মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

কবিতা - রুদ্র অনির্বাণ

সূর্য আমার বুকের ভেতর
রুদ্র অনির্বাণ


তুমুল ঝড়ের দেশে পুরোনো বন্ধুর খোঁজে এসেছি গোপনে।
এখানে দুরন্ত মেঘ, পিছল সড়কজুড়ে গবাদি পশুর ছুটোছুটি,
দূরে-কাছে বৃষ্টির বাঁকানো ঢেউ, শৈত্য সকরুণ...

রাখালের পিঠে জল, চোখের প্রান্তরে নাচে সুঠাম রাখালী,
পাহাড়ি বনের ঘ্রাণে মন, দেহতরী ঘূর্ণ্যমান।

বন্ধুকে না বলা গল্প শোনাতে এসেছি আজ, সভয় আনন্দে।
ভ্রমণের টানাপথ ভুলে সে কি আসবে একা গৃহত্যাগী এই
গল্পের উষ্ণতা নিতে?

আসা বা না আসার প্রশ্নরাশি ভুলে ছুটি তার নির্বাসন-দেশে;
কেননা সবুজ পাতা যতই ভিজুক জলে, কাঁপুক নীরব নীল
শিরা, তার জন্যে ধরে আছি এই গোপন উষ্ণতা।



কোন রাতের পাখি গায় একাকী



চৌরাস্তা পেরোলে কি সব পারা যায়,
তাই বুঝি দিনেরাতে এত আয়োজন!

যেভাবে রোদের রূপে সূর্য নামে দ্বীপে,
ঘাম মুছে শ্রমিকেরা আকাশে তাকায়
মালবাহী ঠেলাগাড়ি নিরালায় রেখে;
আমাদেরও মনে আসে তেমন সংগীত,
চাকার ঘূর্ণনে মৃদু ঝরনা হয়ে বয়!


বড়ইছড়ি গেলে কি সব পাওয়া যায়,
পাহাড়ের কানে কানে কারা গান গায়!
দোচুয়ানি-ঢোক গিলে দুচোখ টাটায়
গান আসে মেঘ আসে পাড়ায় পাড়ায়।

তবু জানি নেই তার শ্যামল ইশারা;
কী হবে গানের খাতা, গোপন মন্দিরা,
সূর্যের দাপটে সব মায়া-মরীচিকা।

তবু তুমি যাবে, যাবে একাকী একাই
পাহাড়ের ছাদে যদি কিছু মিলে যায়!