মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

কবিতা - অরবিন্দ চক্রবর্তী

মধ্যরাতের মস্করা:০১ অরবিন্দ চক্রবর্তী


শরীর দেখা হলো । এবার সতর্ক করে নিই।

পা ফস্কে গেলে, মনে করা যাক আমাদের গাছে উঠবার অভ্যেস ছিল।

প্রতিদিন সবার পাশে কৌতুকপ্রবণ রাত্রি আসে। অথবা তোমাকে কোনদিন পেতে হবে-
এই বানোয়াট সান্তনায় কোলবালিশের সত্যে রাথে গুড়ো গুড়ো ঘুমের তামাশা।

যদি বলি ভয় পেলে অরোহীগণ, স্বপ্ন তাড়ানোর ছলে ঘুম কেন তাড়ান? ভোর রাতে দরজায় রোদ ওঠাবার নামে থার্মোমিটারবিহীন যার যার গায়ে কেন বাছেন জ্বরের উকুন।

লোকটা পালাতে চাইবে। অথচ সাহস করে জানতে চাইবে না
টিকটিকি ছুঁলে লেজ কেন ঝরে যায়!


মধ্যরাতের মস্করা:০২

যেহেতু পথে আছো। দেখা হয়ে যাবে একজন রেলক্রশিংয়ের । কালো রেখাটিই যদি তোমাকে
বলে ফেলে অধিপতি। খামোখাই একবার তাকে পাগল বলবার অধিকার নিও।

পাতার আড়াল থেকে বৃত্ত-চাঁদ যাকে অধ:পতন ডাকে। দেখি তাকে টমেটোর মতো গোল।
গড়াতে শুরু করলে পিছু নেয় ভূতুড়ে সব আলোবাজের লালসা নিয়ে।

তো আমার জন্য তুলে রেখো অন্ধ বাবুইয়ের গান। রেকর্ডপ্লেয়ারে অহেতুক বাজাবো
অবসর পেয়ে ফড়িংকে তুমি যে কবার বলেছিলে

নিজেকে মত্ত পালোয়ান ভাবার রূপকথা।

আজ মেঘ করছে,রাক্ষস আসবে পাশের ফ্ল্যাটে
আকাশপথ নিয়ে তাজা পা নকল নিবন্ধ লিখবে।

কথা দিচ্ছি, আজ মহাকাশদস্যুর দেখা পেলে তিনবার শিস বাজিয়ে
তাকে বেহুঁশ করবার প্রেশব্রিফিং আমি করবোই।