শনিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১২

কবিতা - কাজরী তিথি জামান

পরিযায়ী অভিমান
কাজরী তিথি জামান

পাতলা কুয়াশা চিরে দেয় অস্থির কোন দীর্ঘশ্বাস?
কোন বিমুর্ত কাঠামো রাতচাদরে রেখেছে আহবান?
আমার কপালের চুলগুলি কার স্পর্শে এমন শান্ত?
উন্মুখ আবেগে খুলে যায় নিরাপদ কারাবাস;কেন?
এই রাখী-জ্যোছনা আমার নয় কি?এই আকুলতা?
এই রাত ;এই ভেজা বাতাস' শুধু বেতস লতায়?
তুমি কি কোনো দলছুট জোনাকী ?অথবা শিশির?
অথবা বুকের অলিন্দে 'যুবরাজ কাব্য'?মৌন্য সীমানা?
কলসীতে জল নেই ;জল নেই মেঘে' তবুও তৃষ্ণা যেন
সাহারার নামে নিজেকে ঢেকেছে অনিমেষ আবেগে!
রাতের কাব্য অনাহূত মেঘ; অপ্রকাশিত উত্তাপ আঁধারের।
তুমিও সূর্যস্নানে ঘরবসতি প্রতিদিন.....অভ্যাস অথবা
এই নাও তোমার চা'-ধুমায়িত সন্মোধনে হাত বাড়াও--
কাগজে ডুবে' আরো কিছু খুঁজে বেড়াও অপ্রতিরোধ্য!
আবারও বিনোদন পাতায় তোমার চোখ স্থির,চেনা যায়?
শুধু কবিতায় চার ফেলে ডেকেছো কোনো মেঘ?সে মুখ
তোমার অলিন্দে উপুড় করেছে অসুখ।গোপন ক্ষরণে,
শ্রাবণী মেঘ গহীন তম গভীরতা সাঁতরে উঠে আসে....
অলক্ষ্যে বাসরের প্রস্তুতি শুরু হয়;এবার মুষল ধারায়
মাটির তৃষ্ণা মিটাবে আকাশ।আর আকাশের কাব্য
ফিরে যাবে পরিচিত কবিতায়!যেখানে সীমানা আছে;
বারণ আছে,আছে নির্লিপ্ত অবয়ব;মুষ্টিমেয় ক্ষোভ এবং
'প্রেম'--নামের দীর্ঘশ্বাস।যে কড়া নাড়লে আগল বন্ধ হয়ে যায়!
আপত্তির অসুখ নিয়ে আজও ফিরে যায় পরিযায়ী অভিমান ৷৷