শনিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১২

কবিতা - পুণ্যশ্লোক দাশগুপ্ত

লাফিয়ে উঠলো আকাশ
পুণ্যশ্লোক দাশগুপ্ত



মাধুরীলতার কুসুমিত রং আমাকে ক্ল্যাসিক ভালোবাসা দাও
আমি বিদিশার আধুনিকতায় আকাশের নীলে নিখুঁত মিশবো
এক-এক-ঝাঁপটা বৃষ্টি মাখবো মুখের অ্যাপেলে অন্তহীন
উল্কিতে রঙ বাউদিয়া রূপ কার্পেটে মোড়া নতুন পৃথিবী
ফসল তুলবো আকাশের গা্য গুলাব-জামুন চার পেগ হাসি
ফসল তুলবো ভ্যানিলা-আইস লেমন-জুসের সাবেকিয়ানায়
সসপ্যান থেকে সসপ্যানে রং চিনির কিউবে নাট্যরস
তরবারি হাতে যুবক এসেছে মেহগিনি রঙ যুবক এসেছে
শুনতে পেলেন মোহনবাঁশিটি আনন্দরূপ যুবক এসেছে


পাহাড়চুড়োয় লাফিয়ে উঠলো আকাশ এই ছবি শুধু আমিই দেখেছি
অচেতনের আবডালে দৃষ্টি বিনিময়ের উচাটন
ওখান থেকে মাত্র এক কিলোমিটার স্বপ্ন
সন্ধ্যে নামার আগে সামনের বাগানে আগলে রাখলাম উদ্বেগ
এর পরই সোনালি স্বাধীন ঝড়ো পাখির গান আমি শুনলাম
সূর্যাস্তের জীবন ঘোলাটে আয়নার মতো
এর মধ্যেই আমার খয়েরি নেট-ওয়ার্ক বরোদা থিরুঅনন্তপুরম
স্রেফ যেন প্যারিসের যুবক আমি
সদ্য ফোঁটা ফুল গোলাপি ইউরোপ
আমার ক্যামেরায় ক্লিক-ক্লিক শব্দ হয়না থ্রিডির স্ট্রবেরি
সে ছবি তোলে ক্লিপ-লিপস্টিক,সি-বিচ মোহভঙ্গের কাউন্সেলিং ,ছবি তোলে
অর্থপূর্ণ হাসি, সাদা পায়রা, ছিন্নভিন্ন জোনাকি
এরা আমার চিঠির বাক্স নাট্যশালার গান আইপড,
যেন সে একটি ফুলের দোকান ইচ্ছে মতো নকশা কাটে
যেন সে তরবারি কষ্টিপাথরে লাভমেসিন
হঠাৎ ঢুকে পড়লো ফ্যান্টাসির চোরচুন্নি, ঝাঁপিয়ে পড়লো স্থিতপ্রজ্ঞার আলো,
আমি নীরবতার স্রোত জাপটে ধরি আর তখুনি দেখতে পাই
খাঁচার পাখি ঝুমবরাবর ক্ষিদের জ্বালায় মরে,
লাফিয়ে উঠলো ইমোশনাল আকাশ, আমার নতুন প্রেম
বুকের ওপর গড়ে উঠলো বেখেয়াল টেবল-টেনিস,
অ্যাটলিস্ট সঠিক সমস্যার কথা বলো-
নিজের ফিলিংস


দু’টুকরো অবসাদের রজনী তোমাকেও সুর মেলাতে হবে
নিরিখে নিরিখে জীবন নিরিখে নিরিখে ডার্করুম
ও আমার পাগল প্রত্যাশা, বিষয়ব্যাঞ্জনার স্কুল,
এক অধরা স্বপ্নের পিছে পিছে ঘুরপাক , চিঠিতে অবশ্য এ কথা ছিলো না,
চিঠির দাহ্য ঝলকে ঝলকে মিশে গিয়েছিলো সুপারসনিক,
রিচুয়া্ল, তবু সন্ধেবেলায় একটি চুমুর তোলপাড় যেন হারিয়ে না যায়-
যেন হারিয়ে না যায় মেট্রোস্টেশন, ভিড় ঠেলে ঠেলে টার্মিনাল..
যেন তন্দ্রা-রঙের বাথটাব এলো পাপড়ি জড়ানো অধরা মানুষ
স্বপ্ন ভেঙে না যাবার গান গাইতে গাইতে এলো
রূপকথার চারটে সাদা মায়াপরি


মাধুরীলতার কুসুমিত রং আমাকে ক্ল্যাসিক ভালোবাসা দাও
আমি বিদিশার অঙ্গন ছুঁয়ে আকাশের নীলে নিখুঁত মিশবো
এক-এক-ঝাঁপটা বৃষ্টি মাখবো মুখের অ্যাপেলে ইন্টিরিয়র
উল্কিতে রঙ বাউদিয়া রূপ কার্পেটে মোড়া নতুন পৃথিবী
ফসল তুলবো আকাশের গা্য গুলাব-জামুন চার পেগ হাসি
ফসল তুলবো ভ্যানিলা আইস লেমন জুসের সাবেকিয়ানায়


কীভাবে অতিক্রম করি এই পরিচয়, জীবনের রঙ ।
পৃথিবী উত্তেজনার দশদিক স্কিজোফ্রেনিয়ার সাইকেল ছুটছে আকাশের গায়
জীবনের আরও একটা রঙ এক দিগন্ত ক্লাইম্যাক্স আমি উপরের প্রহরায়
অ্যানিমেশনের পাগল তোমার টুপিতে বাজপাখি
আমি ছড়িয়ে পড়লাম তোমার মিউজিয়ামে
অ্যান্টিক স্রেফ অ্যান্টিক নাকি সম্রাট স্বপ্নের হলিউড না আমি সিনেমার ওয়েস্টকোট
আলো জ্বলে উঠলো, ক্যামেরা প্রস্তুত , বিস্তীর্ণ বিলাস ,
যুবতী মনের আমিই তো সম্রাট বসন্তের প্রিন্স আদ্যন্ত দানাহীন আঙুর


এক পাত্র মদের সামনে এক ইঞ্চি আপেল আর আমার ঈগলচিহ্নিত ঢাল
কৌশলের উপর ষোলো আনা জাদুর রাজনীতি ,নৈশ কফির ছিমছাম স্ক্রিন
আমি বিদিশার আঙুল আমি বিদিশার মেকআপ ব্ল্যাকটপ বিকেলের ফুচকা
রঙে ঢঙে তাকে সাজিয়ে তুললাম ইমাজিন , মেটালিক , মার্বেল-ফিনিশ
ও আমার ইলিউশনের ইলিউশন লুকিয়ে কথা লাগামছাড়া ত্বকের সঙ্গে
ও আমার তুখোর বাতাস ঝকঝকে মার্কেট কর্পোরেট ডিজাইন
কঠিন সাফল্যের আর্ট ,আমি মিশে যাই ঝোলানো রূপকথার আঁচে
নেমে পড়লাম এক গামলা ফলের রসে ,পিয়ানোঅ্যাকর্ডিয়ান বেজে উঠলো
বিদিশা আমার বিদিশা আমার ভারাক্রান্ত প্রেমিকা , চেক-ইন করবে কি আজ


আমার হিসেবের মধ্যেই ছিলো মেলে ধরলাম ফ্রুটজুস
শরীরের কাউন্টারে খুলে দিলাম নতুন রেস্তোরাঁ
গ্যালারির চারপাশে বাগিচায় রেখে আসলাম পাখির ডেকোরেশন
লিলি আমার প্রথম প্রেমিকা গান গাইতো ক্রিসেন্থিমাম
গোলাপি জল ছিটিয়ে বলতো ,’এই আমার প্যারিস এই আমার শ্যাম্পেন’
আমি বিদিশার ঘরোয়া আড্ডায় নতুন সেলিব্রিটি , ও আমাকে ইচ্ছেমতো
হিম-ভোদকার সঙ্গে মিশিয়ে দিলো মোক্ষম স্কিজোফ্রেনিয়া
আমি উত্তেজনার কমপ্লিট বিড়বিড় আমি আধবোজা প্রেশারকুকার
আমি প্রিন্টআউট কবিতার কপি
বার বার ভেঙে যাচ্ছি আমি
সসপ্যান থেকে সসপ্যানে রস চিনির কিউব


এমন কি চাপা গলায় যেন আমি ডিপ্রেসড ,কিছুতেই ইন্টারফেয়ার করিনা
তবু হায় আল্লা, পুরনো ভালোবাসার সেই তো আকাশভাঙা বৃষ্টি
শাল-বাগানের নীচে তোমার নতুন আকুতি বিদিশা নিখুঁত
আমি কথার ঢঙে নতুন সেলিব্রিটি কী বলবো আবেগে আপ্লুত
চিকচিক করছে আমার রোমাঞ্চ ডিসিশন নিতে পারছিনা লিলি না বিদিশা
নাকি সদ্য যুবতীর নামমাত্র প্রেম
আমার ফিটনেস প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায় সেখানে
একদিন এক দুপুর-বিতানে দেখা হলো সানন্দার সাথে
ম্যাগাজিনের সব ক’টা কবিতার রাখিপূর্ণিমা চিংড়ির মালাইকারি
আমি আহ্লাদে নতুন বয়ফ্রেন্ড ,জীবনের স্রোত আমাকে মিলিয়ে দাও ইভিনিং-প্যারিস


প্রেমে পড়ুন
এই এক চিলতে জীবনের সঙ্গে
এই এক প্যারিস বান্ধব
এই এক নতুন ময়েশ্চারাইজার ওয়াটারমেলন
এই তো আপনারই গার্ডেন ফ্লাওয়ার
প্রেমে পড়ুন

১০
আমি ফিরে যাই কল্পনার কাছে
আমি ফিরে যাই স্বপ্নার লিভ-টুগেদারে
আমি আমার দাম্পত্য রেখে আসি চল্লিশ বছর আগের অ্যাবসোলিউট
ফ্রিডমের কাছে ,আমি কী গালিব নই গজলের গ্ল্যামার নই আমি পাখি
ইউনিক বিন্দাস আমার কবিতা

১১
তোমাদের সামনে আমি তুলে রাখলাম আমার এই বাহানাগুলো
বাহানা অথবা এ আমার অ্যাকটিংও হতে পারে
আমি এক্কেবারে না-পসন্দ কথাগুলো কিছুতেই বলতে পারিনা
ও আমার সানন্দা একদিন আমার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলো এখন নিজেই আউট
ও আমার রজনী,প্রেশ্যা্স,আমার কবিতায় হাসিখুশি টিপস, এখন রুপোর কয়েন
প্রচুর ভালবাসার অত্যাচারে আমি আর নিজেকে চিনতে পারছি না
আমি দু’হাজার মাইল রণপা নিয়েছি চার হাজার মাইল ব্যাক-স্ট্রোক
আমি কী গালিব নই আমি গজলের গ্ল্যামার নই ,আমি পাখি ইউনিক বিন্দাস..