সংলাপ
মজনু শাহ্
'স্বর্ণকাঁটা দিয়ে কী করবে সন্ন্যাসী?'
গুহার গায়ে, শেষরাত্রির গায়ে, সর্বোপরি এই ব্রহ্মাণ্ডের গায়ে কিছু একটা লেখার জন্যে ওটা দরকার হয় শুনেছি। আমি মূলত লেখার জন্যে ক্ষুর পছন্দ করি, নষ্ট ঘুম দিয়ে তৈরি একটা পাগলাগারদ আমি লিখে ভরাতে চাই ছোট্ট এই ক্ষুরখানা দিয়ে। ধুলোর নীচে হয়ত ইতিমধ্যে চাপা পড়ে যাচ্ছে আমার গানের বাক্স, মৌতাত-লাইব্রেরি, সরু একটা রাস্তা দিয়ে বানানো আমার গোপন জিজ্ঞাসা চিহ্ন। যাক।... যদি ঠিকঠাক সরাতে পারি ধুলোর আস্তরণ, নিশ্চয় দেখতে পাব মৃত নক্ষত্র, বাঘিনী বা পঙক্তিমালা...
'ফের বাঘিনী?'
তার জন্যে আমি সাত ক্রোশ হেঁটেছি সেবার। পথে এত মৃত্যুঘন বাতাবিলেবুর বন! আর আফিমের চারা হাতে অজস্র ভিখিরি চলেছে চুপচাপ। কোথায় চলেছে তারা? সাত 'শ বাইশ নম্বর ভিখিরি লাইন ভেঙে এগিয়ে এসে বলল, কোম্পানিগঞ্জ!
'স্বর্ণকাঁটা দিয়ে কী করবে সন্ন্যাসী?'
গুহার গায়ে, শেষরাত্রির গায়ে, সর্বোপরি এই ব্রহ্মাণ্ডের গায়ে কিছু একটা লেখার জন্যে ওটা দরকার হয় শুনেছি। আমি মূলত লেখার জন্যে ক্ষুর পছন্দ করি, নষ্ট ঘুম দিয়ে তৈরি একটা পাগলাগারদ আমি লিখে ভরাতে চাই ছোট্ট এই ক্ষুরখানা দিয়ে। ধুলোর নীচে হয়ত ইতিমধ্যে চাপা পড়ে যাচ্ছে আমার গানের বাক্স, মৌতাত-লাইব্রেরি, সরু একটা রাস্তা দিয়ে বানানো আমার গোপন জিজ্ঞাসা চিহ্ন। যাক।... যদি ঠিকঠাক সরাতে পারি ধুলোর আস্তরণ, নিশ্চয় দেখতে পাব মৃত নক্ষত্র, বাঘিনী বা পঙক্তিমালা...
'ফের বাঘিনী?'
তার জন্যে আমি সাত ক্রোশ হেঁটেছি সেবার। পথে এত মৃত্যুঘন বাতাবিলেবুর বন! আর আফিমের চারা হাতে অজস্র ভিখিরি চলেছে চুপচাপ। কোথায় চলেছে তারা? সাত 'শ বাইশ নম্বর ভিখিরি লাইন ভেঙে এগিয়ে এসে বলল, কোম্পানিগঞ্জ!
1 comments:
মজনু ভাইয়ের কবিতা মানেই নতুন কিছু। কবিতায় এমন নতুন আঙ্গিক নিয়ে তিনি কাজ করছিলেন, তা জেনেছিলাম। আজ তার কিঞ্চিৎ ঝলকানি দেখলাম। দারুণ!
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন