বিশেষ রচনা
অনির্বাণ বটব্যাল
ফেস টু ফেস , বুক টু বুক
সম্পর্ক আসলে আদ্যপান্ত
জ্যামিতি যাপন । গাণিতিক ভাষায় সীমাবদ্ধ সামতলিক ক্ষেত্র। ভূগোলে মানচিত্র। আইনের সংজ্ঞায় সমাজ
সম্মত আচরণ বিধি । রাজদণ্ডে স্বীকৃত কাঁটাতার। এপার ওপার কূটনৈতিক
লেনদেন । সৌজন্যের হাসি বিনিময় । যাবতীয় সমীকরণ , সূত্র
মিলিয়ে মিলিয়ে মননে ও মানসিকতায় খোদাই করে নেওয়া বিচিত্র সম্পর্কলজি । একটি আভ্যন্তরীণ রসায়ন
বিজ্ঞান।
অথচ ইতিহাসের সিলেবাস
বরাবর আলাদা। প্রত্নকল্পে ধরে রাখেকিছু বিস্ময়। বিশেষত যখন “কথা কিছু কিছু বুঝে নিতে হয়”। আর এই বোঝাটাই বড্ড গোলমেলে – এই ভারী মনে হয় ত এই আবার হালকা , ফলে
বওয়াটা বড্ড রিস্কি । বিপদসীমার উপর দিয়ে জল বইতে পারে যখন তখন। তবু মুখে বলা যায় না । সবই লিখিত ।আচ্ছা বা ঠিক আছে বলতেও
চ্যাট বক্সে “হুম” , আবার
রেগে গেছি মানেও “হুম”। এতকালের ভ্রু নাচিয়ে, নাক কুঁচকে, চোয়াল চেপে, চোখ পাকিয়ে, সজল চোখে, ঠোঁট ফুলিয়ে, আনত বা আরক্ত মুখে এত রকম বলাগুলি কা কা করতে করতে দুরের বলাকা । ভেসে যায় সম্পর্কের
হিসেব নিকেশ। লিখিত ভাষ্য বুঝে নেওয়ার দায় সম্পর্কের । তাহলে মোটের উপর কি দাঁড়ালো
? কথার কোনো বলা নেই কওয়া নেই চলুক শুধু কি-বোর্ডে কি-প্যাডে
আঙুলে টাইপে। আর সম্পর্ক? সেও একডাকে মিশিয়ে দিল একাধিক ডাকঘর। “বন্ধু” ডাকনামে বহুমাত্রিক
অদ্ভুত আকাশ এক । আকাশের কোনো মানচিত্র
থাকে নাকি? কোনো
কাঁটাতার ? মাঝে মাঝেই কালো মেঘের সমাবেশ, ফুঁসে ওঠা ঝড় প্রতারণা, ছলচাতুরী, আত্মহনন , হিংসা ... ব্লা ব্লা ব্লা ...
কিন্তু কোনটিই স্থায়ী চরিত্র নয় কিংবা মারণাত্মক ভাইরাস যে গিলে ফেলবে একটা গোটা
আকাশ। ঠিক তার পড়েই বৃষ্টি আসে , বন্ধুর গা বেয়ে নির্মলতার স্নান
অনায়াসে পেরিয়ে যায় এদেশ ওদেশ পাসপোর্ট বিহীন। নদী নালা বেয়ে সাগর পেরিয়ে
যায় বন্ধুবার্তা। কুলে উপকুলে ছড়িয়ে পড়ে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট। বন্ধু প্রস্তাবের নয়া
প্যাকেজ ফেস টু ফেস নাই বা হল চেনা , দেওয়া নেওয়া হোক বুক টু বুক। চোখ মুখের কথা মুলতুবি
রেখে হৃদয়ে হৃদয়ে ভাষা বিতরণ... না কোনো ভোটের লোভে চিঁড়ে , মুড়ি
গুড় ত্রিপলের ত্রাণ নয় ... প্রকৃত ভালোবাসার ভাষা যা মানুষের চিরাচরিত একান্ত
নিজেস্ব মুখ। অরিজিনাল ফেস এবং মানবিকতার বুক। একত্রে ফেসবুক- কিছু
ভালোর বিশ্বাসে গড়ে ওঠা নয়া সভ্যতা এবং সারা পৃথিবীর একটাই ফেস- মানুষ, একটাই
পিনকোড – খোলা বুক। নিজের ভালোটুকু খুঁজে পাওয়ার, চিনে
নেওয়ার, বিলিয়ে দেওয়ার নতুন মাধ্যম । আসুন কিছু করি। কারোর জন্য নয় , নিজের
জন্য। নিজের ভালোগুলিকে একটু আলো হাওয়ায় বেড়ে উঠতে দিই
......... আর কৃতজ্ঞতা জানাই - স্যালুট
মার্ক জুকারবার্গ, স্যালুট হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি।
বুক
টু বুক যখন দাবানলের ফেস
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া
দাবানলে কোনো গাছ ছিল না। পরিকল্পিত অন্ধকারে জ্বলে উঠেছিল অত্যাচারিত
ছাত্রছাত্রীদের চকমকি। যাদবপুর ক্যাম্পাস থেকে স্ফুলিঙ্গ ছিটকে উঠল ফেসবুকের
পাতায় আর তারপর জাগরণের নয়া ইতিহাস দেখে ফেলল সারা বিশ্ব। একটি স্বতঃস্ফুর্ত
প্রতিবাদে কোনো বাদ নেই জিন্দাবাদ, মুর্দাবাদ, ধন্যবাদ
ছাড়িয়ে – হোক কলরব একটি আগ্নেয়গিরির ঘুম ভাঙ্গার সংবাদ যেখানে
সমস্ত রং বাদ। প্রধানত ফেসবুকের ডাকে ২২ থেকে ২৪ বছরের প্রায় ৫০০০০
হাজার স্ফুলিঙ্গ অচল করে দিল রাজপথ। আকাশবাতাস কেঁপে উঠল সে শনিবার ফেসবুকের ক্ষমতায়। পরেপরেই দাবানল ছড়িয়ে
পড়ল মেদিনীপুর ,বহরমপুর, খড়গপুর আই আই টি , চেন্নাই আই আই টি। মুম্বাই আই আই টি, দিল্লীর রাজপথে ... । ইতিহাসে ফেসবুক একটি
আন্দোলনের হাতিয়ার ... প্রতিবাদের ফেস , চরম সাহসের বুক ... আসুন জোটবদ্ধ হই
অন্যায়ের বিরুদ্ধে ......
বুক
টু বুক যখন মানবিকতার ফেস
ক. মন খুলে মনের কথা - ফেসবুকে যারা MKMK নামে একটি গ্রুপ। ফেস টু ফেস নয় , দেওয়ানেওয়া
আগে হল বুক টু বুক তারপর একে একে জড়ো হল সৎ ইচ্ছারা হাতে হাতে মিলিত হল উদ্যোগগুলি
। অচেনাগুলি হয়ে উঠল চেনা বন্ধুত্বের দৃঢ় সংকল্প। কিছু করতে হবে বঞ্চিত
মানুষদের জন্য নচেৎ বন্ধুত্বের মানে কি? নিত্য নতুন হাসি আড্ডা মজার
স্ট্যাটাস বিতরণ আর ফ্রেন্ডলিস্ট ভারী করা?
MKMK একটি সম্পূর্ণ ফেসবুক কমিউনিটি তার
যোগ্য জবাব। পুজোর আগে আগে যারা ব্যান্ডেল, হুগলী, চুঁচুড়া,
চন্দননগর প্ল্যাটফরম সংলগ্ন শতাধিক বস্তিবাসীর মুখে এনে দিয়েছেন
এক চিলতে হাসি। পুজোর আগেই তাদের হাতে জামাকাপড়, ফ্রি
মেডিক্যাল চেক আপ , যথাসম্ভব ওষুধ পত্র ও একদিনের ভরপেট
খাওয়ার আনন্দ দিতে পেরেছে। হয়ত স্থায়ী নয় তবু একটু হলেও
আনন্দ ।তাদের আনন্দ , MKMK-রও আনন্দ। কোনো কিছু পাওয়ার জন্য নয় তাই এই আনন্দে কখনো ভাঁটা
পড়বে বলে মনে করে না MKMK তার প্রমাণ স্বরূপ বিগত দিনের
প্রকল্পগুলি সামনে রাখে তারা –
·
বীরভূমের
এক প্রত্যন্ত গ্রামের অতি দরিদ্র দিন মজুরের মেধাবী দৃষ্টিহীন পুত্র সুমিত ঘোষ
সিউড়ি শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ বিদ্যাপীঠের কলা বিভাগে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। স্টার পেয়ে মাধ্যমিক পাশ করলেও তার চোখের চিকিৎসায়
দাঁড়িয়েছিল এমকেএমকে।
·
মহিষ
বাথান বস্তিতে এক ছোট্ট দরমার ঘরে থাকে অমিত সানা তার স্ত্রী ও একমাত্র শিশু সন্তান
৩ বছরের নয়ন কে নিয়ে। দিন মজুর অমিত সানার অভাবের মধ্যেও সুখে দুঃখে দিন কাটছিল। কিন্তু তাতেও নিয়তি বাধ সাধলো। একমাত্র সন্তান নয়ন প্রায়ই ভোগে .....জ্বর হয়, মুখ হাত পা ফুলে যায়। পার্ক সার্কাসের ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথ (INSTITUTE OF CHILD HEALTH) এ পরীক্ষার পর জানা গেল যে
নয়ন জন্ম থেকেই দুরারোগ্য কিডনির সমস্যায় ভুগছে। শেষ চেষ্টা হিসেবে ডাক্তার রা RETUXIMAB THERAPY করতে হবে বলছেন, যার খরচ আনুমানিক ৪০,০০০ টাকা। এই চিকিৎসায় সাড়া পাওয়া গেলে ৬ মাস পরে আরেকবার RETUXIMAB THERAPY দিতে হবে এবং তাতে আরও ৪০,০০০ খরচ। এই
চিকিৎসা খুব তাড়াতাড়ি না করালে নয়নের কিডনি ফেইলিওর (KIDNEY FAILURE) হবে।
দিন মজুর অমিতের সাধ্যের বাইরে এই ব্যয়বহুল চিকিৎসা। তাই সে মনের কথা,মন খুলে "Moner Katha Mon Khule" - MKMK র দ্বারস্থ হয়েছে তার ছেলের চিকিৎসার জন্য । MKMK দায়িত্ব নিয়েছে নয়নের চিকিৎসার।
দিন মজুর অমিতের সাধ্যের বাইরে এই ব্যয়বহুল চিকিৎসা। তাই সে মনের কথা,মন খুলে "Moner Katha Mon Khule" - MKMK র দ্বারস্থ হয়েছে তার ছেলের চিকিৎসার জন্য । MKMK দায়িত্ব নিয়েছে নয়নের চিকিৎসার।
·
পাঁচ বছরের
শ্রেয়শ্রী দাশ দুরারোগ্য ব্লাড ক্যান্সারে ভুগছে। চিকিৎসার অর্থ সংগ্রহের জন্য MKMK একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল ৩রা আগস্ট,'২০১৪,রবিবার বিকেল ৫.৩০ টায় তপন থিয়েটারে।টিকিট বিক্রির এবং
অনুদানের টাকা তুলে দেওয়া হলো চিকিৎসার জন্য।
এভাবেই ফেসবুককে বিনোদন নয় দায়িত্ব কর্তব্যের
পীঠস্থান করতে MKMK বদ্ধ পরিকর। একটাই লক্ষ্য সমস্ত বুক
ভরে উঠুক মানুষের ফেসে । আলাদা যেন না হয় ফেস আর
বুক। মিশে যাক একই শুভ চেতনার
উন্মেষে।
খ. মুক্তধারা
বহু অত্যাচারিত নিপীড়িত বঞ্চিত মানুষগুলির পাশে দাঁড়িয়ে মেদিনীপুরের
প্রত্যন্ত পিংলা থানার একটি গ্রামে ২২ বছরের একটি ছেলে গড়ে তুলেছে
"মুক্তধারা"। যে
গ্রামে ১০-১২ বছরের ছেলেরা জন খাটতে বেরিয়ে পড়ে আর আমাদের শিশু শ্রমিক আইন ওখানে
পৌঁছোয় না । যেখানে
১৩-১৪ বছরে মেয়েদের বিয়ে হয়ে যায় ফলত অপুষ্টির শিকার হয় ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। সেখানে ইন্দ্রজিৎ মাজি কর্তৃক মুক্তধারা সেইসব
শিশুগুলির নিয়মিত মেডিক্যাল চেক আপ ও পড়াশুনোর ব্যবস্থা যাতে শিক্ষার আলো কিছুটা হলেও ওরা পায় সেই ব্যবস্থায় উদ্যোগী
হয়েছে। আর
এই ফেসবুক তার কাছে পৌঁছে দিয়েছে আমাদের। সরাসরি তার সাথে দ্যাখাসাক্ষাত করিয়ে দেওয়ার জন্য জুকারবার্গ নিজেও জানেন
না তাঁর এই যোগাযোগ ব্যবস্থার বিপ্লব মানবিকতার ক্ষেত্রেও একটা বিপ্লব হয়ে উঠছে
একটু একটু করে। এ
মুহূর্তে ৫০-৬০ জন শিশু মুক্তধারা থেকে পড়াশুনোর অনুপ্রেরণা পায়। প্রায় ২০ জনকে নিয়মিত পুষ্টিকর খাদ্য যথাসম্ভব
দেওয়ার চেষ্টা করা হয় । এছাড়াও
সবুজায়ন, প্লাস্টিক বর্জন প্রভৃতি বিষয়ে
সচেতনতা গড়ে তোলাও “ মুক্তধারা” প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে । সবচেয়ে আনন্দের খবর যখন “মুক্তধারা”
মুক্ত কণ্ঠে ঘোষণা করে –“ আমার চলার প্রায় সবটুকু পাথেয়ই আসে ফেসবুক বন্ধুদের
কাছ থেকে কেউ কেউ আবার প্রবাসী কারণ আমাকে সাহায্য করবে এমন অর্থনৈতিক পরিকাঠামো
আমার গ্রামের নেই।” আর পাশাপাশি টের পাই গায়ে কাঁটা দিচ্ছে আমারও। আমিও ওর ফ্রেন্ড লিস্টে আছি , আমিও ফেসবুকের একজন মেম্বার ...... কিছুটা গর্বিত হই
কিছুটা নতজানুও
বুক টু বুক যখন নিজেকে টপকে যাওয়ার ধুকপুক
ক. লেখামি - যখন ব্যঙ্গ করে কেউ বলে ফেসবুকে লিখিস ? ওখানে তো সবাই কবি । আমি বলি ঠিক তাই এখানে সবাই কবি ... যারা নিজেরা
নিজের আনন্দে লেখে। যারা কবি হতে
চায় সখ করে কিন্তু উঠে পড়ে লাগে না । যারা ভয়ে ভয়ে লেখে পড়াশুনো নেই বলে। আর এইরাস্তা ধরে হাঁটতে হাঁটতেই তেলচিটে নুন তেল ঘাম রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে
আসে একজন গৃহবধূর নিজস্ব কলমটি। পড়াশুনো
করতে না পারা মাত্র ক্লাস এইট পাশ ছেলেটির ভয়ানক উপলব্ধিটি । ফ্রিজের মেকানিক ছেলেটির লুকোনো কবি সত্ত্বায় ফ্রি
হয়ে যাচ্ছে তার বাচ্চার ডাক্তার চেক আপের খরচ কারণ ডাক্তারটিও কবিতা প্রেমিক একজন। অতএব যারা কবিতাজন্মের এই সৎ সতঃস্ফুর্ত
বহিঃপ্রকাশগুলিকে গলা টিপতে চান তারা আসলে নিজেদের কবি বানাতেই বদ্ধপরিকর ...আহা
ওদেরও কবিতা লিখতে ইচ্ছে করে ... ওদের কবিতাকে দিনের আলো দেখতে দিন ... সময় সমস্ত
জবাব দিয়ে দেবে কবিতা বাঁচানোর দায় আমাদের কারোর নয় ... আগে নিজেদেরকে গণ্ডীবদ্ধতা
থেকে বাঁচাই ......
খ . আমিয়ানা – এটাই এক ভয়ংকর রোগ এবং ভোগ । দান ধ্যানে আরো বেশি আমিহারা হতে চেয়ে আমিকেই
জাপটে ধরে আর ক্রমশ হয়ে ওঠে আমিময়। কেউ
হব না ভেবে কেউটের বিষে কেউকেটা একদিন । আর উন্মেষের পক্ষে হয়ে ওঠে কর্কটের কামড়। জীবনহানির কার্সিনোমা। কারা যেন আবার ফেসবুকের সঙ্গে ইয়ং জেনারেশনকে
ট্যাগাইছেন? এবং মাথা খেয়ে ফেলার একটা
ভাইরাস মনে করেন? কারা যেন নোংরামির একটা আকুস্থল মনে
করেন ফেসবুককে ? কেউ কেউ হিসাবে রাখেন কি কি অন্যায় কোথায়
কোথায় কার সঙ্গে ফেসবুকের জন্য হল ? কটা সুইসাইড হল,
কটা অবমাননা হল, কটা ছলচাতুরী হল কটা
কটা ...
হ্যাঁ ওগুলি হয়েছে স্বীকার করে নিলাম। যারা করেছে স্বীকার করে নিলাম তারা ঘোরতর অন্যায় ও
অপরাধ করেছেন। কিন্তু
আপনি আমি আমরা কি করলাম ? মুখরোচক
আলোচনায় তার অপরাধটির প্রচার প্রসার করলাম শুধু। আমরাও তার অপরাধের অংশীদার হলাম না কি? পাল্টা বা পরিবর্তে কোনো সঠিক কাজের দৃষ্টান্ত কি
স্থাপন করতে পারি না? না হে বন্ধু ভালো করে একবার নিজের
দিকে তাকাও অনেক শুভ ইচ্ছা লুকিয়ে আছে তোমার ভিতরেও। একটা বিশুদ্ধ আমিয়ানা শুধু রাস্তা পাচ্ছে না । দ্যাখো কত ভালো ভালো কাজেই জেগে উঠছে ইয়ং জেনারেশন
... তরুণ , যুবক প্রত্যেকে কিছুটা অংশ
হলেও ফিরে আসছে তাদের সচেতনতায়, মূল্যবোধে।
এবার আমিয়ানায় তার কথা বলি যিনি ইয়ং নন মোটেই। যার পা দুটি একেবারে অকেজো । অথচ ফেসবুকে পৌঁছে গেছেন মেদিনীপুরের পিংলায়। সেখানের হত দরিদ্র মানুষগুলির জন্য পৌঁছে দিচ্ছেন
তার সাহায্যটুকু। তিনি শ্রীমতী মমতা দাস। শুধু কলকাতার গড়িয়ায় বসেই জয় করে ফেললেন তার হাঁটা
চলার প্রতিবন্ধকতা । সুখবর -তিনি
প্রবাসী পুত্র ও পুত্রবধু সমেত যাচ্ছেন “মুক্তধারা”-য়। শুনে চোখে জল আটকাতে পারি নি সেদিন।একজন দুটি পা হারিয়ে
ফেলা মানুষ জয় করে ফেললেন যে দূরত্ব আর আমরা !!!... শ্রদ্ধা হে মমতাময়ী আপনাকে
প্রণাম আর জয় হে ফেসবুক ... হ্যাটস অফ
মার্ক জুকারবার্গ ......
আসুন বন্ধু । হাত ধরুন... বন্ধু কথাটির মর্যাদা রক্ষায় আমাদের
ক্ষুদ্র সামর্থ্যগুলিকে যোগ করে বৃহৎ রূপদানে সচেষ্ট হই । ফ্রেন্ড লিস্ট ভারী করে শ্রেষ্ঠত্ব জাহির করা যায়
না ...প্রকৃত আনন্দ খুঁজে নিই কিছু করার মাধ্যমে ... নিজের কাছে নিজে আন্তরিক হয়ে
... নিজের আমিয়ানায় ...... নিজের আয়নায় ...
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন