পায়ে পায়ে হেঁটে গ্রীষ্মকালে উপনীত
বসন্তের চটি পা থকে খুলে অরণ্যের ঝর্ণাজলে
অবগাহন করে গ্রীষ্মের জ্বালা ধুয়ে ফেলে
তারপর বর্ষার বর্ষণে ভিজে ভিজে যায়
সকল দুঃখ-কষ্ট ধুয়ে নেবার অপচেষ্টা চলে
আর তা দেখে শরতের সাদা মেঘেদের সহাস্য উপহাস
অপেক্ষায় বিরক্ত হেমন্তের বাদামী পাতাগুলো ঝরে যায়
অবশেষে কুণ্ডলী পাকানো শীতের হাইবারনেশন থেকে
জেগে ভয়ে ভয়ে চোখ খুলে তাকাতেই দেখা যায়
ক্ষণস্থায়ী এক বসন্তকাল ধূমকেতু হয়ে জ্বলে আকাশে
আর তখন হঠাৎ করে বর্ষাকাল এসে বসন্তকে ঢেকে দেয়
স্বপ্নের ফানুশ পুড়ে
পশ্চিম দিকে ঢলে পড়া সূর্যকে দেখি
একবার দক্ষিণ থেকে, একবার উত্তর থেকে
পূর্ব থেকে দেখা সূর্যটার সাথে যে কোনো ব্যতিক্রম দেখি না।
মেঘের ভেতর দিয়ে উড়ে যাবার সময় দেখি
সূর্য মেঘে আগুন লাগিয়েছে।
সেই আগুনের হল্কা লেগে আছে বুকে।
স্বপ্নের ফানুশে বাস্তবতার প্রদীপ জ্বেলে দিয়েছি উড়িয়ে
বাস্তবতার আগুনে তাই স্বপ্নের ফানুশ পুড়ে যায়।
1 comments:
এই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন