গুহা ছিল প্রথম আয়না
সঙ্ঘমিত্রা হালদার
১
আমাকে আনন্দ কর
কেটে কুচনো টুকরোয় দুহাত ভরে নাও
এমনকি হাত জানে না যে স্পর্শের কথা
রেওয়াজে তাকে প্রাণান্ত কর।
একটা মাত্র টিক চিহ্নের আগের ভুলগুলোয়
ওই অসংখ্য ভুলগুলোয় আমার আটকে থাকা
তার পরে কোথাও আমি নেই
কেবল টিক চিহ্নের সারানো আমি
সেলাই জুগিয়ে দেওয়া আমি
আমার ভুলগুলো বেরিয়ে যাচ্ছে সাবানের ফেনায়
নর্দমার জলে
কথায় কথায় গুলে যাচ্ছি আমি
হে শব্দ আমাকে আনন্দ কর
ভরে আসতে দাও
২
তুমি তোমার দেশে তোমার ঘরে তোমার বাইরে
আমরা সবাই লড়ছি আরও ভালো থাকা সুবাদে
প্যাস্টেল রঙের টেবিলে না থাকা পৃথিবীর কথা লিখছ তুমি
একটা শরোদ ফেটে পড়তে চাইছে সে ঝালায় এসে
হে ভালো পৃথিবী তোমাকে লিখতে লিখতে এখন প্রাণের সংশয় আমাদের
হে উত্থিত কামনা তুমি ছিলে কখনো পাশের বাড়ির মতো
আজ সহৃদয় নিজেই এসো
৩
কেবল তুমি হে
খিদে বসে আছ এমন দৃষ্টিতে
যেন বুভুক্ষু
কোথাও নেই
তুমি বসেছ বলে
তার মরা ডাল শূন্যস্থান ভরে আছে
তোমাকে তখন কতটা
আর দেখাব, অধিকার করে আছ কত
তুমি খিদে তৎক্ষণাৎ
বলছ না – খেতে পারো
বিশাল ডানা মুড়ে
কেবল
তোমাকে রচনা করে
ফিরে যাও
এতটা সহজ হয়ে
আসে আশপাশ
যেন ভাস্কর্য
নড়ে উঠবে দেওয়াল থেকে
পরী নামবে যেকোন
অপূরনীয় পলক থেকে
৪
আমি চরিত্র
একধরনের। লক্ষ্য রাখি
দেখি নকল
প্রতিলিপি করছ
চরিত্রের
পিঁপড়েরা সারি দিচ্ছে তোমার গায়ে
তুমি হয়ে উঠছ
অষ্ট বক্র অথবা মুনি
আর তখনই একা
হওয়ার চৈতন্য পাচ্ছে তোমার
তোমাকে তোমার
একা পাচ্ছে খুব
ভেসে যাওয়া
রাজহাঁস হচ্ছে তোমার শরীরে
তোমার কামনার
প্রতিরূপও তোমাকে পেরিয়ে যাচ্ছে
আজ কামনা করছ
পায়ে হেঁটে ফিরুক সে
তোমার ভেতর
ফুরিয়ে দিক তোমাকে
তোমার যাদুকে
যেকোন
অনাস্থা আর বিদ্রোহে তুমি ধারণ করছ যার প্রেত
3 comments:
বাহ্... সঙ্ঘমিত্রা... সহজাত বাচন...তুমি স্থিতি অর্জন করছ...
ভাল হয়েছে
Splendid
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন