শনিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১২

কবিতা - সৈকত ঘোষ


7megapixel রাত
সৈকত ঘোষ


রাত পৌনে বারোটা :
আমার ব্যালকুনির বাইরে তাকালে
যা যা দেখা যায়
ইনসেটে ছোটো ছোটো কয়েকটা চিত্র তুলে দিলাম ...

সামনের ফ্লাটে ইশিতা , ঘর প্রায় অন্ধকার
পর্দার ফাঁক দিয়ে নাইট ল্যাম্প এর লাল আলো
গোপন গোপন খেলা খেলছে ...
বুকের তলায় নরম কোলবালিশ | হাতের আঙ্গুল
সদ্য কেনা গ্যালাক্সি ছুঁয়ে অচেনা শব্দশরীরে হাত বোলায় |
পিঠের কাছ থেকে উঁকিমারা অন্তর্বাস
আমাকে আর একটু সাহসী হয়ে ওঠার আবেদন জানায় ...
অনন্য অঙ্গের বিশেষ কোনো পরিবর্তন
না এলেও চোখের সামনে পরিচলন স্রোত বেশ উপভোগ্য |

রাত বারোটা পঁয়ত্রিশ :

স্ট্রিট লাইট এর নিচে একদল কুকুর
যাতা বাওয়াল করছে |
অনেকক্ষণ ধরে ওদেরকে দেখছিলাম কিন্তু
এখনো কনফিউসড...
কে যে কার কি বলা খুব মুশকিল |
তবে একটা কথা ওদেরকে দেখে বুঝলাম
বস ফান্ডা ভারি সিম্পল, পেলে লেগে যা

বাকিটা অপ্রযোজনীয় বিজ্ঞাপন |

রাত একটা দশ :
উত্তরের ফ্লাট ইচ্ছেডানার 2nd ফ্লোর
কাঁচের জানালা অর্ধেক খোলা ...
মনে হচ্ছে ভাজানোই ছিল। অবাধ্য হাওয়া একপশলা
দুষ্টু অনুভুতি নিয়ে ভেতরে ঢোকার সময়
একটু ফাঁক করে দিয়েছে
রাতের আলেয়া, আর নীল কুয়াশায় হাবুডুবু খেতে খেতে
দোমড়ানো মোচড়ানো শরীরের মধ্যে শরীর
তিরতিরে কাঁপা কাঁপা ঠোঁটে গভীর সুখ

আমার 30x জুমে ধরা পরে
তোমার 2nd হ্যান্ড যৌনতা ...

রাত একটা বিয়াল্লিশ :

সুন্দরী নারী শরীরের মধ্যে এদিক ওদিক
কবিতা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে ...
দরকার মতো আঁজলায় একমুঠো রোদও তুলে নিতে পারো বা
ইচ্ছে করলে নিজেকে পোড়াতে পোড়াতে
আকোয়ারিয়ম নীলচে মাছ আর বড়রাস্তার
খাবিখাওয়া কুকুরগুলোর সাথে লিঙ্গ পরিবর্তন ...
কি এতটাই জরুরি?

এসব নিয়ে রিসার্চ করা ভগাদার মাথায়
এই এক অদ্ভুত ব্যামো
মাঝ রাতে বিরবির করতে করতে ব্যালকুনি ময় পায়চারী করেন...

জ্বলতে থাকে একটার পর একটা সিগারেট |

রাত একটা পঞ্চাশ :
ধুসর নষ্টতায় রাত, রাতকেই চেটে পুটে খায়
মৈথুন সুখ, স্বপ্নে লাল নীল ইথার সুন্দরী
রিক্সা স্টান্ডের পাশে একদল মাতাল বা পাশের
ফ্লাটের রানা ...
রাত মানেই নীলের নেশায়
শরীর শরীর খেলা |

রাত দুটো :
উপরের ফ্লাটের সরকার দা সরকারী চাকুরে
নাক ডেকে নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছেন...
পাশের বাড়ির রাজীব রাতের আদর শেষে
বৌএর পাশেই শুয়ে
তবে হ্যাঁ ওর স্বপ্নে এখন অফিস এর নতুম মেয়ে সুইটি..

রিনা বৌদির মুখটা আজ ভার
ঘুমের মধ্যেও ভাবছেন প্ল্যান
কাল শাশুড়িকে কিভাবে জব্দ করা যায়...

রাত দুটো দশ :

একটা মেয়ে,
বালিশে মুখ ঢেকে কান্না লুকায়
কার কাছ থেকে জানিনা
সারা শরীরে পরম যত্নে চাঁদ, সূর্য, তারা আঁকা ...

উড়ুর নীচে গড়িয়ে পরা রক্ত
হ্যাঁ রক্তই তো

নিজের স্বাভাবিক নিয়মে নারীত্ব গড়িয়ে যায়
চাদরে বালিশে লেপ্টে আছে পুরুষ প্রকৃতি।