মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

কবিতা - রাজন্য রুহানি

কদম এবং কিশোরী
রাজন্য রুহানি


অজস্র কান্নার পর কদম ফুটেছে পৃথিবীর কারুচুলে। পঙ্খিরাজ কাঁধে বসে ঠোঁকরায় খুব। ছেলেগুলো লাল ঠান্ডা চোখের নিশানা গুলতিতে রেখে আহতস্বর পছন্দ করে। বানরের হাতে পাছা রেখে বেহালার গল্পদেখা ঠসাবুড়ি ভুলে গেছে যাঁতাকল। যুবতীদের কখনো কদমকাম পূর্বপরশ দেয় কি-না, এমন প্রশ্নের উত্তরে পেয়েছি তীর্থ নীলগিরি। কাশবনে বাজে জোড়াপাখির ঘুঙুর। দাঁড়টানা পেশিরাম ক্ষিপ্র না হলে জাগে না নদী, ঘোরে যায় মসৃণ বৈঠার গতিপথ, ক্ষীণ হয়ে আসে ছলাৎ ছলাৎ মায়াসুর। ভূত বিষে ধুপধাপ ডাঙা বেয়ে উঠি। বুকের গলিতে হাঁটুপানির নাচন। গাছ ছুঁয়ে ছুঁয়ে হাসে কোনো করাতকলের মিস্ত্রি। বৈষ্ণবী বাতাসে ভেসে আসে কোনোখানের গোপন সম্পাদনা।

রজঃস্বলা কিশোরীরা হলুদে আসক্ত, এই কথা বলে গত বর্ষাকালে চলে গেছে হিমু। এখন শ্রাবণশঙ্খে চোরাবালি দোলা, একটি পা নিয়ন্ত্রণহীন, অপরটি অনুগত বেশ। পায়ের দ্বৈরথে কাঁদে স্বপ্ন, কাঁপে মাধবীলতার বেড়ে ওঠা চাঁদ। মোক্ষম পাতায় গিন্নি বানিয়ে পাঠাই বর্ধিত জগতে এক, ওখানেও পাতা জালে মাছ ধরে সখা। হাত পেতে থাকা যুবতীকে ছুঁড়ে দেই কদমের গুপ্তরঙ, কিশোরীকে দেই খণ্ডপাঠ। আকাশের ওমে যাই স্বপ্নের সঙ্গমে। জেগে খোয়াবনামায় দেখি, সারিবদ্ধ লাশের মস্তকে ঝরা কদমঘ্রাণ থেকেই প্রাণ খুঁটে নিচ্ছে কিশোরীরা।