ফ্রাইডে কিন্তু গুড নয়
তন্ময় চক্রবর্তী
তন্ময় চক্রবর্তী
এ গল্পটা আমার এক নিগ্রো বন্ধুর মুখ থেকে শোনা,
ও, গল্পটা শুনেছিল ওর দাদুর কাছ থেকে।
যিনি নাকি তুলোর চাষ করতেন
যার সারা পিঠে ছিল চাবুকের ঘায়ে
ছিঁড়ে যাওয়া মাংসপেশীর দাগ।
ও, গল্পটা শুনেছিল ওর দাদুর কাছ থেকে।
যিনি নাকি তুলোর চাষ করতেন
যার সারা পিঠে ছিল চাবুকের ঘায়ে
ছিঁড়ে যাওয়া মাংসপেশীর দাগ।
ক্যাবিনেট মিটিং এর মাঝখানেই
কানের কাছে কেউ যেন ফিসফিস করে বলল
আজ রাত্রে কিন্তু নাটক দেখতে যাওয়া,
ফোর্ড থিয়েটারের ঘড়িতে কাঁটায় কাঁটায় তখন রাত নটা।
প্রেসিডেন্ট বক্সের যে আবছা আলোয় ঢাকা করিডর
তারই মুখে দেহরক্ষী জন পার্কারের বসে থাকার কথা ।
কিন্তু বড় বিচিত্র চরিত্রের মানুষ এই পার্কার
কাজে গাফিলতি, মদ খেয়ে রাস্তায় মাতলামি।
বেশ্যালয়ে বেলেল্লাপনা, এসব তার কাছে গা সওয়া ।
তাই অল্পক্ষণেই পাহারার কথা বেমালুম ভুলে
হলের মধ্যে ঢুকে থিয়েটারে মজে গেল সে।
আর তার কিছুক্ষণ বাদেই হল থেকে বেরিয়ে
সটান একটা বারে ঢুকে হুইস্কি অর্ডার করল।
কানের কাছে কেউ যেন ফিসফিস করে বলল
আজ রাত্রে কিন্তু নাটক দেখতে যাওয়া,
ফোর্ড থিয়েটারের ঘড়িতে কাঁটায় কাঁটায় তখন রাত নটা।
প্রেসিডেন্ট বক্সের যে আবছা আলোয় ঢাকা করিডর
তারই মুখে দেহরক্ষী জন পার্কারের বসে থাকার কথা ।
কিন্তু বড় বিচিত্র চরিত্রের মানুষ এই পার্কার
কাজে গাফিলতি, মদ খেয়ে রাস্তায় মাতলামি।
বেশ্যালয়ে বেলেল্লাপনা, এসব তার কাছে গা সওয়া ।
তাই অল্পক্ষণেই পাহারার কথা বেমালুম ভুলে
হলের মধ্যে ঢুকে থিয়েটারে মজে গেল সে।
আর তার কিছুক্ষণ বাদেই হল থেকে বেরিয়ে
সটান একটা বারে ঢুকে হুইস্কি অর্ডার করল।
অভিনয় চলছে ।
আর একমনে দেখছেন আমাদের গল্পের নায়ক আব্রাহাম।
আমি আমার বন্ধুকে মাঝপথে থামিয়ে, জিজ্ঞেস করলাম
'কে ? এই আব্রাহাম।'
ও, সামান্য হেসে দূরের দিকে আঙুল দেখাল ।
আর একমনে দেখছেন আমাদের গল্পের নায়ক আব্রাহাম।
আমি আমার বন্ধুকে মাঝপথে থামিয়ে, জিজ্ঞেস করলাম
'কে ? এই আব্রাহাম।'
ও, সামান্য হেসে দূরের দিকে আঙুল দেখাল ।
- ২ -
ঝাঁকড়া গাছের তলায় নির্জন পথ
হেঁটে চলেছে একাকী একটি মানুষ
দূর থেকে দেখলে মনে হবে
তার দীর্ঘ হাড় সর্বস্ব শরীর যেন দুলতে দুলতে এগোচ্ছে ।
আমি তাকে চিৎকার করে জিজ্ঞেস করলাম
কে আপনি ?
মৃদু গলায় সে উত্তর দিল,
বলার মতো কোনো পরিচয় আমার নেই
আমি একজন পোস্টমাস্টার । আমার নাম আব্রাহাম ।
হঠাৎ যেন অন্ধকার ফুঁড়ে করিডরের সামনে
ভেসে উঠল একটা ছায়ামুখ
এধার ওধার তাকিয়ে সতর্কভাবে ভেতরে ঢুকে
করিডরে দরজার পাল্লায় ছিটকিনি লাগিয়ে দিল ।
আমি চীৎকার করে উঠলাম, ওই লোকটি আততায়ী
আর সঙ্গে সঙ্গেই সেই আগন্তুক চাপ দিল পিস্তলের ঘোড়ায় ।
রক্তের স্রোত, নদী
তবু ঘোষণাপত্র পড়া যাচ্ছে
এ এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ । এতে লেখা আছে ...
'আদেশ দিচ্ছি, ক্রীতদাস হিসেবে যারা বন্দী আছো
এখন থেকে তাঁরা সবাই মুক্ত ও স্বাধীন',
তারপর সব অন্ধকার ।
টেন্থ স্ট্রিট ৪৫৩ নম্বর বাড়ি
এক মধ্যবিত্ত ভাড়াটের খাটে শুতেই
রাত ভোর হয়ে এলো ।
ক্যালেন্ডারের পাতা ১৫ই এপ্রিল, ১৮৬৪
সকাল সাতটা বেজে একুশ মিনিট পঞ্চান্ন সেকেন্ড ।
তবু ঘোষণাপত্র পড়া যাচ্ছে
এ এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ । এতে লেখা আছে ...
'আদেশ দিচ্ছি, ক্রীতদাস হিসেবে যারা বন্দী আছো
এখন থেকে তাঁরা সবাই মুক্ত ও স্বাধীন',
তারপর সব অন্ধকার ।
টেন্থ স্ট্রিট ৪৫৩ নম্বর বাড়ি
এক মধ্যবিত্ত ভাড়াটের খাটে শুতেই
রাত ভোর হয়ে এলো ।
ক্যালেন্ডারের পাতা ১৫ই এপ্রিল, ১৮৬৪
সকাল সাতটা বেজে একুশ মিনিট পঞ্চান্ন সেকেন্ড ।
ধড়মড় করে জেগে উঠলাম ।
কবিতার খাতায় রক্ত লেগে আছে
খাতার মাঝখানে
সেই নিগ্রো বন্ধুর বিষণ্ণ মুখ
একটাই মাত্র লাইন লিখেছি সারারাত ধরে
'ফ্রাইডে কিন্তু গুড নয়' ।
কবিতার খাতায় রক্ত লেগে আছে
খাতার মাঝখানে
সেই নিগ্রো বন্ধুর বিষণ্ণ মুখ
একটাই মাত্র লাইন লিখেছি সারারাত ধরে
'ফ্রাইডে কিন্তু গুড নয়' ।
2 comments:
খুব ভালো লেখা,
অসাধারণ এক কবিতা ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন