মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

কবিতা - গোলাম মোর্শেদ চন্দন

অন্ধকারের বাতি
গোলাম মোর্শেদ চন্দন


প্রতিনিয়তই ছুটছি এক অন্ধকার থেকে আরেক অন্ধকারে
কখনও মেঘ কখনও বৃষ্টি হয়ে
আলোহীনতার নিগূঢ়তায় ঝাঁপ দিচ্ছি অন্ধকার গহ্বরে
হাঁটছি যান্ত্রিক সভ্যতার আগুন বুকে নিয়ে
অতিমুনাফার লোভে নিঃস্ব হয়েছি নিজের ভুলে
আজ সুদাসলসহ সব গেল চলে, শ্রাবন বৃষ্টির ঢলে
এখন আমি বেঁচে আছি তুমিহীন তোমারই স্থলে


সুইসাইড নোট

বিকেলে তোমার ঘরে ঢুকতেই পদার্গুলো
বন্ধ হয়ে যেত নিজেই নিজে
আমরা লাল নীল আর সবুজ বাতি জ্বালাতাম
সন্ধ্যার ঠিক আগেই নীরব কোলাহলে
কখন যে রাত এসে যেত প্রস্থানের টেরই পেতাম না
এখন ভাবলে বিমর্ষ হয়ে ফিরে যাই বার বার
ফিরে ফিরে যাই, না চাইলেও যাই
এমনই যাওয়া আশার ভারে এক আমি থেকে
আরেক আমিতে আমার রূপান্তর ঘটে ।
আর তুমি ঘটনাবিহীন নিদর্য় ঘটনার জন্ম দাও
বারংবার আমি নীহত হই নিজেই নিজের আদালতে

এভাবেই খুনি হয়ে উঠি নিজেই নিজের


বৈকুণ্ঠ পাখি হবো ভোরের


মৃত্যুকে পূণমুর্দ্রণ করে হেঁটে যাবো নূতন জন্মের ঘরে
আবার জন্ম নিয়ে জ্যোৎস্নার বাকলে বসে ভুলে যাবো
পুরনো জন্মের দাগ । ইচ্ছের দেয়ালটাকে বানির্স দিবো
স্বপ্নবিভুর কর্পূরে । জানি আমার পৃথিবীটা সেদিন
ঝর্ণাজলের উৎসবে তোমাকে স্নান করাবে মোহময় আবেশে ।
আমরা সেদিন মোহনার অতল গহ্বরে একাকার হয়ে
উৎসবে উৎসবে বৈকুণ্ঠ পাখি হবো ভোরের ।