সার্সন রোড এবং একা এক তালগাছ
রোকেয়া সামিয়া
হতে পারে গতরাতের সার্সন রোডের নির্জন রাস্তার হু হু বাতাস,
সমস্ত সবুজ ছুয়ে স্টেশানের দিকে পা বাড়িয়েছিলো।
কিংবা হতে পারে ধেয়ে চলা রাস্তার পাশে,
স্থির দাড়িয়ে থাকা একা তালগাছটার মতই একাকী ছিলো;
এই জটিলতা তালগাছের একা ধু ধু ঠায় দাড়িয়ে থাকায়
বিশাল এক প্রশ্নবোধক (?), অথবা, অনর্থক এক নীরব যতিচিহ্ন।
তুই একা কত কত এপার্টমেন্টের জন্মব্যথার সাক্ষী,
একা এক তালগাছ, তোর কোনই সঙ্গী নেই।
কিংবা যে অন্তত ছিলো... সে গোড়া উপড়ে আজ হাসপাতালে-
অবশ মনন, চিন্তাহীন, নিথর, প্রতিবাদহীন, অশ্রুত এক সিম্ফোনি।
জানিনা আজো জলের ধারায় তোর পাতাগুলো সিক্ত হয় নাকি
ভিজতে ভিজতে কাক উড়ে গিয়ে বসে তোর কথা শোনে নাকি
একটুখানি পালক ঘষে আবার উড়ে গিয়ে সার্সন রোডের,
সবুজ মায়ায় তোর কথা ছড়িয়ে দেয় নাকি!
তুই একা জলজঙ্গুলে মায়া মায়া তালগাছ,
তোর কাছে আমি ভীড়তে পারি না।
তুই তখন সমস্ত এপার্টমেন্টের বেদনার সাক্ষ্য দিতে গিয়ে,
চুরচুর করে ভেঙ্গে পড়বি ভেতরে ভেতরে, জানি।
কাঠপাথরের বালুতে, ধোয়াতে, ধূসর পাতা জলের প্রতীক্ষায় থাকে,
তাও জানি; জানি তোর ভেতরের কুলকুল সন্দেহ,
কাকটা কি ছড়িয়েছিলো সমস্ত বার্তা?
কা কা কা কা চিৎকার, চিৎকার, ক্ষতবিক্ষত চিৎকারে?
তুই একা তালগাছ, তালগাছ, ইটেল দেয়ালে দেয়ালে প্রতিধ্বনিত
তোর একা পাতার দলের শিরশিরে আওয়াজ।
সার্সন রোডেও কান পাতলে যার তলটুকু ছুয়ে যায়,
আমার ভেতরে অনেকখানি,
নির্জনে।
রোকেয়া সামিয়া
হতে পারে গতরাতের সার্সন রোডের নির্জন রাস্তার হু হু বাতাস,
সমস্ত সবুজ ছুয়ে স্টেশানের দিকে পা বাড়িয়েছিলো।
কিংবা হতে পারে ধেয়ে চলা রাস্তার পাশে,
স্থির দাড়িয়ে থাকা একা তালগাছটার মতই একাকী ছিলো;
এই জটিলতা তালগাছের একা ধু ধু ঠায় দাড়িয়ে থাকায়
বিশাল এক প্রশ্নবোধক (?), অথবা, অনর্থক এক নীরব যতিচিহ্ন।
তুই একা কত কত এপার্টমেন্টের জন্মব্যথার সাক্ষী,
একা এক তালগাছ, তোর কোনই সঙ্গী নেই।
কিংবা যে অন্তত ছিলো... সে গোড়া উপড়ে আজ হাসপাতালে-
অবশ মনন, চিন্তাহীন, নিথর, প্রতিবাদহীন, অশ্রুত এক সিম্ফোনি।
জানিনা আজো জলের ধারায় তোর পাতাগুলো সিক্ত হয় নাকি
ভিজতে ভিজতে কাক উড়ে গিয়ে বসে তোর কথা শোনে নাকি
একটুখানি পালক ঘষে আবার উড়ে গিয়ে সার্সন রোডের,
সবুজ মায়ায় তোর কথা ছড়িয়ে দেয় নাকি!
তুই একা জলজঙ্গুলে মায়া মায়া তালগাছ,
তোর কাছে আমি ভীড়তে পারি না।
তুই তখন সমস্ত এপার্টমেন্টের বেদনার সাক্ষ্য দিতে গিয়ে,
চুরচুর করে ভেঙ্গে পড়বি ভেতরে ভেতরে, জানি।
কাঠপাথরের বালুতে, ধোয়াতে, ধূসর পাতা জলের প্রতীক্ষায় থাকে,
তাও জানি; জানি তোর ভেতরের কুলকুল সন্দেহ,
কাকটা কি ছড়িয়েছিলো সমস্ত বার্তা?
কা কা কা কা চিৎকার, চিৎকার, ক্ষতবিক্ষত চিৎকারে?
তুই একা তালগাছ, তালগাছ, ইটেল দেয়ালে দেয়ালে প্রতিধ্বনিত
তোর একা পাতার দলের শিরশিরে আওয়াজ।
সার্সন রোডেও কান পাতলে যার তলটুকু ছুয়ে যায়,
আমার ভেতরে অনেকখানি,
নির্জনে।
1 comments:
kono coment korar moto joggota amar nai... just awosome.....
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন