শাহবাগের কবিতা - পরিচয়
আলী আফজাল খান
লাল সবুজ শাড়ীর গর্ভে জন্মেছি
মাগো আমি তোমার আদম সন্তান
অনার্য ছিলাম লাল রক্তে, আজ শাহবাগী একই রক্তে
বায়োলজিক্যাল ফাদার কেউ হিন্দু
কেউ খ্রিস্টান
কেউ মুসলিম
কেউ আদিবাসী
মানুষের ধর্মে শাহবাগের মোহনায় দাঁড়িয়েছি হাতে হাতে
আর্য করেছে হিন্দু
আরব করেছে মুসলিম
বেনিয়া করেছে খ্রিস্টান
কারও কাছে তো মাথা নত করিনি
তোমার ভাষার জন্য লড়েছি
তোমার মাটির জন্য লড়েছি
তোমার স্বপ্নের জন্য লড়ছি
বাংলা মায়ের সন্তান
সীমানা চিনিনি তাই ছড়িয়েছি গ্লোবাল ভিলেজে
অন্তর্জালে - শাহবাগে একই চেতনায়
তোমার ধর্ম তোমাকে দেখেই শিখেছি মাগো
মাটি, ভালোবাসা ও তোমার অন্নের ঋণ
এই আমার গৌরব তোমার গর্ভে হবো লীন
ওদের পরিচয় তো মুছে যায়নি
জানি ওদের পরিচয়
নি:শঙ্ক দাঁড়িয়েছি পতাকা হাতে
প্রজন্ম জেনো দুর্জয় জয় বাংলায়
প্রজন্মের কবিতা
জোয়ারের জলের উচ্ছ্বাসে
বানের ঢেউয়ের মত ফুঁসে উঠেছে বাংলাদেশ
’ তোমার আমার ঠিকানা
পদ্মা-মেঘনা-যমুনা
তারুণ্যের ঠিকানা
শাহবাগের মোহনা’
ধিকি ধিকি জ্বলা আগুন স্ফুলিঙ্গ মশাল
ইথারে ভাসে স্লোগান
’একাত্তরের বাংলায়
রাজাকারের ঠাঁই নাই
মা তোমার ভয় নাই
রাজপথ ছাড়ি নাই’
জীবন থেকে নেয়া ফ্রেমের সিনেমা
রাস্তায় তরুণের স্রোগানের কম্পোজিশন
’উসকে দে মা সলতে
আরো আলো জ্বলতে
আলো হাতে শাহবাগ যাই
জয় বাংলা বলতে’
৪২ বছরের পুড়া বুকে চেতনার সুনামি
বিবেকের ভ্রুকুটির সামনে মাথা নত করে আর থাকবো না
’আমাদের ধমনীতে শহীদের রক্ত
এই রক্ত কোনও দিনও পরাজয় মানে না
শহীদের রক্তের যতো আছে দাগ
বুকে মেখে উত্তাল আজ শাহবাগ’
ঘাতক দালাল ফণা তুলেছে রাজপথে
তরুণের প্রতিরোধ মুহুর্মুহু স্লোগান বারুদের উত্তাপে
’জামায়াতে ইসলাম, মেড ইন পাকিস্তান
এসো ভাই, এসো বোন, গড়ে তুলি আন্দোলন
একাত্তরে ছিলাম না
এবার তোদের ছাড়বো না’
যুদ্ধ জয়ের পথে একই বৃন্তে সহযোদ্ধা
মানুষ আমরা, এই পরিচয়, মানুষের দল, জনতার দল
’ তুমি কে, আমি কে
আদিবাসী - বাঙালী
জামায়াত শিবির রাজাকার
এই মুহুর্তে বাংলা ছাড়’
লাল সবুজের মায়ের শাড়ীতে হায়েনার নখদাগ
ঔদ্ধত্যের দিবো দাঁত ভাঙ্গা জবাব
’গণ দাবী একটাই
রাজাকারের ফাঁসি চাই
কফিন রেডি বডি চাই
রাজাকারের ফাঁসি চাই’
সোনালী স্বপ্নের তরুণ-তরুণী নাচো মহাপ্রলয় নৃত্যে
প্রতিশোধ রাস্তায়, প্রতিরোধ ঘরে ঘরে
’ লাখো শহীদে ডাক পাঠালো
সব সাথীদের খবর দে
সারা বাংলা ঘেরাও করে
রাজাকার কবর দে’
বাতাসের লাভা থেকে ডাকছি তোমায় তরুণ
তোমার সময় ইতিহাস হয়ে যাওয়ার প্রজন্ম যুদ্ধে
’সূর্য দিয়েছে উঁকি
শত্রুর মুখোমুখি
রক্তের দেনা হবে শোধ
প্রতিরোধ, প্রতিশোধ’
সময়ের পাশে দাঁড়াও
পায়ে পিষে দলি দানবীয় মুখ
’জয় বাংলা স্লোগানে
যেন আমায় ৭১ টানে
লাকীর কন্ঠ তুলেছে কাঁপন
দেশবাসী সব হয়েছে আপন’
বাংলার তারা হয়ে শহীদ জননী দেখ স্বত:স্ফূর্ত গণজাগরণ
নতুন প্রজন্মের সাইবার যোদ্ধাদের অভিবাদন
’ক- তে কাদের মোল্লা, তুই রাজাকার, তুই রাজাকার
গ- তে গোলাম আজম, তুই রাজাকার, তুই রাজাকার
স- তে সাইদী, তুই রাজাকার, তুই রাজাকার
ফ- তে ফোকাস, তুই রাজাকার, তুই রাজাকার
ই- তে ইসলামী ব্যাংক, তুই রাজাকার, তুই রাজাকার
দ- তে দিগন্ত, তুই রাজাকার, তুই রাজাকার‘
প্রজন্ম চত্ত্বরে ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ
যেন এক স্ফুলিংগ বাগান
’ সূর্যসেনের বাংলায় - বর্ণবাদের ঠাঁই নাই
প্রীতিলতার বাংলায় - জাতিভেদের ঠাঁই নাই
তিতুমিরের বাংলায় - ফ্যাসিবাদের ঠাঁই নাই
মুক্তিযুদ্ধের বাংলায় - রাজাকারের ঠাঁই না ‘
চেনা শকুন সেই পুরানো পোশাকেই এসেছে
আর তাদের সময়ের দোসর
’টুপিকে নয়, দাড়িকে নয়
ঘৃণা করি রাজাকার
আল্লাহ খোদার দোহাই ছাড়
সবার সাথেই আছেন তিনি
লাখো বাঙালী আজ জেগেছে
রাজাকারের রক্ত চিনি’
ডাক এসেছে মুক্ত পথের
বিবেকের দুয়ারে নাড়ছে কড়া
জাগরে জাগ
শাহবাগ, শাহবাগ
পবিত্র মসজিদ, শহীদ মিনার, ভাষা আর পতাকার অপমান সইবি কত বল
চলরে চল, সমাবেশে চল
লাল সবুজের এই পতাকা
ক্ষমা করে না রাজাকার
স্মৃতিসৌধ দিচ্ছে ডাক
রাজাকার নিপাত যাক
রাজাকারের চামড়া, কুত্তা দিয়া কামড়া
রাজাকার জানোয়ার, করে দিবো ছাড়খার
লড়াই লড়াই লড়াই চাই
লড়াই করে বাঁচতে চাই
ধর্মের নামে ফ্যাসিবাদ রুখে দাঁড়াও জনগণ
ধর্মের নামে নিপীড়ন রুখে দাঁড়াও জনগণ
শাহবাগের এ্যাকশন, ডাইরেক্ট এ্যাকশন
বীর বাঙালীর এ্যাকশন, ডাইরেক্ট এ্যাকশন
জ্বালোরে জ্বালো, আগুন জ্বালো
রাজাকারের গদিতে আগুন জ্বালো এক সাথে
রক্ত দেব, জীবন দেব, রাজাকারদের ফাঁসি দেব
এসো ভাই, এসো বোন, সফল করি আন্দোলন
আগুনমুখো সময়ের হাত ধরি
শোধ করবো রক্তের ঋণ
গর্জে উঠুক প্রজন্ম, গর্জে উঠুক চেতনা, গর্জে উঠুক তারুণ্য
শাহবাগের আলো, ঘরে ঘরে জ্বালো
এক রাজীব লোকান্তরে
লক্ষ রাজীব শাহবাগে
শহীদের রক্ত
বৃথা যেতে দেবো না
জেগেছে তারুণ্য, জেগেছে দেশ
যুদ্ধাপরাধীদের করবো শেষ
” জনগণের মতো বিশ্বস্ত কেউ নয়
জয় আমাদের হবেই ... ... “
জয় বাংলা, জয় জনতা !
প্রজন্ম
কত কথার বুদবুদ বড় হতে হতে
ফেটে গেছে বাতাসের চাপেই
আগুন ! আগুন জ্বেলেছি বুকে তাই
স্যালুট প্রজন্ম ! স্যালুট তোমায়
কোলের শিশু থেকে বৃদ্ধ - সবাই তরুণ
দাবী তো একটাই “ পতাকার কালিমা মুছে দিতে চাই”
সোনালী স্বপ্নের তরুণ ছেড়েছে ঘর
জেগেছে বাংলার বাঘ
শাহবাগ ! শাহবাগ !
এ এক বেহালা বাদক
কুষ্টিয়া থেকে অভি
চট্টগ্রাম থেকে ফাহাদ
চাদপুর থেকে সুজিত, কেউ কেউ একা
অথবা গভীর রাতে কেরানীগঞ্জ থেকে হেটে আসা দিনমুজুরের মিছিল
গর্জে উঠছে সারাদেশ
ওকুপাই বাংলাদেশ
পাড়ায় পাড়ায়, ঘরে ঘরে
সবপ্রাণে এক বাক
শাহবাগ ! শাহবাগ !
ঢোলের তালে, খোলের তালে
বসন্ত উৎসবে
প্রজন্মের রেনেসাঁ এখন দাবানল
তোমাকে চুমু খাওয়ার সময় নেই
ঠোঁটে এখন স্লোগান
আলী আফজাল খান
লাল সবুজ শাড়ীর গর্ভে জন্মেছি
মাগো আমি তোমার আদম সন্তান
অনার্য ছিলাম লাল রক্তে, আজ শাহবাগী একই রক্তে
বায়োলজিক্যাল ফাদার কেউ হিন্দু
কেউ খ্রিস্টান
কেউ মুসলিম
কেউ আদিবাসী
মানুষের ধর্মে শাহবাগের মোহনায় দাঁড়িয়েছি হাতে হাতে
আর্য করেছে হিন্দু
আরব করেছে মুসলিম
বেনিয়া করেছে খ্রিস্টান
কারও কাছে তো মাথা নত করিনি
তোমার ভাষার জন্য লড়েছি
তোমার মাটির জন্য লড়েছি
তোমার স্বপ্নের জন্য লড়ছি
বাংলা মায়ের সন্তান
সীমানা চিনিনি তাই ছড়িয়েছি গ্লোবাল ভিলেজে
অন্তর্জালে - শাহবাগে একই চেতনায়
তোমার ধর্ম তোমাকে দেখেই শিখেছি মাগো
মাটি, ভালোবাসা ও তোমার অন্নের ঋণ
এই আমার গৌরব তোমার গর্ভে হবো লীন
ওদের পরিচয় তো মুছে যায়নি
জানি ওদের পরিচয়
নি:শঙ্ক দাঁড়িয়েছি পতাকা হাতে
প্রজন্ম জেনো দুর্জয় জয় বাংলায়
প্রজন্মের কবিতা
জোয়ারের জলের উচ্ছ্বাসে
বানের ঢেউয়ের মত ফুঁসে উঠেছে বাংলাদেশ
’ তোমার আমার ঠিকানা
পদ্মা-মেঘনা-যমুনা
তারুণ্যের ঠিকানা
শাহবাগের মোহনা’
ধিকি ধিকি জ্বলা আগুন স্ফুলিঙ্গ মশাল
ইথারে ভাসে স্লোগান
’একাত্তরের বাংলায়
রাজাকারের ঠাঁই নাই
মা তোমার ভয় নাই
রাজপথ ছাড়ি নাই’
জীবন থেকে নেয়া ফ্রেমের সিনেমা
রাস্তায় তরুণের স্রোগানের কম্পোজিশন
’উসকে দে মা সলতে
আরো আলো জ্বলতে
আলো হাতে শাহবাগ যাই
জয় বাংলা বলতে’
৪২ বছরের পুড়া বুকে চেতনার সুনামি
বিবেকের ভ্রুকুটির সামনে মাথা নত করে আর থাকবো না
’আমাদের ধমনীতে শহীদের রক্ত
এই রক্ত কোনও দিনও পরাজয় মানে না
শহীদের রক্তের যতো আছে দাগ
বুকে মেখে উত্তাল আজ শাহবাগ’
ঘাতক দালাল ফণা তুলেছে রাজপথে
তরুণের প্রতিরোধ মুহুর্মুহু স্লোগান বারুদের উত্তাপে
’জামায়াতে ইসলাম, মেড ইন পাকিস্তান
এসো ভাই, এসো বোন, গড়ে তুলি আন্দোলন
একাত্তরে ছিলাম না
এবার তোদের ছাড়বো না’
যুদ্ধ জয়ের পথে একই বৃন্তে সহযোদ্ধা
মানুষ আমরা, এই পরিচয়, মানুষের দল, জনতার দল
’ তুমি কে, আমি কে
আদিবাসী - বাঙালী
জামায়াত শিবির রাজাকার
এই মুহুর্তে বাংলা ছাড়’
লাল সবুজের মায়ের শাড়ীতে হায়েনার নখদাগ
ঔদ্ধত্যের দিবো দাঁত ভাঙ্গা জবাব
’গণ দাবী একটাই
রাজাকারের ফাঁসি চাই
কফিন রেডি বডি চাই
রাজাকারের ফাঁসি চাই’
সোনালী স্বপ্নের তরুণ-তরুণী নাচো মহাপ্রলয় নৃত্যে
প্রতিশোধ রাস্তায়, প্রতিরোধ ঘরে ঘরে
’ লাখো শহীদে ডাক পাঠালো
সব সাথীদের খবর দে
সারা বাংলা ঘেরাও করে
রাজাকার কবর দে’
বাতাসের লাভা থেকে ডাকছি তোমায় তরুণ
তোমার সময় ইতিহাস হয়ে যাওয়ার প্রজন্ম যুদ্ধে
’সূর্য দিয়েছে উঁকি
শত্রুর মুখোমুখি
রক্তের দেনা হবে শোধ
প্রতিরোধ, প্রতিশোধ’
সময়ের পাশে দাঁড়াও
পায়ে পিষে দলি দানবীয় মুখ
’জয় বাংলা স্লোগানে
যেন আমায় ৭১ টানে
লাকীর কন্ঠ তুলেছে কাঁপন
দেশবাসী সব হয়েছে আপন’
বাংলার তারা হয়ে শহীদ জননী দেখ স্বত:স্ফূর্ত গণজাগরণ
নতুন প্রজন্মের সাইবার যোদ্ধাদের অভিবাদন
’ক- তে কাদের মোল্লা, তুই রাজাকার, তুই রাজাকার
গ- তে গোলাম আজম, তুই রাজাকার, তুই রাজাকার
স- তে সাইদী, তুই রাজাকার, তুই রাজাকার
ফ- তে ফোকাস, তুই রাজাকার, তুই রাজাকার
ই- তে ইসলামী ব্যাংক, তুই রাজাকার, তুই রাজাকার
দ- তে দিগন্ত, তুই রাজাকার, তুই রাজাকার‘
প্রজন্ম চত্ত্বরে ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ
যেন এক স্ফুলিংগ বাগান
’ সূর্যসেনের বাংলায় - বর্ণবাদের ঠাঁই নাই
প্রীতিলতার বাংলায় - জাতিভেদের ঠাঁই নাই
তিতুমিরের বাংলায় - ফ্যাসিবাদের ঠাঁই নাই
মুক্তিযুদ্ধের বাংলায় - রাজাকারের ঠাঁই না ‘
চেনা শকুন সেই পুরানো পোশাকেই এসেছে
আর তাদের সময়ের দোসর
’টুপিকে নয়, দাড়িকে নয়
ঘৃণা করি রাজাকার
আল্লাহ খোদার দোহাই ছাড়
সবার সাথেই আছেন তিনি
লাখো বাঙালী আজ জেগেছে
রাজাকারের রক্ত চিনি’
ডাক এসেছে মুক্ত পথের
বিবেকের দুয়ারে নাড়ছে কড়া
জাগরে জাগ
শাহবাগ, শাহবাগ
পবিত্র মসজিদ, শহীদ মিনার, ভাষা আর পতাকার অপমান সইবি কত বল
চলরে চল, সমাবেশে চল
লাল সবুজের এই পতাকা
ক্ষমা করে না রাজাকার
স্মৃতিসৌধ দিচ্ছে ডাক
রাজাকার নিপাত যাক
রাজাকারের চামড়া, কুত্তা দিয়া কামড়া
রাজাকার জানোয়ার, করে দিবো ছাড়খার
লড়াই লড়াই লড়াই চাই
লড়াই করে বাঁচতে চাই
ধর্মের নামে ফ্যাসিবাদ রুখে দাঁড়াও জনগণ
ধর্মের নামে নিপীড়ন রুখে দাঁড়াও জনগণ
শাহবাগের এ্যাকশন, ডাইরেক্ট এ্যাকশন
বীর বাঙালীর এ্যাকশন, ডাইরেক্ট এ্যাকশন
জ্বালোরে জ্বালো, আগুন জ্বালো
রাজাকারের গদিতে আগুন জ্বালো এক সাথে
রক্ত দেব, জীবন দেব, রাজাকারদের ফাঁসি দেব
এসো ভাই, এসো বোন, সফল করি আন্দোলন
আগুনমুখো সময়ের হাত ধরি
শোধ করবো রক্তের ঋণ
গর্জে উঠুক প্রজন্ম, গর্জে উঠুক চেতনা, গর্জে উঠুক তারুণ্য
শাহবাগের আলো, ঘরে ঘরে জ্বালো
এক রাজীব লোকান্তরে
লক্ষ রাজীব শাহবাগে
শহীদের রক্ত
বৃথা যেতে দেবো না
জেগেছে তারুণ্য, জেগেছে দেশ
যুদ্ধাপরাধীদের করবো শেষ
” জনগণের মতো বিশ্বস্ত কেউ নয়
জয় আমাদের হবেই ... ... “
জয় বাংলা, জয় জনতা !
প্রজন্ম
কত কথার বুদবুদ বড় হতে হতে
ফেটে গেছে বাতাসের চাপেই
আগুন ! আগুন জ্বেলেছি বুকে তাই
স্যালুট প্রজন্ম ! স্যালুট তোমায়
একজন পানি বিক্রেতা আসে প্রতিদিন পানি বিক্রি না করে পানি আমাদের মাঝে বিলি করে ঘরে ফিরে । দিদি আসেন খাবার নিয়ে প্রতিদিন, বুট, বাদাম, আইসক্রিম ।একজন আছে ওর বাবাকে ওকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে শাহবাগে, শেষ পর্যন্ত থাকতে হবে এখানেই, ঘরে ফেরা যাবে না ।নাম না জানা জনতা নিজেই জ্বালায় মোম, সামিল হয়ে যায় ঝাড়ুর মিছিলে ।
কোলের শিশু থেকে বৃদ্ধ - সবাই তরুণ
দাবী তো একটাই “ পতাকার কালিমা মুছে দিতে চাই”
সোনালী স্বপ্নের তরুণ ছেড়েছে ঘর
জেগেছে বাংলার বাঘ
শাহবাগ ! শাহবাগ !
এ এক বেহালা বাদক
কুষ্টিয়া থেকে অভি
চট্টগ্রাম থেকে ফাহাদ
চাদপুর থেকে সুজিত, কেউ কেউ একা
অথবা গভীর রাতে কেরানীগঞ্জ থেকে হেটে আসা দিনমুজুরের মিছিল
গর্জে উঠছে সারাদেশ
ওকুপাই বাংলাদেশ
পাড়ায় পাড়ায়, ঘরে ঘরে
সবপ্রাণে এক বাক
শাহবাগ ! শাহবাগ !
ঢোলের তালে, খোলের তালে
বসন্ত উৎসবে
প্রজন্মের রেনেসাঁ এখন দাবানল
তোমাকে চুমু খাওয়ার সময় নেই
ঠোঁটে এখন স্লোগান
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন