মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০১৩

গুচ্ছ কবিতা - কবিরুল ইসলাম কঙ্ক

গুচ্ছ কবিতা
কবিরুল ইসলাম কঙ্ক



আমি ও গর্ত

নিজেকে জানি বলেই গর্তে থাকি
এখানে সূর্যের অভিযোজিত সভ্যতা নেই
নেই আলোর নিবিড় উষ্ণতাগুচ্ছ
নিজেকে জানি, তাই দুর্দান্ত বৃষ্টি
কিংবা উত্থানপতনের হিসেবি বাতাস
মাথা ব্যাথার কারণ হয় না

আঁধার রাজ্য
চারপাশে মাটির দেওয়াল
নিঃশব্দ নিঃসঙ্গতা
সুখ হয়ে ওঠে ক্রমশ

উচ্চাশা নিয়ে যেসব বিপিএল তালিকা
তাতে কোনদিন আমার নাম নেই
নেই ঋতু পরিবর্তন জনিত দুঃখ
আমিও বুঝি- নিজস্ব গর্তের পরিধি


দেশাত্মবোধক

দাঁড়িয়ে আছে দুর্দান্ত রাতপ্রহর
আকাশের কাছাকাছি সুখেল অনুভূতি

চেনা স্বপ্নের পরিশ্রান্ত গল্প
গড়িয়ে পড়ছে বিকেলের গোধূলি বিপ্লবে

দেশাত্ববোধক কবিতা লিখতে গেলেই
ঘুষ, দুর্নীতি আর পতিত নেতার কাহিনী

জঙ্গল ঘিরে বারুদ বুলেটের উৎপাত
সমবেত চিৎকারে ভেসে যাচ্ছে ভৌগলিক হৃদয়

দাঁড়িয়ে আছে অসংখ্য মানুষ
মানুষের সুখদুঃখের দৈনন্দিন ঋতুগল্প


সেই মেয়েটি


সেই চোখে আছে এক আকাশ রোদ
সেই চোখের দৃষ্টি বহ্ন্যুৎসব

সেই মনে আছে এক সাগর প্রেম
সেই মনের প্রেম লাভাস্রোত

চোখে আগুন মনে ফাগুন
সেই মেয়েটি প্রেম


একগুচ্ছ ঘ্রাণ

আর কখনো এভাবে নয়
বিপরীতধর্মী ব্যায়াম প্রক্রিয়া
তিমিত রেখায় যেন মহাকাশ উড়ান
আলাপ আলোচনা অথবা টেবিল বৈঠকে
পরবর্তী ঝামেলার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত
সুতরাং, এভাবে আর নয়
আপন স্রোতে ছেড়ে দাও নৌকা
গাঙে মানুষ হোক; বৈঠারা

কতদিন কোন খবর নাই
কেমন আছ প্রিয় মাটি??


ছোঁ

শিলপদ্য ছোঁ থুবলে দেয় স্বপ্নিল ঘ্রাণ
পাশেই রঙাতুর শ্রাবণকাহিনী
গাঢ় বৈশাখে ভাঙনের বিসর্পিল টান
সেসব সুখ অধ্যায় পশ্চিমগামিনী

কঠিন পাথরে ক্ষয়িষ্ণু জীবনমিত্র
হিম থেকে হিমান্তরে ব্যাক্তিগত বোধ
ভাঙনের সীমারেখায় অবাধ্য যাপনচিত্র
পাঁচিলের পর পাঁচিলে চরম অবরোধ

আশ্বিনের সর্বশেষ পর্বে ঘুমকাহিনি
নিঃশব্দে জড়িয়ে ধরে নক্ষত্র আকাশ
গোপন শব্দকণায় জাতকের দানাপানি
বেঘোর লাশের বুকে রক্ত পলাশ