মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০১৩

দুটি কবিতা - সমিধশংকর চক্রবর্তী

অতিক্রম - ২
সমিধশংকর চক্রবর্তী



মিশে যাও জন্মদাগ, মালসার ছাইয়ে
গঙ্গায় ভেসে আসে কেউ,
আমি তার ধোঁয়াদের প্রশ্বাসে ভরি
আছড়িয়ে ভাঙে বুনো ঢেউ ।
সে আমার পিতামহ কোনও ?
নাকি আমারও পরের কোনও রাত ?
কাহিনি লিখে যাবো নীলচে অক্ষরে
আমি কারো শতাব্দ বরবাদ ।
সেভাবে দেখলে দেখো ফসলের মাসে
কতটুকু ধান থেকে কয়টুকু চাল ?
তবুও হারিনি আর যাইনিও গুমটিতে
কেউ যদি বলেছে জঞ্জাল –
ধারণাগুলো সব শিথিল হ’য়ে এলে
গভীরতা মেখে নেয় রাত্রির আলো,
স্থবিরতা জানে তারও গতিবেগ আছে
বেঁচে থাকা সবচেয়ে ভালো ।


সুন্দর  আমার ভুবন ছেয়ে থাকে

এই যে জমি, জমির ভেতর বীজ, বীজের ভেতর প্রাণ
এই যে পাতা, পাতার মধ্যে রেখা, রেখার মধ্যে ভাষা
এইসব গেঁথে গেঁথে সাম্রাজ্য বানাব কোনও একদিন ।

আড়াল ছিল না,
এতটা গোপনে পেরোতাম না কোনও চেনা জনপদ
ছেলেবেলার মাঠে দাঁড়ালে
একটা অদ্ভুত হাওয়া আমার শরীর স্পর্শ করে
চেনা ঘ্রাণ –- খুব চেনা ঘ্রাণ—কোনও দিন লঘু হয়নি সে
কতদিন আগে যেন মিশে ছিল প্রশ্বাসে ।

সূর্য ডুবে গেলে, হেমন্তের এই সন্ধ্যায়
ঘর -– জীবনের খড়কুটো ঘরে
আমার তন্দ্রায় জড়িয়ে স্বপ্ন কল্পতরু হয়

সুন্দর আমার ভুবন ছেয়ে থাকে ।